গত ২১শে মে রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সিংহ নদী খননের সময় উদ্ধার হয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কঙ্কাল। পাশে পড়ে থাকা পরনের কাপড়ের অংশ থেকে বাবা-মার বুঝতে বাকি থাকে না এটি তাদের ছেলেরই লাশ।
সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের হেডকোয়াটার্সে সেই ঘটনারই বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থাটির ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা। পিবিআইয়ের মিডিয়া শাখার এসপি আবু ইউসুফও ছিলেন এ সময়।
পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২২ নভেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহ ভাজন আঁখি আক্তার ও আলাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, আঁখি আক্তারের স্বামী ওমর ফারুক বিদেশে থাকেন। ওই সময় প্রতিবেশী রুমান শিকদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। এ ঘটনা জানতে পারেন আঁখির স্বামী। পরে স্বামী দেশে ফিরে আসার পর বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়।
এরপর আবার রুমানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আঁখি। এক পর্যায়ে এই দুজন পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আঁখিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু রুমান বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এরপর স্বামীর কাছে ফিরে যান আঁখি। এরপর থেকে পালিয়ে থাকার সময় আঁখির সঙ্গে বাসাভাড়া নিয়ে থাকার কথা এলাকায় লোকজনের কাছে বলে বেড়ায় রুমান শিকদার। এতে রুমানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আঁখি আক্তার। গত ২২শে মার্চ রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে রুমান শিকদারকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আঁখি। কথা বলার এক পর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রোমান শিকদারের মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে আঁখি আক্তার ও তার স্বামী ফারুক লাশ বস্তাবন্দী করে গুম করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সিংহ নদীতে লাশ ফেলে দেয়। লাশ ফেলতে আসামি আলাল মোল্লা সহযোগিতা করেন ওই দম্পতিকে।
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, কঙ্কাল উদ্ধারের পর ভিকটিম রুমান শিকদারের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের আবেদন ক্রমে থানা পুলিশ রুমানের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফ (৬) ডিএনএন নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি অফিসে পাঠান। সিআইডি ডিএনএ টেস্ট করে রুমান শিকদার তাদের পিতা বলে মতামত দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আঁখি আক্তার ও আলাল মোল্লা পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে রুমান শিকদারকে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
গত ২১শে মে রাজধানীর অদূরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সিংহ নদী খননের সময় উদ্ধার হয় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কঙ্কাল। পাশে পড়ে থাকা পরনের কাপড়ের অংশ থেকে বাবা-মার বুঝতে বাকি থাকে না এটি তাদের ছেলেরই লাশ।
সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের হেডকোয়াটার্সে সেই ঘটনারই বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থাটির ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা। পিবিআইয়ের মিডিয়া শাখার এসপি আবু ইউসুফও ছিলেন এ সময়।
পিবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২২ নভেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহ ভাজন আঁখি আক্তার ও আলাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে পিবিআই জানতে পারে, আঁখি আক্তারের স্বামী ওমর ফারুক বিদেশে থাকেন। ওই সময় প্রতিবেশী রুমান শিকদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আঁখি। এ ঘটনা জানতে পারেন আঁখির স্বামী। পরে স্বামী দেশে ফিরে আসার পর বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়।
এরপর আবার রুমানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আঁখি। এক পর্যায়ে এই দুজন পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আঁখিকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু রুমান বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এরপর স্বামীর কাছে ফিরে যান আঁখি। এরপর থেকে পালিয়ে থাকার সময় আঁখির সঙ্গে বাসাভাড়া নিয়ে থাকার কথা এলাকায় লোকজনের কাছে বলে বেড়ায় রুমান শিকদার। এতে রুমানের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আঁখি আক্তার। গত ২২শে মার্চ রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে রুমান শিকদারকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আঁখি। কথা বলার এক পর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে রোমান শিকদারের মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে আঁখি আক্তার ও তার স্বামী ফারুক লাশ বস্তাবন্দী করে গুম করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সিংহ নদীতে লাশ ফেলে দেয়। লাশ ফেলতে আসামি আলাল মোল্লা সহযোগিতা করেন ওই দম্পতিকে।
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, কঙ্কাল উদ্ধারের পর ভিকটিম রুমান শিকদারের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের আবেদন ক্রমে থানা পুলিশ রুমানের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফ (৬) ডিএনএন নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি অফিসে পাঠান। সিআইডি ডিএনএ টেস্ট করে রুমান শিকদার তাদের পিতা বলে মতামত দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আঁখি আক্তার ও আলাল মোল্লা পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে রুমান শিকদারকে হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।