অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল (৪৯) ও তার সহযোগী রেজাউল করিম বিপুলকে (৩৮) একই মামলায় দুটি ধারায় তাদের যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি সাজাই এক সঙ্গে চলবে বলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাগারে থাকতে হবে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদেরকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
রুবেল শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ছোট ভাই। তারা দুজনই সদর আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই বিদেশে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানুষকে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা মোট ১১টি মামলার আসামি। এর মধ্যে প্রথম কোনোটির রায় ঘোষণা হল।
সাজা ঘোষণার সময় দুই আসামি রুবেল ও বিপুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিদ্ধান্ত জানানোর পর পুলিশ পাহারায় তাদেরকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি (পিপি) নওয়াব আলী বলেছেন, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (এ) ধারায় পিস্তল রাখার দায়ে ১০ বছর করে এবং গুলি রাখায় একই আইনের ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে অপরাধ করেও যে পার পাওয়া যায় না, এ রায়ে সেই সত্য প্রমাণিত হল।”
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলার আসামি রুবেল। সেই মামলায় নাম আছে তার ভাই বরকতেরও আসামি।
২০২০ সালের ৭ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের শ্রী অঙ্গন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলিসহ বিপুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় তাকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবদুল জব্বার। তিনি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রুবেলের নাম বলেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুইজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রুবেল ও বরকত ধীরে ধীরে ফরিদপুরে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন। তাদের বিপাকে পড়া শুরু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
২০২০ সালের ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লা বাড়িতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি যমুনা ভবনে দুই দফা হামলা হয়। দুদিন পর সুবল চন্দ্র ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
ওই মামলার ওই বছরের ৭ জুন বরকত ও তার ছোট ভাই রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮১ রাউন্ড গুলি, নগদ ২৯ লাখ টাকা, ৯৮ হাজার ভারতীয় রুপি, তিন হাজার ডলার, ৬৫ ইয়াবা ও ছয় বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের কথা জানায়।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের খবর এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে।
বরকতকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রুবেলকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল (৪৯) ও তার সহযোগী রেজাউল করিম বিপুলকে (৩৮) একই মামলায় দুটি ধারায় তাদের যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি সাজাই এক সঙ্গে চলবে বলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাগারে থাকতে হবে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদেরকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
রুবেল শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ছোট ভাই। তারা দুজনই সদর আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেই বিদেশে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানুষকে নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা মোট ১১টি মামলার আসামি। এর মধ্যে প্রথম কোনোটির রায় ঘোষণা হল।
সাজা ঘোষণার সময় দুই আসামি রুবেল ও বিপুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক সিদ্ধান্ত জানানোর পর পুলিশ পাহারায় তাদেরকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি (পিপি) নওয়াব আলী বলেছেন, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (এ) ধারায় পিস্তল রাখার দায়ে ১০ বছর করে এবং গুলি রাখায় একই আইনের ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে অপরাধ করেও যে পার পাওয়া যায় না, এ রায়ে সেই সত্য প্রমাণিত হল।”
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরও একটি মামলার আসামি রুবেল। সেই মামলায় নাম আছে তার ভাই বরকতেরও আসামি।
২০২০ সালের ৭ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের শ্রী অঙ্গন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলিসহ বিপুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় তাকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবদুল জব্বার। তিনি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রুবেলের নাম বলেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুইজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রুবেল ও বরকত ধীরে ধীরে ফরিদপুরে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন। তাদের বিপাকে পড়া শুরু ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
২০২০ সালের ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট এলাকার মোল্লা বাড়িতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি যমুনা ভবনে দুই দফা হামলা হয়। দুদিন পর সুবল চন্দ্র ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
ওই মামলার ওই বছরের ৭ জুন বরকত ও তার ছোট ভাই রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮১ রাউন্ড গুলি, নগদ ২৯ লাখ টাকা, ৯৮ হাজার ভারতীয় রুপি, তিন হাজার ডলার, ৬৫ ইয়াবা ও ছয় বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের কথা জানায়।
এরপর তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অর্থপাচারের খবর এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে।
বরকতকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রুবেলকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।