৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ
মাদারীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার বিরুদ্ধে ৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তুলিকা দাহ করেছে। গত শনিবার বিকেলে ৫ টার দিকে শহরের পুরান বাজারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে পাওনাদার ও তাদের স্বজনরা।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দ্রুত টাকা ফেরতের দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার পরিবেশক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার মালিকানাধীন মেসার্স লুবনা ট্রেডার্স। গত জুনে লুবনা ট্রেডার্সের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বাজেট পাসের আগে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর সিগারেটের দাম বৃদ্ধির কথা বলে ৬৮ কোটি টাকা অগ্রিম তোলেন।
পরবর্তীতে অগ্রিম ৬৮ কোটি টাকা আদায়ের সিগারেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার বিকেলে শহরের পুরান বাজারে বিভিন্ন ক্ষুদ্র পাওনাদার ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা দ্রুত তাদের টাকা পরিশোধ করার দাবীতে ঝাড়ু মিছিল করেন। মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা পুরান বাজারের মুচিবাড়ির মোড়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার প্রতীকি কুশপুত্তুলিকা দাহ করে ঝাড়ু পেটা করেন।
এই বিষয়ে পাওনাদার মনির হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমি তুষার ভূইয়ার কাছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সিগারেটের অগ্রিম বাবদ জুন মাসে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে আমাকে ওই টাকার সিগারেট প্রদান না করে তালবাহানা শুরু করে। ওদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আমি সিগারেট সরবরাহ করতে না পারায় তারা আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমিও তুষার ভূইয়ার কাছে বার বার ধর্ণা দিতে থাকি। শেষ পর্যন্ত আমি টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করি।
এদিকে আরেক পাওনাদার শাখাওয়াত হোসেন বলেন,‘আমি লুবনা ট্রেডার্সের কাছে সিগারেটের কাছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সিগারেট তারা আমাকে দেয়নি। পরে টাকাও ফেরত দেয়নি। তাই আমিও আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়া বলেন,‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারে। এটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তাছাড়া যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের কাছে টাকা পাব।
আমিও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মাদারীপুরের আদালতে আমার মামলা খারিজ হলেও আমি উচ্চ আদালতে আপীল করব। তাই যেহেতু এটা আইনগত বিষয় তাই আইনগত ভাবেই আমি এটা মোকাবিল করব।’
৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ
রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাদারীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার বিরুদ্ধে ৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তুলিকা দাহ করেছে। গত শনিবার বিকেলে ৫ টার দিকে শহরের পুরান বাজারে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে পাওনাদার ও তাদের স্বজনরা।
এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দ্রুত টাকা ফেরতের দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার পরিবেশক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার মালিকানাধীন মেসার্স লুবনা ট্রেডার্স। গত জুনে লুবনা ট্রেডার্সের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বাজেট পাসের আগে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর সিগারেটের দাম বৃদ্ধির কথা বলে ৬৮ কোটি টাকা অগ্রিম তোলেন।
পরবর্তীতে অগ্রিম ৬৮ কোটি টাকা আদায়ের সিগারেট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার বিকেলে শহরের পুরান বাজারে বিভিন্ন ক্ষুদ্র পাওনাদার ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা দ্রুত তাদের টাকা পরিশোধ করার দাবীতে ঝাড়ু মিছিল করেন। মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা পুরান বাজারের মুচিবাড়ির মোড়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়ার প্রতীকি কুশপুত্তুলিকা দাহ করে ঝাড়ু পেটা করেন।
এই বিষয়ে পাওনাদার মনির হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমি তুষার ভূইয়ার কাছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সিগারেটের অগ্রিম বাবদ জুন মাসে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে আমাকে ওই টাকার সিগারেট প্রদান না করে তালবাহানা শুরু করে। ওদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আমি সিগারেট সরবরাহ করতে না পারায় তারা আমাকে চাপ দিতে থাকে। আমিও তুষার ভূইয়ার কাছে বার বার ধর্ণা দিতে থাকি। শেষ পর্যন্ত আমি টাকা আদায়ের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করি।
এদিকে আরেক পাওনাদার শাখাওয়াত হোসেন বলেন,‘আমি লুবনা ট্রেডার্সের কাছে সিগারেটের কাছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ দিয়েছিলাম। কিন্তু সিগারেট তারা আমাকে দেয়নি। পরে টাকাও ফেরত দেয়নি। তাই আমিও আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়া বলেন,‘বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে যে কেউ যে কারো বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারে। এটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তাছাড়া যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের কাছে টাকা পাব।
আমিও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মাদারীপুরের আদালতে আমার মামলা খারিজ হলেও আমি উচ্চ আদালতে আপীল করব। তাই যেহেতু এটা আইনগত বিষয় তাই আইনগত ভাবেই আমি এটা মোকাবিল করব।’