গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় পর্যটনঘোষিত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ -সংবাদ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণ উজানচর ব্রিজ এলাকায় ঘোষিত পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাকা স্থাপনা নির্মানের জন্য নদীর মাঝ বরাবর রাস্তার ঢাল কেটে পাকা ভূমি তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এতে রাস্তার ঢালে বসানো বড় বড় কংক্রিটের বোল্ডার সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা প্রবাস ফেরত আ. কাদের জমি কিনে সেখানে এ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে আ. কাদের মুঠোফোনে জানান, কিছুদিন আগে তিনি আতিয়ার রহমান খুশি নামের এক দলিল লেখকের কাছ থেকে নতুন ব্রিজের পাশ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর সেখানে দোকানঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করি কাজ করার বিষয়ে খুশি ভাই আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “আপনি কাজ করেন, আমি সব দেখব।” এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান খুশি বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রশাসন গত বছর নতুন ব্রিজ এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। কিন্তু এ ব্যপারে পর্যটন মন্ত্রণালয় হতে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি না। সেটা হলে তো আমাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার কথা কিন্তু তা করা হয়নি তাই আমরা আমাদের দালিলিক সম্পত্তি বেঁচাকেন করছি এবং সেখানে কাজর্কম করা হচ্ছে। তবে রাস্তার ঢাল হতে অন্তত ১০ ফুট দূর হতে কাজ করা হচ্ছে এখানে কারো বাঁধা দেয়ার কিছু নেই।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, পদ্মা নদীর নতুন ব্রিজ এলাকা গোয়ালন্দের ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন এলাকা ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব এমনকি সারা বছরই এখানে ব্যাপক জনসমাগম হয়। স্থানীয় প্রশাসন গত বছর এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করে। ইতিমধ্যে সেখানে সৌর্ন্দয বর্ধনে এলজিইডি ও জাইকার ব্যাবস্থাপনায় বেশ কিছু কাজও করা হয়েছে। আশা করছি, সেখানে শীঘ্রই বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণের কাজ করা হলে সৌর্ন্দয ব্যাহত ও রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। আ. কাদেরকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বললেও তিনি শোনেননি। যে কারণে রোববার তাকে অফিসিয়াল নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : উজানচর নতুন ব্রিজ এলাকায় পর্যটনঘোষিত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ -সংবাদ
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণ উজানচর ব্রিজ এলাকায় ঘোষিত পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাকা স্থাপনা নির্মানের জন্য নদীর মাঝ বরাবর রাস্তার ঢাল কেটে পাকা ভূমি তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এতে রাস্তার ঢালে বসানো বড় বড় কংক্রিটের বোল্ডার সরিয়ে ফেলা হয়েছে ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। গোয়ালন্দ পৌরসভার কুমড়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা প্রবাস ফেরত আ. কাদের জমি কিনে সেখানে এ স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে আ. কাদের মুঠোফোনে জানান, কিছুদিন আগে তিনি আতিয়ার রহমান খুশি নামের এক দলিল লেখকের কাছ থেকে নতুন ব্রিজের পাশ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর সেখানে দোকানঘর নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করি কাজ করার বিষয়ে খুশি ভাই আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “আপনি কাজ করেন, আমি সব দেখব।” এ বিষয়ে আতিয়ার রহমান খুশি বলেন, স্থানীয়ভাবে প্রশাসন গত বছর নতুন ব্রিজ এলাকাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। কিন্তু এ ব্যপারে পর্যটন মন্ত্রণালয় হতে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি না। সেটা হলে তো আমাদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার কথা কিন্তু তা করা হয়নি তাই আমরা আমাদের দালিলিক সম্পত্তি বেঁচাকেন করছি এবং সেখানে কাজর্কম করা হচ্ছে। তবে রাস্তার ঢাল হতে অন্তত ১০ ফুট দূর হতে কাজ করা হচ্ছে এখানে কারো বাঁধা দেয়ার কিছু নেই।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, পদ্মা নদীর নতুন ব্রিজ এলাকা গোয়ালন্দের ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন এলাকা ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উৎসব এমনকি সারা বছরই এখানে ব্যাপক জনসমাগম হয়। স্থানীয় প্রশাসন গত বছর এলাকাটিকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে অবহিত করে। ইতিমধ্যে সেখানে সৌর্ন্দয বর্ধনে এলজিইডি ও জাইকার ব্যাবস্থাপনায় বেশ কিছু কাজও করা হয়েছে। আশা করছি, সেখানে শীঘ্রই বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণের কাজ করা হলে সৌর্ন্দয ব্যাহত ও রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। আ. কাদেরকে মৌখিকভাবে কাজ বন্ধ করতে বললেও তিনি শোনেননি। যে কারণে রোববার তাকে অফিসিয়াল নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।