এফ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ওরফে সাগর, মো. ওয়াসিম আকরাম এবং মো. জাহিদুল ইসলাম। প্রত্যেকের বয়স ৩০ থেকে ৩৮। ভিন্ন ভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীতে তারা মিলেমিশে ছিনতাই করে। কেউ বাধা দিলে গায়ে বমি করে দেয়, এরপর নগদ অর্থ, মোবাইল বা অণ্য মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হলেও বেশিদিন জেলে থাকতে হয়না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর থানার মনিপুর এলাকা থেকে এ ৩ পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র( ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে গ্রেপ্তার হওয়া সাগর, ওয়াসিম, জাহিদ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। সাগর এই দলের প্রধান। এই দলে সাতজন সদস্য রয়েছে। তারা তিন ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রথমে তারা কোন বাসে উঠে। একজন টার্গেটের উপর বমি করে দেয়। তখন দুই, তিন সদস্য সেখানে হৈ চৈ শুরু করে জটলা তৈরি করে। সুযোগ বুঝে দুই সদস্য ভিড়ের মধ্যে থাকা মানুষের মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে বাইরে অপেক্ষমান বাকি সদস্যকে দিয়ে দেয়। এরপর সবাই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, কাজের সুবিধার্তে তাদের নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে। তারা টার্গেটকে ডাকে মামা নামে, পুলিশকে ডাকে লাতা নামে, এছাড়া দলনেতাকে মিস্ত্রী, সহযোগীকে তালবাজ কিংবা ঠেকো, গাড়িকে চাক্কা বলে। তারা নিজেদের গ্রুপের নাম দিয়েছে সেভেন স্টার।
দলের সাত সদস্য সাত পৃথক জেলার বাসিন্দা। তারা তিন বছর ধরে একসাথে কাজ করলেও কেউই কারও বাসা চেনে না! ছিনতাইকৃত টাকা তারা তিন ভাগে ভাগ করে। একভাগ দলনেতা, একভাগ তাদের মামলা মোকাবেলার এবং এক ভাগ বাকি সদস্যদের জন্য।
মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, তাদের কেউ একজন গ্রেপ্তার হলে বাকি সদস্যরা জামিন করায়। জামিন করার জন্য তাদের নিজস্ব ফান্ড থাকে। নিজেদের নির্ধারিত আইনজীবি রয়েছে যারা এদের পক্ষে আদালতে লড়াই করে। গ্রেপ্তার সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬ টি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা রয়েছে।
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এফ এম সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ওরফে সাগর, মো. ওয়াসিম আকরাম এবং মো. জাহিদুল ইসলাম। প্রত্যেকের বয়স ৩০ থেকে ৩৮। ভিন্ন ভিন্ন জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীতে তারা মিলেমিশে ছিনতাই করে। কেউ বাধা দিলে গায়ে বমি করে দেয়, এরপর নগদ অর্থ, মোবাইল বা অণ্য মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হলেও বেশিদিন জেলে থাকতে হয়না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিরপুর থানার মনিপুর এলাকা থেকে এ ৩ পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র( ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে গ্রেপ্তার হওয়া সাগর, ওয়াসিম, জাহিদ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। সাগর এই দলের প্রধান। এই দলে সাতজন সদস্য রয়েছে। তারা তিন ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রথমে তারা কোন বাসে উঠে। একজন টার্গেটের উপর বমি করে দেয়। তখন দুই, তিন সদস্য সেখানে হৈ চৈ শুরু করে জটলা তৈরি করে। সুযোগ বুঝে দুই সদস্য ভিড়ের মধ্যে থাকা মানুষের মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে বাইরে অপেক্ষমান বাকি সদস্যকে দিয়ে দেয়। এরপর সবাই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে, কাজের সুবিধার্তে তাদের নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে। তারা টার্গেটকে ডাকে মামা নামে, পুলিশকে ডাকে লাতা নামে, এছাড়া দলনেতাকে মিস্ত্রী, সহযোগীকে তালবাজ কিংবা ঠেকো, গাড়িকে চাক্কা বলে। তারা নিজেদের গ্রুপের নাম দিয়েছে সেভেন স্টার।
দলের সাত সদস্য সাত পৃথক জেলার বাসিন্দা। তারা তিন বছর ধরে একসাথে কাজ করলেও কেউই কারও বাসা চেনে না! ছিনতাইকৃত টাকা তারা তিন ভাগে ভাগ করে। একভাগ দলনেতা, একভাগ তাদের মামলা মোকাবেলার এবং এক ভাগ বাকি সদস্যদের জন্য।
মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, তাদের কেউ একজন গ্রেপ্তার হলে বাকি সদস্যরা জামিন করায়। জামিন করার জন্য তাদের নিজস্ব ফান্ড থাকে। নিজেদের নির্ধারিত আইনজীবি রয়েছে যারা এদের পক্ষে আদালতে লড়াই করে। গ্রেপ্তার সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬ টি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা রয়েছে।