বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীত দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায়, বাদী’র (দুদকের উপ-পরিচালক -অবসরপ্রাপ্ত রাহিমা খাতুন) সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
তবে ফালু পলাতক থাকায় তার পক্ষে জেরা হয়নি। আদালত আগামী ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছে বিচারক।
২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিলেও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় পাঁচ বছর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
সাবেক সংসদ সদস্য ফালুর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই।
মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুদকের তখনকার কর্মকর্তা রহিমা। মামলায় ফালুর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছিল। পরে তিনি অব্যাহতি পান।
তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী মামলা বাতিলে হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচার আটকে ছিল।
পরে হাই কোর্ট ফালুর আবেদন খারিজ করে দিলেও তার স্ত্রীর আবেদন গ্রহণ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এতে বিচারিক আদালতে মামলার বিচারের পথ খোলে। ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট ফালুকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় আদালতে।
২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ফালু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এরপর রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নেন ফালু। ২০১৬ সালের ৬ অগাস্ট তাকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু পদ পাওয়ার পরপরই তার অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দেন দলকে। তখন চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে অবস্থান করছিলেন ফালু। সেখান থেকেই এক ফ্যাক্স বার্তায় তিনি পদত্যাগপত্র দলের কাছে পাঠিয়ে দেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সমিতি অ্যাটকোর সভাপতি ছিলেন। সিকিউরিটিজ, আবাসন, অ্যাগ্রো, আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত এই ব্যবসায়ী বেসরকারি এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দীর্ঘদিন ধরে হদিস না মেলা ফালুর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ দুদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুদক তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়। আর অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যে কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচার বন্ধ থাকে। পরে হাইকোর্ট ফালুর আবেদন খারিজ করে দেন।
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীত দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায়, বাদী’র (দুদকের উপ-পরিচালক -অবসরপ্রাপ্ত রাহিমা খাতুন) সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
তবে ফালু পলাতক থাকায় তার পক্ষে জেরা হয়নি। আদালত আগামী ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছে বিচারক।
২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিলেও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় পাঁচ বছর পর গত ১ ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
সাবেক সংসদ সদস্য ফালুর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৮ জুলাই।
মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করেন দুদকের তখনকার কর্মকর্তা রহিমা। মামলায় ফালুর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছিল। পরে তিনি অব্যাহতি পান।
তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর ফালু ও তার স্ত্রী মামলা বাতিলে হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচার আটকে ছিল।
পরে হাই কোর্ট ফালুর আবেদন খারিজ করে দিলেও তার স্ত্রীর আবেদন গ্রহণ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এতে বিচারিক আদালতে মামলার বিচারের পথ খোলে। ২০১৮ সালের ২৭ অগাস্ট ফালুকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় আদালতে।
২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ফালু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার থাকার সময় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এরপর রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নেন ফালু। ২০১৬ সালের ৬ অগাস্ট তাকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু পদ পাওয়ার পরপরই তার অনাগ্রহের কথা জানিয়ে দেন দলকে। তখন চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে অবস্থান করছিলেন ফালু। সেখান থেকেই এক ফ্যাক্স বার্তায় তিনি পদত্যাগপত্র দলের কাছে পাঠিয়ে দেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সমিতি অ্যাটকোর সভাপতি ছিলেন। সিকিউরিটিজ, আবাসন, অ্যাগ্রো, আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত এই ব্যবসায়ী বেসরকারি এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দীর্ঘদিন ধরে হদিস না মেলা ফালুর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ দুদকের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুদক তদন্তে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের তথ্য পায়। আর অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যে কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচার বন্ধ থাকে। পরে হাইকোর্ট ফালুর আবেদন খারিজ করে দেন।