তনু হত্যা মামলা
দীর্ঘ পাঁচ বছরেও কুল কিনারা হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার। এই স্পর্শকাতর হত্যা মামলার তদন্তভার ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।
তনুর স্বজনরা বলেছেন, আমাদের শেষ ভরসা এখন পিবিআই। স্বচ্ছতা নিয়ে এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করবে বলে তনুর মা-বাবার বিশ্বাস। ক্লু লেস হত্যাকাণ্ডে তদন্ত করে অনেক মামলার চার্জশিট প্রদানসহ অনেক সফলতার উদাহরণ রয়েছে পিবিআইয়ের। ফলে তনুর স্বজনদের শেষ ভরসার স্থল পিবিআই।
তনু হত্যাকাণ্ডে তদন্তে সদিচ্ছা, চেষ্টা ও সততা নিয়ে কাজ করবে পিবিআই। বয়ে আনতে পারবে আরও প্রসংশা এমনটাই আশা তাদের।
আলোচিত তনু হত্যাকাণ্ডের পর গত প্রায় পাঁচ বছর এই মামলাটির চারবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। মামলা তদন্তে পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কোনো কিনারা হয়নি, শনাক্ত হয়নি খুনি। মামলারও বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতর থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।
পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২১ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলাটি পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজ বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই পড়েছিল তাঁর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না। তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
হত্যাকাণ্ডের পর তনুর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনির জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তনু। পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা।
রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কালভার্টের পাশে ঝোপের মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার দাবি করে দেশবাসী।
এ বিষয়ে পিআইবি প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, সবেমাত্র মামলার তদন্তভার পেয়েছি। অফিসিয়াল ভাবে কেস ডকেট (সিডি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে। কাগজপত্র দেখবো। পর্যালোচনা করে পরিকল্পনার মাধ্যমে তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।
তবে আশা করছি, এই মামলার একটা ভালো ফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে পারবো। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।
তনু হত্যা মামলা
সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১
দীর্ঘ পাঁচ বছরেও কুল কিনারা হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার। এই স্পর্শকাতর হত্যা মামলার তদন্তভার ইতোমধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে।
তনুর স্বজনরা বলেছেন, আমাদের শেষ ভরসা এখন পিবিআই। স্বচ্ছতা নিয়ে এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করবে বলে তনুর মা-বাবার বিশ্বাস। ক্লু লেস হত্যাকাণ্ডে তদন্ত করে অনেক মামলার চার্জশিট প্রদানসহ অনেক সফলতার উদাহরণ রয়েছে পিবিআইয়ের। ফলে তনুর স্বজনদের শেষ ভরসার স্থল পিবিআই।
তনু হত্যাকাণ্ডে তদন্তে সদিচ্ছা, চেষ্টা ও সততা নিয়ে কাজ করবে পিবিআই। বয়ে আনতে পারবে আরও প্রসংশা এমনটাই আশা তাদের।
আলোচিত তনু হত্যাকাণ্ডের পর গত প্রায় পাঁচ বছর এই মামলাটির চারবার তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে। মামলা তদন্তে পাঁচজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কোনো কিনারা হয়নি, শনাক্ত হয়নি খুনি। মামলারও বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতর থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এবং সবশেষ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।
পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২১ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলাটি পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজ বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই পড়েছিল তাঁর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না। তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
হত্যাকাণ্ডের পর তনুর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনির জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তনু। পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা।
রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কালভার্টের পাশে ঝোপের মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তনু হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার দাবি করে দেশবাসী।
এ বিষয়ে পিআইবি প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, সবেমাত্র মামলার তদন্তভার পেয়েছি। অফিসিয়াল ভাবে কেস ডকেট (সিডি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে। কাগজপত্র দেখবো। পর্যালোচনা করে পরিকল্পনার মাধ্যমে তদন্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।
তবে আশা করছি, এই মামলার একটা ভালো ফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছাতে পারবো। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।