মো: ইমন হোসেন(২৫) এর বাড়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায়। ছয় বছর আগে তার বাবা মারা যান। রেখে যান তাদের এক বোন, দুই ভাই ও তার মাকে। তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড়ভাই ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করে সংসার চালাচ্ছেন। আরেকটু স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাতে ইমন হোসেনকে গ্রীস দেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সকলে মিলে।
বর্তমানে কোন দেশে ভ্রমণ কিংবা শ্রমিক ভিসায় যেতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী ইমন হোসেনও অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
ইমন হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের নির্দিষ্ট অয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ০১ অক্টোবর জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য মাহফুজ পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করা হয় এবং তাকে তার সকল কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে স্থানীয় টিএন্ডটি মোড় বাজারে দেখা করতে বলা হয়।
পরে ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যের চাহিদামত কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে দেখা করেন। পরবর্তিতে পুলিশ সদস্য সকল কাগজপত্র বুঝে পাওয়ার পর ইমন হোসেনের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করেন। তখন ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যকে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে ইমন হোসেনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দিবেন বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
পরে ইমন হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে জানালে এই প্রতিবেদক ঘটনার পুরো বিষয়টি জানতে থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় যে পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেছেন ও ডেকে এনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে টাকা দাবী করেছেন তার নাম আশিক ভূইয়া। তিনি পুলিশের একজন কনস্টেবল সদস্য এবং জাজিরা থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
পরে এই প্রতিবেদক পুলিশের সদস্য আশিক ভূইয়ার কাছে ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এই প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
পরবর্তিতে থানার উর্ধতন দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ আবেদনের তদন্তের দায়িত্বে আছেন জাজিরা থানার এসআই আফরোজা আক্তার।
বিষয়টি নিয়ে এসআই আফরোজা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই নামের তথ্য আমার কাছে নেই, আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিচ্ছি আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।’ তখন এই প্রতিবেদক পুলিশের ঐ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, তবে কি আপনি আপনার প্রাপ্ত তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে সম্পন্ন করেন? এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ভুক্তভোগীর কাছে বাড়তি টাকা দাবীর বিষয়টি জানেন? এসময় এসআই আফরোজা আক্তার কোন সদুত্তর না দিয়েই ফোনটি রেখে দেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বলেন, ‘আমি জানতাম পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে সরকারিভাবে আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারিত। সেজন্য আমার এক বন্ধুকে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে অনলাইনেই আবেদন ফি পরিশোধ করেছি। কিন্তু জাজিরা থানা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমার কাছে কাগজপত্রের ফটোকপি চেয়ে সাথে এক হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা না দেয়ায় আমার ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট দিবে বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আমার বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি খুবই জরুরী। তাই এখন আমি চিন্তিত।’
দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যবেক্ষণ ও আরো একাধিক সেবাপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের কাছে জানা যায়, জাজিরা থানায় পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাদের সুবিধামত স্থানে ভুক্তভোগীদের কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসতে বলেন। যদিও ভেরিফিকেশনের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির ভেরিফিকেশন করতে হয় তার বসবাসস্থ কিংবা ঠিকানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।
এছারাও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআই আফরোজা আক্তারসহ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা নিজে তদন্ত না করে থানার কম্পিউটার অপারেটরদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে সেবাপ্রার্থীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে আলোচনা করলে তিনি সংবাদকে বলেন, এধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
মো: ইমন হোসেন(২৫) এর বাড়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায়। ছয় বছর আগে তার বাবা মারা যান। রেখে যান তাদের এক বোন, দুই ভাই ও তার মাকে। তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড়ভাই ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করে সংসার চালাচ্ছেন। আরেকটু স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাতে ইমন হোসেনকে গ্রীস দেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সকলে মিলে।
বর্তমানে কোন দেশে ভ্রমণ কিংবা শ্রমিক ভিসায় যেতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী ইমন হোসেনও অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
ইমন হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের নির্দিষ্ট অয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ০১ অক্টোবর জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য মাহফুজ পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করা হয় এবং তাকে তার সকল কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে স্থানীয় টিএন্ডটি মোড় বাজারে দেখা করতে বলা হয়।
পরে ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যের চাহিদামত কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে দেখা করেন। পরবর্তিতে পুলিশ সদস্য সকল কাগজপত্র বুঝে পাওয়ার পর ইমন হোসেনের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করেন। তখন ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যকে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে ইমন হোসেনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দিবেন বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
পরে ইমন হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে জানালে এই প্রতিবেদক ঘটনার পুরো বিষয়টি জানতে থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় যে পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেছেন ও ডেকে এনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে টাকা দাবী করেছেন তার নাম আশিক ভূইয়া। তিনি পুলিশের একজন কনস্টেবল সদস্য এবং জাজিরা থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
পরে এই প্রতিবেদক পুলিশের সদস্য আশিক ভূইয়ার কাছে ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এই প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
পরবর্তিতে থানার উর্ধতন দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ আবেদনের তদন্তের দায়িত্বে আছেন জাজিরা থানার এসআই আফরোজা আক্তার।
বিষয়টি নিয়ে এসআই আফরোজা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই নামের তথ্য আমার কাছে নেই, আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিচ্ছি আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।’ তখন এই প্রতিবেদক পুলিশের ঐ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, তবে কি আপনি আপনার প্রাপ্ত তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে সম্পন্ন করেন? এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ভুক্তভোগীর কাছে বাড়তি টাকা দাবীর বিষয়টি জানেন? এসময় এসআই আফরোজা আক্তার কোন সদুত্তর না দিয়েই ফোনটি রেখে দেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বলেন, ‘আমি জানতাম পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে সরকারিভাবে আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারিত। সেজন্য আমার এক বন্ধুকে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে অনলাইনেই আবেদন ফি পরিশোধ করেছি। কিন্তু জাজিরা থানা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমার কাছে কাগজপত্রের ফটোকপি চেয়ে সাথে এক হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা না দেয়ায় আমার ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট দিবে বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আমার বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি খুবই জরুরী। তাই এখন আমি চিন্তিত।’
দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যবেক্ষণ ও আরো একাধিক সেবাপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের কাছে জানা যায়, জাজিরা থানায় পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাদের সুবিধামত স্থানে ভুক্তভোগীদের কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসতে বলেন। যদিও ভেরিফিকেশনের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির ভেরিফিকেশন করতে হয় তার বসবাসস্থ কিংবা ঠিকানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।
এছারাও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআই আফরোজা আক্তারসহ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা নিজে তদন্ত না করে থানার কম্পিউটার অপারেটরদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে সেবাপ্রার্থীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে আলোচনা করলে তিনি সংবাদকে বলেন, এধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।