আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ ও স্থাপনার ক্ষতিসাধনের বিচার দাবি করেছে সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ৭ আগস্ট সাইনোভিয়া ফার্মার প্রাক্তন কর্মচারীরা প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ ও স্থাপনার ক্ষতিসাধন করে। উদ্ভূত পরিস্থিত মোকাবেলায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইনোভিয়া ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার মুঈন উদ্দিন মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইনোভিয়ার হেড অব এইচ আর সৈয়দ মাসউদুল হাসান, মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ এ. বি. তাহমিদ, সিএফও গোলাম রাব্বানী আকন্দ এবং পরিচালক বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড সাপোর্ট রেনেসা আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৭ আগস্ট থেকে ১৫০ জনের বেশি প্রাক্তন কর্মচারী আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোম্পানির অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন এবং কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ করে স্থাপনার ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হয়। বর্তমানে এই কর্মচারীরা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করছে। তাদের এই কার্যকলাপ কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং রোগীদের কাছে জরুরি ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা দূরুহ হয়ে উঠেছে।
মুঈন উদ্দিন মজুমদার বলেন, এমতাবস্থায় আমরা উপস্থিত সকল সাংবাদিক ভাই-বোনদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার কাছে অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিকার এবং উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কর্মবিরতি চলাকালীন সানোফি গ্রুপ শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করে। যার ফলে কোম্পানি অক্টোবর থেকে নতুন ব্যবস্থাপনার অধীনে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য যৌথ মালিকানায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠানের ( শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসি) ৪৫.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মীদের কাজে যোগদানের জন্য বারংবার অনুরোধ জানান। এই আহ্বানে সাড়া জানিয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মচারী কাজে যোগদান করেন কিন্তু বাকিরা কাজে যোগদানে বিরত থাকে। এ অবস্থায় কোম্পানি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং নতুন কর্মী নিয়োগ প্রদান শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘লেবার কোর্টে দায়ের করা মামলা ছাড়াও ইতোমধ্যে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। নতুন মামলা দুটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই তিনটি মামলাই অনিষ্পন্ন অবস্থায় বর্তমানে চলমান রয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্যারিসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি গ্রুপ ২০২১ সালের সানোফি বাংলাদেশ থেকে তাদের মালিকানা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অবহিত করে। যার ফলশ্রুতিতে কোম্পানির ৯০০ কর্মীর মধ্যে ৩০০ জন কর্মবিরতিতে চলে যায়। কর্মবিরতিকালীন তারা সানোফি গ্রুপের কাছে মালিকানা প্রত্যাহারের কারণে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সানোফি গ্রুপ তাদের অন্যায্য দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানায়। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মচারীরা শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে।
বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০২৪
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ ও স্থাপনার ক্ষতিসাধনের বিচার দাবি করেছে সাইনোভিয়া ফার্মা পিএলসি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ৭ আগস্ট সাইনোভিয়া ফার্মার প্রাক্তন কর্মচারীরা প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ ও স্থাপনার ক্ষতিসাধন করে। উদ্ভূত পরিস্থিত মোকাবেলায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইনোভিয়া ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার মুঈন উদ্দিন মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইনোভিয়ার হেড অব এইচ আর সৈয়দ মাসউদুল হাসান, মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ এ. বি. তাহমিদ, সিএফও গোলাম রাব্বানী আকন্দ এবং পরিচালক বিজনেস অপারেশন অ্যান্ড সাপোর্ট রেনেসা আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৭ আগস্ট থেকে ১৫০ জনের বেশি প্রাক্তন কর্মচারী আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কোম্পানির অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন এবং কর্মচারীদের ওপর আক্রমণ করে স্থাপনার ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হয়। বর্তমানে এই কর্মচারীরা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করছে। তাদের এই কার্যকলাপ কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং রোগীদের কাছে জরুরি ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা দূরুহ হয়ে উঠেছে।
মুঈন উদ্দিন মজুমদার বলেন, এমতাবস্থায় আমরা উপস্থিত সকল সাংবাদিক ভাই-বোনদের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্বরাস্ট্র উপদেষ্টার কাছে অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিকার এবং উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কর্মবিরতি চলাকালীন সানোফি গ্রুপ শেয়ার হস্তান্তর সম্পন্ন করে। যার ফলে কোম্পানি অক্টোবর থেকে নতুন ব্যবস্থাপনার অধীনে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য যৌথ মালিকানায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠানের ( শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিআইসি) ৪৫.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মীদের কাজে যোগদানের জন্য বারংবার অনুরোধ জানান। এই আহ্বানে সাড়া জানিয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মচারী কাজে যোগদান করেন কিন্তু বাকিরা কাজে যোগদানে বিরত থাকে। এ অবস্থায় কোম্পানি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং নতুন কর্মী নিয়োগ প্রদান শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘লেবার কোর্টে দায়ের করা মামলা ছাড়াও ইতোমধ্যে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। নতুন মামলা দুটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই তিনটি মামলাই অনিষ্পন্ন অবস্থায় বর্তমানে চলমান রয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্যারিসভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি সানোফি গ্রুপ ২০২১ সালের সানোফি বাংলাদেশ থেকে তাদের মালিকানা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অবহিত করে। যার ফলশ্রুতিতে কোম্পানির ৯০০ কর্মীর মধ্যে ৩০০ জন কর্মবিরতিতে চলে যায়। কর্মবিরতিকালীন তারা সানোফি গ্রুপের কাছে মালিকানা প্রত্যাহারের কারণে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। সানোফি গ্রুপ তাদের অন্যায্য দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানায়। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মচারীরা শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করে।