# উপজেলা নির্বাহীর কোটা ২০০ কেজি, # সাধারণের জন্য ১০০০ কেজি, # দুই প্রশাসকের জন্য ২৪০ কেজি
রংপুরের পীরগাছায় অনিয়মের মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ হতদরিদ্রদের মাঝে গরুর মাংস বিতরণের তালিকা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোটায় ১০০ জন, দুই চেয়ারম্যানের কোটায় ১২০ জন ও ১০ সাংবাদিকের নাম তালিকাভূক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থার ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
তবে অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক বলেন, আমার নামে একটি কোটাও নেই।
জানা যায, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে উপজেলার ইটাকুমারি ও অন্নদানগর ইউনিয়নে সংস্থার সুবিধাভোগী হতদরিদ্র সদস্যদের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জন প্রতি দুই কেজি করে গরুর মাংস বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে সংস্থাটির পক্ষ হতে ৩৫ টি গরু ক্রয় করা হয়েছে।
তবে গরিব অসহায় হতদরিদ্র সদস্যদের তালিকা করতে গিয়ে পীরগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমূল হক সুমনকে দিতে হয়েছে ১০০ জনের বরাদ্দ, দুইজন প্রশাসককে ১২০ জনের বরাদ্দ, সেই সঙ্গে ১০ সাংবাদিকের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এভাবে তালিকা তৈরি করায় গরিব অসহায় হতদরিদ্রদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন সরকারি, বে-সরকারি চাকুরিজীবি, সম্পদশালী, ব্যবসায়ী, ছাত্র, ইউপি সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনের নাম।
মাংস বিতরণের তালিকা তৈরি করণে দায়িত্বশীলরা স্বজনপ্রীতির মধ্য দিয়ে লোক দেখানোর নামে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই না ওই সংস্থায় কর্মরত ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির প্রতিজন তাদের পছন্দমত তিনজন করে ভিআইপি ব্যক্তিকে তালিকাভূক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ৩৫ টি গরু জবাই করে ১৩১৪ জন সুবিধাভোগীর মাঝে মাংস বিতরণের কথা।
অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক সংবাদকে জানান, আমার নামে একটিও কোটা নেই। আমি কেন হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের মাংস নিব? আমি ওইদিন পরিষদে যাবই না।
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হককে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও রিসিভ না করায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
ইসলামিক রিলিফ সংস্থার পীরগাছা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম বলেন, গরুর মাংস মূলত আমাদের সুবিধাভোগী সদস্যদের মাঝে বিতরণের নিয়ম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যদেরকে সম্মানি দিতে হয়।
.
.
.
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
# উপজেলা নির্বাহীর কোটা ২০০ কেজি, # সাধারণের জন্য ১০০০ কেজি, # দুই প্রশাসকের জন্য ২৪০ কেজি
রংপুরের পীরগাছায় অনিয়মের মাধ্যমে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ হতদরিদ্রদের মাঝে গরুর মাংস বিতরণের তালিকা করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কোটায় ১০০ জন, দুই চেয়ারম্যানের কোটায় ১২০ জন ও ১০ সাংবাদিকের নাম তালিকাভূক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থার ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
তবে অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক বলেন, আমার নামে একটি কোটাও নেই।
জানা যায, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে উপজেলার ইটাকুমারি ও অন্নদানগর ইউনিয়নে সংস্থার সুবিধাভোগী হতদরিদ্র সদস্যদের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জন প্রতি দুই কেজি করে গরুর মাংস বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে সংস্থাটির পক্ষ হতে ৩৫ টি গরু ক্রয় করা হয়েছে।
তবে গরিব অসহায় হতদরিদ্র সদস্যদের তালিকা করতে গিয়ে পীরগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমূল হক সুমনকে দিতে হয়েছে ১০০ জনের বরাদ্দ, দুইজন প্রশাসককে ১২০ জনের বরাদ্দ, সেই সঙ্গে ১০ সাংবাদিকের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
এভাবে তালিকা তৈরি করায় গরিব অসহায় হতদরিদ্রদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন সরকারি, বে-সরকারি চাকুরিজীবি, সম্পদশালী, ব্যবসায়ী, ছাত্র, ইউপি সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনের নাম।
মাংস বিতরণের তালিকা তৈরি করণে দায়িত্বশীলরা স্বজনপ্রীতির মধ্য দিয়ে লোক দেখানোর নামে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই না ওই সংস্থায় কর্মরত ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির প্রতিজন তাদের পছন্দমত তিনজন করে ভিআইপি ব্যক্তিকে তালিকাভূক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ৩৫ টি গরু জবাই করে ১৩১৪ জন সুবিধাভোগীর মাঝে মাংস বিতরণের কথা।
অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক সংবাদকে জানান, আমার নামে একটিও কোটা নেই। আমি কেন হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দের মাংস নিব? আমি ওইদিন পরিষদে যাবই না।
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হককে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও রিসিভ না করায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
ইসলামিক রিলিফ সংস্থার পীরগাছা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম বলেন, গরুর মাংস মূলত আমাদের সুবিধাভোগী সদস্যদের মাঝে বিতরণের নিয়ম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যদেরকে সম্মানি দিতে হয়।
.
.
.