বাবার সাথে দ্বন্দ্বে তার শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিঠু ভূঁইয়া (৩১) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, একই মামলায় তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই মামলার অপর দু’টি ধারায় ১০ বছর ও ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ৬ বছর বয়সী শিশু সিয়ামকে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় মিঠু ভূঁইয়া। সিয়ামের পিতা মোফাজ্জল হোসেনের ট্রলিগাড়ি চালাতেন মিঠু। একবার দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হলে মিঠুকে চর মারে মোফাজ্জল। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জলের শিশুটিকে নদীতে ফেলে হত্যা করে মিঠু।
এই ঘটনায় নিহতের মা ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর মিঠু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এই মামলার বিচার চলাকালীন বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদানের রায় ঘোষণা করে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
আসামিকে রায়ের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
বাবার সাথে দ্বন্দ্বে তার শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যার অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিঠু ভূঁইয়া (৩১) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, একই মামলায় তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই মামলার অপর দু’টি ধারায় ১০ বছর ও ৭ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ৬ বছর বয়সী শিশু সিয়ামকে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় মিঠু ভূঁইয়া। সিয়ামের পিতা মোফাজ্জল হোসেনের ট্রলিগাড়ি চালাতেন মিঠু। একবার দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হলে মিঠুকে চর মারে মোফাজ্জল। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জলের শিশুটিকে নদীতে ফেলে হত্যা করে মিঠু।
এই ঘটনায় নিহতের মা ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর মিঠু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এই মামলার বিচার চলাকালীন বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদানের রায় ঘোষণা করে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
আসামিকে রায়ের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।