রাজধানীর দারুসসালাম এলাকায় র‍্যাব-৪ ও ৬ এর যৌথ অভিযানে জয়নুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. হাফিজুর রহমানকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪ ও ৬ এর যৌথ একটি আভিযানিক দল।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৪ এর মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভুক্তভোগী জয়নুল ও জাকিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে পরিবারের অমতে দুজনে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে জাকিয়ার পরিবার জাকিয়াকে জোরপূর্বক জয়নুলের কাছ থেকে নিয়ে আসে। পরে জয়নুলের সঙ্গে জাকিয়ার প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসী মাহামুদুল হাসানের সঙ্গে বিয়ে দেন। ভুক্তভোগী জয়নুল ও জাকিয়ার মধ্যে বিয়ের বিষয়টি ভিকটিম জয়নুল জাকিয়ার বর্তমান স্বামীকে জানালে তিনি জাকিয়াকে তার বাবার বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। যার ফলে জাকিয়ার পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে জয়নুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী জাকিয়ার পরিবার দুই লাখ টাকার বিনিময়ে জয়নুলকে হত্যার জন্য তার পূর্ব পরিচিত আসামি হাফিজুর রহমানকে ভাড়া করে। হাফিজুর জয়নুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অচেতন করে, পরবর্তীতে তার গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ দারুসসালাম এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

র‍্যাব-৪ এর মুখপাত্র আরও বলেন, ২০১০ সালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা রুজুর পর থেকে হত্যাকারী আত্মগোপন করেন। দীর্ঘদিন ধরে আসামিদের অনুপস্থিতিতে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে দীর্ঘ বিচার কার্য শেষে সম্প্রতি মো. হাফিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকেই আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে আত্মগোপনে ছিলেন।

গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।