ঝুম বৃষ্টি রাজধানীতে, স্বস্তি নামে দাবদাহে, সড়কে বেরিয়ে বৃষ্টি ভেজার আনন্দে -সংবাদ
টানা কয়েক দিনের তীব্র রোদ আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কাহিল হয়ে পড়েছিলেন রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। শুক্রবার (৯ জুন) সকাল থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলাতে বৃষ্টির দেখা মিলছে। ফলে স্বস্তির বৃষ্টিতে, জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশান্তি। তবে দুদিন পর তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকালে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সারাদিন ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। তবে এদিন ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল থেকেও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বেলা কিছুটা বাড়তেই নামে ঝুমবৃষ্টি। সঙ্গে ছিল মেঘের গর্জন। শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও ঢাকার আকাশে বৃষ্টি ছিল।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলশান, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, বারিধারা, গুলশান, মগবাজার, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী ছাড়া সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ায়।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ সময়ের শেষদিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত আরও অগ্রসর হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঝুম বৃষ্টি রাজধানীতে, স্বস্তি নামে দাবদাহে, সড়কে বেরিয়ে বৃষ্টি ভেজার আনন্দে -সংবাদ
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩
টানা কয়েক দিনের তীব্র রোদ আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কাহিল হয়ে পড়েছিলেন রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। শুক্রবার (৯ জুন) সকাল থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলাতে বৃষ্টির দেখা মিলছে। ফলে স্বস্তির বৃষ্টিতে, জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশান্তি। তবে দুদিন পর তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকালে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সারাদিন ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। তবে এদিন ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকাল থেকেও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বেলা কিছুটা বাড়তেই নামে ঝুমবৃষ্টি। সঙ্গে ছিল মেঘের গর্জন। শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও ঢাকার আকাশে বৃষ্টি ছিল।
রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, পল্টন, গুলশান, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, বারিধারা, গুলশান, মগবাজার, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী ছাড়া সব বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ায়।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ সময়ের শেষদিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত আরও অগ্রসর হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।