alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

তিন দশক আগে নীলফামারীতে গরু চুরির মামলায় দণ্ডিত এক আসামিকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করে। ১২ পৃষ্ঠার সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে শনিবার।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, তোফাজ্জল হোসেন নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রহণ ও তদন্তে ‘ব্যাপক অবহেলা, অনিয়ম ও অন্যায়’ হয়েছে। বিচারিক আদালতেরও ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম’ হয়েছে।

হাই কোর্টের এই রায় ও আদেশের অনুলিপি অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য দেশের সব অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলে পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার সব এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেও (জেএটিআই) এ রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী সদর উপজেলার ধোবাডাঙ্গা গ্রামের মানিক চন্দ্র রায় তাদের পাঁচটি গরু চুরির অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাইফুল ইসলাম ও তোফাজ্জাল হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দবির উদ্দিন তদন্ত শেষে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর হাকিম আদালত আসামি সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেনকে খালাস দেন এবং আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট অধস্তন উভয় আদালতের রায় ও আদেশ বাতিল করে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালত ‘গতানুগতিকভাবে’ রায় দিয়েছে। সাক্ষ্য ও নথি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে উভয় আদালত ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারক সুলভ নয়’।

“নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যার গরু চুরি হয়েছে তার থেকে পুলিশই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।”

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “নীলফামারীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির আদেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামি গ্রেপ্তার বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারির আদেশে দেখা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আসামিদের ৫৪ ধারায় পুনঃগ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।”

২৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গরুসহ থানায় হাজির করা হলে ২৭ ফেব্রুয়ারি কীভাবে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়, হাই কোর্টের পর্যব্ক্ষেণে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে।

“এতে স্পষ্ট যে, আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা এজাহার মিথ্যা। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য এজাহারকারী মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।”

আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ আসামি অভিযুক্ত

ছবি

ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেফতার

ফরিদগঞ্জে মাকে জবাই করে হত্যা করলো ছেলে

সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলেসহ কারাগারে ৩

প্রগতির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে জন্মদাতা পিতার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সদস্য গ্রেপ্তার

অর্থপাচার: সকল আসামিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডিবিতে ডাকা হয়েছে কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে

সখীপুরে র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেফতার দুই

রাবিতে শহীদ কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

ছবি

ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন

ছবি

তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাই ও চুরি হওয়া ফোন সেট উদ্ধার

মতলবে ব্যাংকের নৈশপ্রহরী খুনের রহস্য উন্মোচন,মূল আসামী সহ ৩ জন গ্রেফতার

ছবি

লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাই করতেন তারা

বন্ধুর সহায়তায় প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মালামাল লুট করে আপন ভাই

গাজীপুরে ৩জন ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক

ছবি

আইন অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান, ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের দন্ড

গাজীপুরে পুত্রকে কুপিয়ে হত্যা, পিতা আটক

ছবি

এবার ভরদুপুরে থানচির দুই ব্যাংকে ডাকাতি

সিলেটে ‘ধর্ষক’ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রপ্তার করেছে র‌্যাব

ছবি

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

ছবি

শেকলে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ, রিমান্ডে ৪ আসামি

মুন্সীগঞ্জে ডালিম হ.ত্যা মামলার ৬ আসামি জেলহাজতে

ছবি

শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি

গেন্ডারিয়ায় ৯৮৩ পিস ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেপ্তার কারবারি

ছবি

সিলেটে তরুণীকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ অধরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অভিযুক্তরা

নারায়ণগঞ্জে প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

ছবি

মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ জন

ছবি

মানিকদির জমি দখল নাজিমের দৌরাত্ম্য থামছেই না, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

পুলিশের সোর্স হত্যা মামলার পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এবার ঢাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ছবি

রামুর কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে ছায়া হত্যার ঘটনায় আটক দুই

ছবি

মহেশখালীর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেফতার

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

দুই বছরের দণ্ড ২৭ বছর পর বাতিল, রায়ের কপি যাচ্ছে সব আদালতে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ৩১ মার্চ ২০২৪

তিন দশক আগে নীলফামারীতে গরু চুরির মামলায় দণ্ডিত এক আসামিকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করে। ১২ পৃষ্ঠার সেই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে শনিবার।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, তোফাজ্জল হোসেন নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রহণ ও তদন্তে ‘ব্যাপক অবহেলা, অনিয়ম ও অন্যায়’ হয়েছে। বিচারিক আদালতেরও ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম’ হয়েছে।

হাই কোর্টের এই রায় ও আদেশের অনুলিপি অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য দেশের সব অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলে পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার সব এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটেও (জেএটিআই) এ রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী সদর উপজেলার ধোবাডাঙ্গা গ্রামের মানিক চন্দ্র রায় তাদের পাঁচটি গরু চুরির অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাইফুল ইসলাম ও তোফাজ্জাল হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দবির উদ্দিন তদন্ত শেষে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নামে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর হাকিম আদালত আসামি সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেনকে খালাস দেন এবং আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে ফৌজদারি রিভিশন আবেদন করেন তোফাজ্জল হোসেন। শুনানি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট অধস্তন উভয় আদালতের রায় ও আদেশ বাতিল করে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালত ‘গতানুগতিকভাবে’ রায় দিয়েছে। সাক্ষ্য ও নথি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে উভয় আদালত ‘চরম অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারক সুলভ নয়’।

“নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যার গরু চুরি হয়েছে তার থেকে পুলিশই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।”

পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “নীলফামারীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির আদেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামি গ্রেপ্তার বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারির আদেশে দেখা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলার আসামিদের ৫৪ ধারায় পুনঃগ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়।”

২৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গরুসহ থানায় হাজির করা হলে ২৭ ফেব্রুয়ারি কীভাবে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়, হাই কোর্টের পর্যব্ক্ষেণে সেই প্রশ্ন করা হয়েছে।

“এতে স্পষ্ট যে, আসামির বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা এজাহার মিথ্যা। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য এজাহারকারী মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।”

back to top