মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশও দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে অস্ত্র আইনের মামলা ছিল।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী তানজীল হোসেন ভূঁইয়া।
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। একই মামলায় সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আদালতে হাজির না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ। আদালত ওই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয় আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
আসামিপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে সম্রাট ও এনামুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানাধীন ভূঁইয়া ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে সম্রাটের দেখানো একটি বিদেশি পিস্তল ও ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় তখন র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও এনামুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁর সহযোগী আরমানের সহযোগিতায় তিনি মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন তিনি। তাঁর নিয়ন্ত্রণেই এসব ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। এভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন। প্রতি মাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য সিঙ্গাপুরেও যেতেন তিনি। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তাঁর সহযোগী ছিলেন কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মদের বোতলে অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়া গেছে। জব্দ করা ট্যাবলেটে ইয়াবার উপাদান পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছ থেকে মোট ১৯ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া গেছে, যার দাম ৯৫ হাজার টাকা। আর জব্দ করা ইয়াবার দাম ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার এক সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর র্যাব সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাট জামিনে মুক্ত হন। সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা বিচারাধীন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশও দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগে অস্ত্র আইনের মামলা ছিল।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী তানজীল হোসেন ভূঁইয়া।
ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। একই মামলায় সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আদালতে হাজির না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ। আদালত ওই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয় আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
আসামিপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে সম্রাট ও এনামুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানাধীন ভূঁইয়া ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে সম্রাটের দেখানো একটি বিদেশি পিস্তল ও ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় তখন র্যাবের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও এনামুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, যুবলীগ নেতা সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তাঁর সহযোগী আরমানের সহযোগিতায় তিনি মাদকদ্রব্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন তিনি। তাঁর নিয়ন্ত্রণেই এসব ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। এভাবে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন। প্রতি মাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য সিঙ্গাপুরেও যেতেন তিনি। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। তাঁর সহযোগী ছিলেন কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদ এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া মদ ও ইয়াবার রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মদের বোতলে অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়া গেছে। জব্দ করা ট্যাবলেটে ইয়াবার উপাদান পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছ থেকে মোট ১৯ বোতল বিদেশি মদ পাওয়া গেছে, যার দাম ৯৫ হাজার টাকা। আর জব্দ করা ইয়াবার দাম ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার এক সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর র্যাব সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাট জামিনে মুক্ত হন। সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলা বিচারাধীন।