alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

সদরপুর নির্বাচন অফিসে দালাল ছাড়া মেলে না সেবা

প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর) : বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানান সংশোধন করতে তিন মাস আগে ফরিদপুরের সদরপুর নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছিলেন পূর্ব শ্যামপুর এলাকার মোঃ বাবু মিজান। এর পর বেশ কয়েকবার নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এমন কী আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে সেটিও জানতে পারেননি। শুধু মিজানই নন, উপজেলার যেসব লোকজন নির্বাচন অফিসে আসা যাওয়া অধিকাংশ সেবা গ্রহীতাদের অবস্থাই একই ধরনের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার এই নির্বাচনী কার্যালয় ঘিরে গড়ে উঠেছে দালাল সিন্ডিকেট। নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন, সংশোধন, স্থানান্তরসহ সব ধরনের সেবা নিতেই এই চক্রের দ্বারস্থ হতে হয়। দালাল ধরে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে টাকা(ঘুষ) দিলেই অল্প সময়ের মধ্যেই মিলে কাঙ্খিত সমাধান। এর ব্যাতিক্রম হলে মাসের পর মাস ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন খোদ নির্বাচন অফিসেরই নৈমদ্দিন(অফিসসহায়ক)সহ কয়েকজন কর্মচারী এবং পাশেই কয়েকটি কম্পিউটারের দোকানের মালিক এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। বিশেষ করে নৈমদ্দিন নিজ এলাকায় চাকুরি করার সুবাধে এই উপজেলার বেশীর ভাগ লোকই তার কাছে আসে,সেসুবাধেই গোপনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ বেশী পায় বলেই জানা যায়। এছাড়াও নামের ওয়ার্ড ভুল হয়েছে, জরুরী পাশফোর্ট বানাতে হবে, এক্ষেত্রে সংসোধনীর জন্যে চক্রটি ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেয়।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সমস্যা থাকলে পাসপোর্ট,দলিলপত্র, চাকরিসহ অন্যান্য জরুরী কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সমস্যা সমাধানে সরকার নির্ধারিত ফি এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিয়েও সমাধান পাওয়া যায় না,যতক্ষণ না বাড়তি ফি দেয়া না হয়,ততক্ষণ কোন প্রকার সেবা পাওয়ার আশা করা ভ’ল সদরপুর নির্বাচন অফিস থেকে। কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তারা কোনো কথা বলেন না, কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে– কিছুই জানানো হয় না, এমন কী অসৌজন্য মুলক আচরনও করে। বেশীর ভাগ সময় নির্বাচন অফিসার অফিসে থাকে না বলেই জানা যায়। অফিসে যে কয়জন থাকেন তাদের মধ্যে কেউ একজন ইঙ্গিতে বলে দেয়া তার সাথে কথা বলার জন্যে বা সামনে দোকানে যেতে পারেন। এর পরেই নির্বাচন কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটররা সামনের কম্পিউটারের দোকানে পাঠিয়ে দেন। সেখানে দোকানিরা কাজের ধরন অনুযায়ী টাকার রেট বলে দেয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন, সংশোধন, স্থানান্তারে তারা ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা নেন। টাকা দিলেই অল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত কাজ হয়ে যায়।

স্থানীয় হাসেম শেখ জানান, তাঁর পরিচয়পত্রে জন্ম ১৯৮৮ সালের পরিবর্তে ১৯৭৭ লেখা হয়েছে। অথচ তাঁর মায়ের জন্মই ১৯৭৫ সালে। এটি সংশোধনে নির্বাচন অফিসের সামনের কম্পিউটারের দোকানে গেলে বলা হয়, এত বেশি বয়স নির্বাচন অফিস ঠিক করবে না। এর জন্য ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকার পরিমাণ শুনে তিনি সরকারি ২৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করে চলে আসেন। এর সপ্তাহ দুই পর তাঁর মোবাইল ফোনে মেসেজ করে জানানো হয় আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। এর পর আবেদন কারি ঐ কম্পিউটার দোকানে গেলে সুযোগ বুঝে আরও বেশি টাকা দাবি করে থাকে।

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: তৌফিক–ই–ইলাহীর জামিন আবেদন খারিজ, ফারুক খানের শুনানি সোমবার

ছবি

সায়েন্স ল্যাব থেকে গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগে সিলেট বিআরটিএ দুদকের অভিযান, ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার

ছবি

সার আত্মসাৎ , সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সালমান এফ রহমানসহ পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও ১০৭ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

অভিনেতা সিদ্দিক সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

কোটি টাকা চাঁদা দাবি, কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

ছবি

তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ মাদকসেবীর কারাদন্ড

ছবি

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি

জুলাই আন্দোলন: হত্যা মামলায় তুরিন আফরোজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়লো

ছবি

নোয়াখালীতে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে

ছবি

বরগুনার তালতলীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ

মাদক মামলায় কাভার্ডভ্যান মালিকের যাবজ্জীবন

সোনারগাঁয়ে সম্পতি লিখে না দেয়ায় বাবাকে মেরে আহত করেছে ছেলে মেয়েরা

ছবি

উল্লাপাড়ায় বিএনপির ৭ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে, বহিষ্কার দাবি

বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ তিনদিনের রিমান্ডে

ছবি

মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী শ্রাবণ নিহত, শেখ হাসিনাসহ ৪০৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

ছবি

রাজউক প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার প্রতিবেদন পেন্ডিং, নতুন দিন ১২ মে

ছবি

উখিয়ায় চারজন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার দূর্নীতির অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে ডাকাতদের হামলায় ব্যবসায়ী আহত

ছবি

আখাউড়ায় গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩

সিলেটে এসআই জিয়াউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত, সুপারিশ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রীকে খুন করেন মসজিদের ইমাম

চুনারুঘাটে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ কারাগারে

ছবি

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুন: বন্ধুদের ডাকে গিয়েই জড়িয়ে পড়ে হত্যায়, গ্রেপ্তার ৩ বহিরাগত

ছবি

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতা আসামি

রাজশাহীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচ ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

সদরপুর নির্বাচন অফিসে দালাল ছাড়া মেলে না সেবা

প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)

বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের বানান সংশোধন করতে তিন মাস আগে ফরিদপুরের সদরপুর নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছিলেন পূর্ব শ্যামপুর এলাকার মোঃ বাবু মিজান। এর পর বেশ কয়েকবার নির্বাচনী কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এমন কী আবেদনটি কোন অবস্থায় আছে সেটিও জানতে পারেননি। শুধু মিজানই নন, উপজেলার যেসব লোকজন নির্বাচন অফিসে আসা যাওয়া অধিকাংশ সেবা গ্রহীতাদের অবস্থাই একই ধরনের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার এই নির্বাচনী কার্যালয় ঘিরে গড়ে উঠেছে দালাল সিন্ডিকেট। নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন, সংশোধন, স্থানান্তরসহ সব ধরনের সেবা নিতেই এই চক্রের দ্বারস্থ হতে হয়। দালাল ধরে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে টাকা(ঘুষ) দিলেই অল্প সময়ের মধ্যেই মিলে কাঙ্খিত সমাধান। এর ব্যাতিক্রম হলে মাসের পর মাস ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন খোদ নির্বাচন অফিসেরই নৈমদ্দিন(অফিসসহায়ক)সহ কয়েকজন কর্মচারী এবং পাশেই কয়েকটি কম্পিউটারের দোকানের মালিক এই সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। বিশেষ করে নৈমদ্দিন নিজ এলাকায় চাকুরি করার সুবাধে এই উপজেলার বেশীর ভাগ লোকই তার কাছে আসে,সেসুবাধেই গোপনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ বেশী পায় বলেই জানা যায়। এছাড়াও নামের ওয়ার্ড ভুল হয়েছে, জরুরী পাশফোর্ট বানাতে হবে, এক্ষেত্রে সংসোধনীর জন্যে চক্রটি ৫০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেয়।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সমস্যা থাকলে পাসপোর্ট,দলিলপত্র, চাকরিসহ অন্যান্য জরুরী কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সমস্যা সমাধানে সরকার নির্ধারিত ফি এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিয়েও সমাধান পাওয়া যায় না,যতক্ষণ না বাড়তি ফি দেয়া না হয়,ততক্ষণ কোন প্রকার সেবা পাওয়ার আশা করা ভ’ল সদরপুর নির্বাচন অফিস থেকে। কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তারা কোনো কথা বলেন না, কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে– কিছুই জানানো হয় না, এমন কী অসৌজন্য মুলক আচরনও করে। বেশীর ভাগ সময় নির্বাচন অফিসার অফিসে থাকে না বলেই জানা যায়। অফিসে যে কয়জন থাকেন তাদের মধ্যে কেউ একজন ইঙ্গিতে বলে দেয়া তার সাথে কথা বলার জন্যে বা সামনে দোকানে যেতে পারেন। এর পরেই নির্বাচন কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটররা সামনের কম্পিউটারের দোকানে পাঠিয়ে দেন। সেখানে দোকানিরা কাজের ধরন অনুযায়ী টাকার রেট বলে দেয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন, সংশোধন, স্থানান্তারে তারা ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা নেন। টাকা দিলেই অল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত কাজ হয়ে যায়।

স্থানীয় হাসেম শেখ জানান, তাঁর পরিচয়পত্রে জন্ম ১৯৮৮ সালের পরিবর্তে ১৯৭৭ লেখা হয়েছে। অথচ তাঁর মায়ের জন্মই ১৯৭৫ সালে। এটি সংশোধনে নির্বাচন অফিসের সামনের কম্পিউটারের দোকানে গেলে বলা হয়, এত বেশি বয়স নির্বাচন অফিস ঠিক করবে না। এর জন্য ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকার পরিমাণ শুনে তিনি সরকারি ২৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে আবেদন করে চলে আসেন। এর সপ্তাহ দুই পর তাঁর মোবাইল ফোনে মেসেজ করে জানানো হয় আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে। এর পর আবেদন কারি ঐ কম্পিউটার দোকানে গেলে সুযোগ বুঝে আরও বেশি টাকা দাবি করে থাকে।

back to top