যশোরের কেশবপুর কাশিমপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক রওশনারা হত্যা মামলায় প্রেমিক আলাউদ্দিন গাজীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। রোববার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন গাজী কেশবপুরের কাশিমপুর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাড. সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল কেশবপুরের কাশিমপুর গ্রামের লোকজনের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাঁশ বাগান থেকে অপরিচিত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে নিহত অপরিচিত নারীকে খুলনা ডুমুরিয়ার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে রওশন আরা বলে সনাক্ত করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্বাস আলী বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যা সাথে জড়িত অভিযোগে ইটভাটা শ্রমিক আলাউদ্দিনকে আটক ও আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন গাজী খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার প্রফুল্লর ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। রওশনারাও ওই ইটভাটায় কাজ নেয়। এরই মাঝে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রওশনারা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আলাউদ্দিন গাজী তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিলে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। রওশনারা তাকে প্রায় হুমকি দিত সে তার বাড়িতে চলে আসবে। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল রাতে রওশনারা তার বাড়ির সামনে এসে মোবাইলে ফোন করে দেখা করতে বলে। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে রওশন আরাকে সাথে নিয়ে পাশের আশরাফ শাহজীর বাঁশ বাগানে নিয়ে কথাবার্তা বলতে থাকে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রওশনারা তার অন্ডকোষ চেপে ধরে। আলাউদ্দিন গাজী তখন রওশনারার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাঁশ বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষিদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় আলাউদ্দিন গাজীকে অভিযুক্ত করে ২ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শাহজাহান আহমেদ।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আলাউদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন গাজী কারাগারে আটক আছেন।
সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪
যশোরের কেশবপুর কাশিমপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক রওশনারা হত্যা মামলায় প্রেমিক আলাউদ্দিন গাজীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। রোববার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন গাজী কেশবপুরের কাশিমপুর গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাড. সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল কেশবপুরের কাশিমপুর গ্রামের লোকজনের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাঁশ বাগান থেকে অপরিচিত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পরবর্তীতে নিহত অপরিচিত নারীকে খুলনা ডুমুরিয়ার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে রওশন আরা বলে সনাক্ত করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্বাস আলী বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে পুলিশ হত্যা সাথে জড়িত অভিযোগে ইটভাটা শ্রমিক আলাউদ্দিনকে আটক ও আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন গাজী খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার প্রফুল্লর ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। রওশনারাও ওই ইটভাটায় কাজ নেয়। এরই মাঝে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রওশনারা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আলাউদ্দিন গাজী তাকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিলে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। রওশনারা তাকে প্রায় হুমকি দিত সে তার বাড়িতে চলে আসবে। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল রাতে রওশনারা তার বাড়ির সামনে এসে মোবাইলে ফোন করে দেখা করতে বলে। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে রওশন আরাকে সাথে নিয়ে পাশের আশরাফ শাহজীর বাঁশ বাগানে নিয়ে কথাবার্তা বলতে থাকে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রওশনারা তার অন্ডকোষ চেপে ধরে। আলাউদ্দিন গাজী তখন রওশনারার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাঁশ বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষিদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় আলাউদ্দিন গাজীকে অভিযুক্ত করে ২ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শাহজাহান আহমেদ।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আলাউদ্দিন গাজীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন গাজী কারাগারে আটক আছেন।