ঢাকা থেকে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রা করে অপহৃত হওয়ার পর নরসিংদীর ঘোড়াশালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বিউটি পার্লারের নারী কর্মী।
ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. শাহ পরান নামের এক মোটরসাইকেলচালককে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।
গত ২৮ মে বিকালে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর এলাকা থেকে শ্যামলীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই নারী। পথে অচেতন অবস্থায় তাঁকে অপহরণ করে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘোড়াশালের একটি কালভার্ট ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে শাহ পরান। পরে তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীর ভাগ্নে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল কালভার্ট ব্রিজের কাছ থেকে নারীটিকে উদ্ধার করে পলাশ থানার পুলিশ।
পরে তাঁকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় এবং তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূল অভিযুক্ত শাহ পরানের অবস্থান শনাক্ত করে কেরানীগঞ্জের দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ পরান পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, তিনি আগে সৌদি আরবে ছিলেন এবং দেশে ফিরে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। কেরানীগঞ্জেই তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছে। অপহরণ ও ধর্ষণের সময় তাঁর আরও দুই সহযোগী ছিল, যারা ভুক্তভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ হাজার টাকা স্থানান্তর করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শাহ পরানকে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় জড়িত শাহ পরানের দুই সহযোগীকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন।
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
ঢাকা থেকে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রা করে অপহৃত হওয়ার পর নরসিংদীর ঘোড়াশালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বিউটি পার্লারের নারী কর্মী।
ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. শাহ পরান নামের এক মোটরসাইকেলচালককে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি।
গত ২৮ মে বিকালে রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর এলাকা থেকে শ্যামলীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই নারী। পথে অচেতন অবস্থায় তাঁকে অপহরণ করে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘোড়াশালের একটি কালভার্ট ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে শাহ পরান। পরে তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীর ভাগ্নে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘোড়াশাল কালভার্ট ব্রিজের কাছ থেকে নারীটিকে উদ্ধার করে পলাশ থানার পুলিশ।
পরে তাঁকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় এবং তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূল অভিযুক্ত শাহ পরানের অবস্থান শনাক্ত করে কেরানীগঞ্জের দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ পরান পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, তিনি আগে সৌদি আরবে ছিলেন এবং দেশে ফিরে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। কেরানীগঞ্জেই তাঁর দুই স্ত্রী রয়েছে। অপহরণ ও ধর্ষণের সময় তাঁর আরও দুই সহযোগী ছিল, যারা ভুক্তভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ হাজার টাকা স্থানান্তর করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শাহ পরানকে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় জড়িত শাহ পরানের দুই সহযোগীকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন।