নোয়াখালীর চাঁটখিলে সিংবাহুড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে ফাতেমা আক্তার মরিয়ম নামে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা। ২২ নভেম্বর রাতে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত ফাতেমা আক্তার মরিয়ম ওরফে অর্পিতা (১৭) নোয়াখালীর চাঁটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী ও একই উপজেলার শাহনেয়ামতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন-শাহীন আক্তারের মেয়ে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সোমবার নোয়াখালী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানী শেষে বিচারক (জজ)আব্দুর রহিম মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে চাঁটখিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, চাঁটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী মো. ফারুক মিয়ার ছেলে ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে অর্পিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী ইতালী চলে যান। গত দুই মাস আগে তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি অর্পিতাকে ইতালী নিয়ে যাওয়ার জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধন করে এবং ইতালী যাওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু অর্পিতার বাবা কৃষি কাজ করার কারণে ২০ লাখ টাকা দেয়া সম্ভব হয় নি। এ নিয়ে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫০) ও তার ননদ ফারহানা প্রতিনিয়ত তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করে।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ২২ নভেম্বর বুধবার অর্পিতার শাশুড়ি তার বাবার বাড়ি টাকার জন্য পাঠায়। সে তার বাবার বাড়ি গিয়ে টাকা ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিলে অর্পিতা শ্বশুর বাড়ি চলে আসে । এ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অর্পিতার কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে ২২ মধ্যরাতে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫০) ননদ ফারহানা (৩০) তার স্বামী (ঘরজামাই) ফরিদ তাকে এলোপাতাড়ী মারধর, কিলঘুষি ও লাথি মেরে হত্যা শেষে মরদেহ বাথরুমে ফেলে রেখে অর্পিতা আত্মহত্যা করেছে বলে বাবার বাড়ি খবর দেয়। খবর পেয়ে তার বাবা মা ঘটনাস্থল গিয়ে বিছানায় শোয়া অবস্থায় মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়।
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
নোয়াখালীর চাঁটখিলে সিংবাহুড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে ফাতেমা আক্তার মরিয়ম নামে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা। ২২ নভেম্বর রাতে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত ফাতেমা আক্তার মরিয়ম ওরফে অর্পিতা (১৭) নোয়াখালীর চাঁটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের স্ত্রী ও একই উপজেলার শাহনেয়ামতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন-শাহীন আক্তারের মেয়ে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী পিপি এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সোমবার নোয়াখালী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে শুনানী শেষে বিচারক (জজ)আব্দুর রহিম মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিতে চাঁটখিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
জানা যায়, চাঁটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী মো. ফারুক মিয়ার ছেলে ইতালী প্রবাসী রাইসুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে চলতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে অর্পিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী ইতালী চলে যান। গত দুই মাস আগে তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি অর্পিতাকে ইতালী নিয়ে যাওয়ার জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধন করে এবং ইতালী যাওয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা তার বাবার বাড়ি থেকে এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু অর্পিতার বাবা কৃষি কাজ করার কারণে ২০ লাখ টাকা দেয়া সম্ভব হয় নি। এ নিয়ে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫০) ও তার ননদ ফারহানা প্রতিনিয়ত তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করে।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ২২ নভেম্বর বুধবার অর্পিতার শাশুড়ি তার বাবার বাড়ি টাকার জন্য পাঠায়। সে তার বাবার বাড়ি গিয়ে টাকা ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য কান্নাকাটি করে। কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিলে অর্পিতা শ্বশুর বাড়ি চলে আসে । এ নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অর্পিতার কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে ২২ মধ্যরাতে অর্পিতার শাশুড়ি রহিমা বেগম (৫০) ননদ ফারহানা (৩০) তার স্বামী (ঘরজামাই) ফরিদ তাকে এলোপাতাড়ী মারধর, কিলঘুষি ও লাথি মেরে হত্যা শেষে মরদেহ বাথরুমে ফেলে রেখে অর্পিতা আত্মহত্যা করেছে বলে বাবার বাড়ি খবর দেয়। খবর পেয়ে তার বাবা মা ঘটনাস্থল গিয়ে বিছানায় শোয়া অবস্থায় মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়।