গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অফিস কক্ষে বসে ঘুস গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের আওতাধীন ঢালজোড়া ও আটাবহ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহার করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দেওয়া হয়েছে তাকে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন খাজনা-খারিজ দেওয়ার নামে নানাভাবে ঘুষ নিতেন। এ নিয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ সোমবার (২৬ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপনে ধারণ করা ওই কর্মকর্তার ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসে সিগারেট টানতে টানতে সামনে বসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েকটি ৫০০ টাকার নোট নিচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন। এ সময় গিয়াস ওই ব্যক্তিকে বলছেন, ‘একটা মিস কেস ৫ হাজারের নিচে নেওয়া যায় না।’ সামনে বসা ব্যক্তিকে বলছেন, ‘কম্পিউটারে যে ছেলেটা কাজ করে, তাকেও ৫০০ টাকা দিতে হয়, তাহলে আমার কাজের একটা দাম আছে না।’ এরপর ওই ব্যক্তিকে ভূমি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘একটা আইডি খুলবেন। এরপর থেকে আপনাকে আর এখানে আসতে হবে না, অনলাইনে খাজনা দিতে পারবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাসজমি ঘুসের বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকের নামে নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হলে সাত মাসের জন্য তাকে ওএসডি করা হয়েছিল। পরে দেনদরবার করে আবার চাকরিতে ফেরেন।
অভিযোগের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ওএলএ) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অফিস কক্ষে বসে ঘুস গ্রহণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত ভূমি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের আওতাধীন ঢালজোড়া ও আটাবহ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহার করার পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দেওয়া হয়েছে তাকে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন খাজনা-খারিজ দেওয়ার নামে নানাভাবে ঘুষ নিতেন। এ নিয়ে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ সোমবার (২৬ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপনে ধারণ করা ওই কর্মকর্তার ঘুস লেনদেনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে বসে সিগারেট টানতে টানতে সামনে বসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েকটি ৫০০ টাকার নোট নিচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন। এ সময় গিয়াস ওই ব্যক্তিকে বলছেন, ‘একটা মিস কেস ৫ হাজারের নিচে নেওয়া যায় না।’ সামনে বসা ব্যক্তিকে বলছেন, ‘কম্পিউটারে যে ছেলেটা কাজ করে, তাকেও ৫০০ টাকা দিতে হয়, তাহলে আমার কাজের একটা দাম আছে না।’ এরপর ওই ব্যক্তিকে ভূমি কর্মকর্তা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘একটা আইডি খুলবেন। এরপর থেকে আপনাকে আর এখানে আসতে হবে না, অনলাইনে খাজনা দিতে পারবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাসজমি ঘুসের বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকের নামে নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হলে সাত মাসের জন্য তাকে ওএসডি করা হয়েছিল। পরে দেনদরবার করে আবার চাকরিতে ফেরেন।
অভিযোগের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ওএলএ) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’