২৮ অক্টোবর থেকে ২৪৫টি যানবাহনে আগুন
অবরোধ চলাকালে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আরও ৫টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিকেল প্রায় ৩টার দিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পেছনে ফ্লাইওভারের নিচে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্ট্রেশনের ২টি ইউনিট পুলিশ পাহারায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩টা ৮ মিনিটের সময় আগুন নির্বাপণ করেছে।
এর আগে রোববার সবুজবাগে ১টি বাসে আগুন, টঙ্গীর চেরাগআলীতে একটি ট্রাকে আগুন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের গোয়াল বাতান-বাইপাসে একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে ও দিনাজপুরের রামপুর বাজারে ১টি ট্রাকেও আগুন দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, চলতি মাসের গত ১ ডিসেম্বর সিলেটের ছাতকের জয়কলমে ১টি বাসে আগুন দিয়েছে। ২ ডিসেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদে ১টি বাসে আগুন, আগাঁরগাও বেতার ভবনের সামনে একটি বাসে আগুন, গাবতলীতে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে।
এভাবে গত ৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রোববার ৩ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত মোট ১২টি যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫টি, গাজীপুরে ৫টি, সিলেটে ১টি ও দিনাজপুরে ১টি যানবাহনে অগুন লাগানো হয়েছে। আগুনে ৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি বাস ও ৩টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য মতে, দুর্বৃত্তরা গত ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের জয়দেবপুরে ২টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে। একই দিন টঙ্গীর মেঘনা রোডে ১টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে রোববার ৩ ডিসেম্বর বিকেল প্রায় ৩টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা ২৪৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৩৮টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অবরোধের সময় ১টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ১৪৯টি বাস, ৩৯টি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ২০টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য ২২টি যানবাহন রয়েছে। এভাবে প্রতিদিন আগুন দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। এই সব ঘটনায় বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের মালিকরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনো কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। অনেকেই আটকও হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, অবরোধ চলাকালে রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক ও মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপরও রহস্য জনক কারণে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। সর্বশেষ রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পেছনে বাসে আগুন দিয়েছে। যাত্রীরা বলছে, অবরোধ ও হরতাল চলাকালে অনেকেই আগুনের ভয়ে যানবাহনে উঠছে না। আবার অনেকেই মহাসড়কে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। নগরবাসীর মধ্যে এনিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
২৮ অক্টোবর থেকে ২৪৫টি যানবাহনে আগুন
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
অবরোধ চলাকালে রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আরও ৫টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিকেল প্রায় ৩টার দিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পেছনে ফ্লাইওভারের নিচে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্ট্রেশনের ২টি ইউনিট পুলিশ পাহারায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩টা ৮ মিনিটের সময় আগুন নির্বাপণ করেছে।
এর আগে রোববার সবুজবাগে ১টি বাসে আগুন, টঙ্গীর চেরাগআলীতে একটি ট্রাকে আগুন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের গোয়াল বাতান-বাইপাসে একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে ও দিনাজপুরের রামপুর বাজারে ১টি ট্রাকেও আগুন দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, চলতি মাসের গত ১ ডিসেম্বর সিলেটের ছাতকের জয়কলমে ১টি বাসে আগুন দিয়েছে। ২ ডিসেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদে ১টি বাসে আগুন, আগাঁরগাও বেতার ভবনের সামনে একটি বাসে আগুন, গাবতলীতে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে।
এভাবে গত ৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রোববার ৩ ডিসেম্বর বিকেল পর্যন্ত মোট ১২টি যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫টি, গাজীপুরে ৫টি, সিলেটে ১টি ও দিনাজপুরে ১টি যানবাহনে অগুন লাগানো হয়েছে। আগুনে ৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি বাস ও ৩টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য মতে, দুর্বৃত্তরা গত ৩০ নভেম্বর গাজীপুরের জয়দেবপুরে ২টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে। একই দিন টঙ্গীর মেঘনা রোডে ১টি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে রোববার ৩ ডিসেম্বর বিকেল প্রায় ৩টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা ২৪৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৩৮টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অবরোধের সময় ১টি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, ১৪৯টি বাস, ৩৯টি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ২০টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য ২২টি যানবাহন রয়েছে। এভাবে প্রতিদিন আগুন দেয়ার ঘটনা বাড়ছে। এই সব ঘটনায় বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের মালিকরা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। কোনো কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। অনেকেই আটকও হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, অবরোধ চলাকালে রাজধানীসহ সারাদেশে সড়ক ও মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপরও রহস্য জনক কারণে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহনে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। সর্বশেষ রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পেছনে বাসে আগুন দিয়েছে। যাত্রীরা বলছে, অবরোধ ও হরতাল চলাকালে অনেকেই আগুনের ভয়ে যানবাহনে উঠছে না। আবার অনেকেই মহাসড়কে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। নগরবাসীর মধ্যে এনিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।