বিদঘুটে গন্ধে খোঁজ মিলল
বিদঘুটে গন্ধে খোঁজ মিলল পোশাক শ্রমিক দম্পতি ও তার সন্তানের জবাই করা লাশ। স্থানীয়দের ধারণা মরদেহগুলো আনুমানিক ৩ দিন আগের।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরআগে গত শনিবার রাতে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার শেখ মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ভবনের ছয় তলা বাড়ির ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে এ হত্যাকান্ডের শিকার ওই তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মুক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২) । শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আশুলিয়ায় আলাদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বিদঘুটে দুর্গন্ধ আসছিল। পরে ওই গন্ধের খোঁজে ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডাকার জন্য দরজা ধাক্কা দেয় প্রতিবেশীরা। এ সময় দরজা খোলা ও ফ্ল্যাটের ভিতরের কক্ষে বিছানার ওপরে মা ও ছেলের জবাই করা মরদেহ দেখা যায়। পরে পাশের কক্ষে হাত বাঁধা ও জবাই করা মুক্তারের মরদেহ দেখে থানায় ও বাড়ির মালিককে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নিহত মুক্তারের ভগ্নিপতি রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। কিন্তু আমি তো কিছুই জানিনা। মোক্তার সম্পর্কে আমার শ্যালক হয়। আনুমানিক ৫-৭ বছর ধরে সে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি বলে জানান তিনি।
বাড়ির মালিক শেখ মেহেদী হাসান জানান, ‘মুক্তার ও শাহিদা দম্পতি আমার বাসায় ৮ বছর ধরে ভাড়া থাকে। তারা উভয়েই পোশাক কারখানায় কাজ করতো। তাদের এক ছেলে সন্তানও ছিল’ বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে মা ও ছেলের মরদেহ একই বিছানার ওপরে দেখতে পেয়েছি। এছাড়া পাশের রুমের বিছানার ওপর থেকে স্বামীর জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রোববার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুপুরে নিহত মুক্তার হোসেন বাবুলের ভাই আয়নাল হক এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হত্যাকান্ডের ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়, তাদের চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। অচেতন করার পর তাদের হত্যা করা হতে পারে। মরদেহগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রায় ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে তাদের ঘরের কোনো কিছু খোয়া যায়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে জানান তিনি।
বিদঘুটে গন্ধে খোঁজ মিলল
রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩
বিদঘুটে গন্ধে খোঁজ মিলল পোশাক শ্রমিক দম্পতি ও তার সন্তানের জবাই করা লাশ। স্থানীয়দের ধারণা মরদেহগুলো আনুমানিক ৩ দিন আগের।
রোববার (১ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরআগে গত শনিবার রাতে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার শেখ মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ভবনের ছয় তলা বাড়ির ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে এ হত্যাকান্ডের শিকার ওই তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মুক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২) । শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আশুলিয়ায় আলাদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বিদঘুটে দুর্গন্ধ আসছিল। পরে ওই গন্ধের খোঁজে ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডাকার জন্য দরজা ধাক্কা দেয় প্রতিবেশীরা। এ সময় দরজা খোলা ও ফ্ল্যাটের ভিতরের কক্ষে বিছানার ওপরে মা ও ছেলের জবাই করা মরদেহ দেখা যায়। পরে পাশের কক্ষে হাত বাঁধা ও জবাই করা মুক্তারের মরদেহ দেখে থানায় ও বাড়ির মালিককে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নিহত মুক্তারের ভগ্নিপতি রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘অনেকেই ফোন করে খবর নিচ্ছে। আমি ঠাকুরগাঁওয়ে থাকি। কিন্তু আমি তো কিছুই জানিনা। মোক্তার সম্পর্কে আমার শ্যালক হয়। আনুমানিক ৫-৭ বছর ধরে সে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি বলে জানান তিনি।
বাড়ির মালিক শেখ মেহেদী হাসান জানান, ‘মুক্তার ও শাহিদা দম্পতি আমার বাসায় ৮ বছর ধরে ভাড়া থাকে। তারা উভয়েই পোশাক কারখানায় কাজ করতো। তাদের এক ছেলে সন্তানও ছিল’ বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই জোহাব আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে মা ও ছেলের মরদেহ একই বিছানার ওপরে দেখতে পেয়েছি। এছাড়া পাশের রুমের বিছানার ওপর থেকে স্বামীর জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রোববার সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুপুরে নিহত মুক্তার হোসেন বাবুলের ভাই আয়নাল হক এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হত্যাকান্ডের ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়, তাদের চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। অচেতন করার পর তাদের হত্যা করা হতে পারে। মরদেহগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রায় ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে তাদের ঘরের কোনো কিছু খোয়া যায়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে জানান তিনি।