alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

জাজিরায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে তদন্ত করেন কম্পিউটার অপারেটর, দাবী করা হয় টাকা

মো. পলাশ খান, শরীয়তপুর(জাজিরা) : মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

মো: ইমন হোসেন(২৫) এর বাড়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায়। ছয় বছর আগে তার বাবা মারা যান। রেখে যান তাদের এক বোন, দুই ভাই ও তার মাকে। তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড়ভাই ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করে সংসার চালাচ্ছেন। আরেকটু স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাতে ইমন হোসেনকে গ্রীস দেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সকলে মিলে।

বর্তমানে কোন দেশে ভ্রমণ কিংবা শ্রমিক ভিসায় যেতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী ইমন হোসেনও অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

ইমন হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের নির্দিষ্ট অয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ০১ অক্টোবর জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য মাহফুজ পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করা হয় এবং তাকে তার সকল কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে স্থানীয় টিএন্ডটি মোড় বাজারে দেখা করতে বলা হয়।

পরে ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যের চাহিদামত কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে দেখা করেন। পরবর্তিতে পুলিশ সদস্য সকল কাগজপত্র বুঝে পাওয়ার পর ইমন হোসেনের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করেন। তখন ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যকে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে ইমন হোসেনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দিবেন বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

পরে ইমন হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে জানালে এই প্রতিবেদক ঘটনার পুরো বিষয়টি জানতে থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় যে পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেছেন ও ডেকে এনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে টাকা দাবী করেছেন তার নাম আশিক ভূইয়া। তিনি পুলিশের একজন কনস্টেবল সদস্য এবং জাজিরা থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

পরে এই প্রতিবেদক পুলিশের সদস্য আশিক ভূইয়ার কাছে ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এই প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

পরবর্তিতে থানার উর্ধতন দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ আবেদনের তদন্তের দায়িত্বে আছেন জাজিরা থানার এসআই আফরোজা আক্তার।

বিষয়টি নিয়ে এসআই আফরোজা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই নামের তথ্য আমার কাছে নেই, আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিচ্ছি আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।’ তখন এই প্রতিবেদক পুলিশের ঐ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, তবে কি আপনি আপনার প্রাপ্ত তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে সম্পন্ন করেন? এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ভুক্তভোগীর কাছে বাড়তি টাকা দাবীর বিষয়টি জানেন? এসময় এসআই আফরোজা আক্তার কোন সদুত্তর না দিয়েই ফোনটি রেখে দেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বলেন, ‘আমি জানতাম পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে সরকারিভাবে আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারিত। সেজন্য আমার এক বন্ধুকে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে অনলাইনেই আবেদন ফি পরিশোধ করেছি। কিন্তু জাজিরা থানা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমার কাছে কাগজপত্রের ফটোকপি চেয়ে সাথে এক হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা না দেয়ায় আমার ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট দিবে বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আমার বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি খুবই জরুরী। তাই এখন আমি চিন্তিত।’

দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যবেক্ষণ ও আরো একাধিক সেবাপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের কাছে জানা যায়, জাজিরা থানায় পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাদের সুবিধামত স্থানে ভুক্তভোগীদের কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসতে বলেন। যদিও ভেরিফিকেশনের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির ভেরিফিকেশন করতে হয় তার বসবাসস্থ কিংবা ঠিকানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।

এছারাও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআই আফরোজা আক্তারসহ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা নিজে তদন্ত না করে থানার কম্পিউটার অপারেটরদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে সেবাপ্রার্থীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে আলোচনা করলে তিনি সংবাদকে বলেন, এধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: তৌফিক–ই–ইলাহীর জামিন আবেদন খারিজ, ফারুক খানের শুনানি সোমবার

ছবি

সায়েন্স ল্যাব থেকে গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগে সিলেট বিআরটিএ দুদকের অভিযান, ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার

ছবি

সার আত্মসাৎ , সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সালমান এফ রহমানসহ পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও ১০৭ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

অভিনেতা সিদ্দিক সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

কোটি টাকা চাঁদা দাবি, কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

ছবি

তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ মাদকসেবীর কারাদন্ড

ছবি

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি

জুলাই আন্দোলন: হত্যা মামলায় তুরিন আফরোজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়লো

ছবি

নোয়াখালীতে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে

ছবি

বরগুনার তালতলীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ

মাদক মামলায় কাভার্ডভ্যান মালিকের যাবজ্জীবন

সোনারগাঁয়ে সম্পতি লিখে না দেয়ায় বাবাকে মেরে আহত করেছে ছেলে মেয়েরা

ছবি

উল্লাপাড়ায় বিএনপির ৭ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে, বহিষ্কার দাবি

বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ তিনদিনের রিমান্ডে

ছবি

মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী শ্রাবণ নিহত, শেখ হাসিনাসহ ৪০৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

ছবি

রাজউক প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার প্রতিবেদন পেন্ডিং, নতুন দিন ১২ মে

ছবি

উখিয়ায় চারজন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার দূর্নীতির অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে ডাকাতদের হামলায় ব্যবসায়ী আহত

ছবি

আখাউড়ায় গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩

সিলেটে এসআই জিয়াউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত, সুপারিশ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রীকে খুন করেন মসজিদের ইমাম

চুনারুঘাটে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ কারাগারে

ছবি

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুন: বন্ধুদের ডাকে গিয়েই জড়িয়ে পড়ে হত্যায়, গ্রেপ্তার ৩ বহিরাগত

ছবি

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতা আসামি

রাজশাহীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচ ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

জাজিরায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে তদন্ত করেন কম্পিউটার অপারেটর, দাবী করা হয় টাকা

মো. পলাশ খান, শরীয়তপুর(জাজিরা)

মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩

মো: ইমন হোসেন(২৫) এর বাড়ী শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর এলাকায়। ছয় বছর আগে তার বাবা মারা যান। রেখে যান তাদের এক বোন, দুই ভাই ও তার মাকে। তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর বড়ভাই ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করে সংসার চালাচ্ছেন। আরেকটু স্বচ্ছলভাবে সংসার চালাতে ইমন হোসেনকে গ্রীস দেশে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবারের সকলে মিলে।

বর্তমানে কোন দেশে ভ্রমণ কিংবা শ্রমিক ভিসায় যেতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী ইমন হোসেনও অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

ইমন হোসেন গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের নির্দিষ্ট অয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ০১ অক্টোবর জাজিরা থানা থেকে পুলিশ সদস্য মাহফুজ পরিচয় দিয়ে তাকে ফোন করা হয় এবং তাকে তার সকল কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে স্থানীয় টিএন্ডটি মোড় বাজারে দেখা করতে বলা হয়।

পরে ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যের চাহিদামত কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে দেখা করেন। পরবর্তিতে পুলিশ সদস্য সকল কাগজপত্র বুঝে পাওয়ার পর ইমন হোসেনের কাছে ১ হাজার টাকা দাবী করেন। তখন ইমন হোসেন ঐ পুলিশ সদস্যকে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে ইমন হোসেনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্ত প্রতিবেদন নেগেটিভ দিবেন বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

পরে ইমন হোসেন বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে জানালে এই প্রতিবেদক ঘটনার পুরো বিষয়টি জানতে থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় যে পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেছেন ও ডেকে এনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে টাকা দাবী করেছেন তার নাম আশিক ভূইয়া। তিনি পুলিশের একজন কনস্টেবল সদস্য এবং জাজিরা থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

পরে এই প্রতিবেদক পুলিশের সদস্য আশিক ভূইয়ার কাছে ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি কোন ধরণের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এই প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

পরবর্তিতে থানার উর্ধতন দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইমন হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ আবেদনের তদন্তের দায়িত্বে আছেন জাজিরা থানার এসআই আফরোজা আক্তার।

বিষয়টি নিয়ে এসআই আফরোজা আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই নামের তথ্য আমার কাছে নেই, আপনাকে একটি মোবাইল নম্বর দিচ্ছি আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।’ তখন এই প্রতিবেদক পুলিশের ঐ কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, তবে কি আপনি আপনার প্রাপ্ত তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে সম্পন্ন করেন? এবং ভেরিফিকেশনের জন্য ভুক্তভোগীর কাছে বাড়তি টাকা দাবীর বিষয়টি জানেন? এসময় এসআই আফরোজা আক্তার কোন সদুত্তর না দিয়েই ফোনটি রেখে দেন।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ইমন হোসেন বলেন, ‘আমি জানতাম পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে সরকারিভাবে আবেদন ফি ৫০০ টাকা নির্ধারিত। সেজন্য আমার এক বন্ধুকে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে অনলাইনেই আবেদন ফি পরিশোধ করেছি। কিন্তু জাজিরা থানা থেকে একজন পুলিশ সদস্য আমার কাছে কাগজপত্রের ফটোকপি চেয়ে সাথে এক হাজার টাকা দাবী করে। আমি টাকা না দেয়ায় আমার ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট দিবে বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আমার বিদেশ যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি খুবই জরুরী। তাই এখন আমি চিন্তিত।’

দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যবেক্ষণ ও আরো একাধিক সেবাপ্রার্থী ভুক্তভোগীদের কাছে জানা যায়, জাজিরা থানায় পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদের ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাদের সুবিধামত স্থানে ভুক্তভোগীদের কাগজপত্রের ফটোকপি নিয়ে আসতে বলেন। যদিও ভেরিফিকেশনের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির ভেরিফিকেশন করতে হয় তার বসবাসস্থ কিংবা ঠিকানায় গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।

এছারাও পুলিশ ভেরিফিকেশনের তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআই আফরোজা আক্তারসহ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা নিজে তদন্ত না করে থানার কম্পিউটার অপারেটরদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে সেবাপ্রার্থীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলম এর সাথে আলোচনা করলে তিনি সংবাদকে বলেন, এধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার যাথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

back to top