দীর্ঘ ১৫ বছর পর রংপুরের পীরগজ্ঞে ১৫ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় স্ত্রী তানজিনা বেগমকে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে লাশ বাড়ির কাছে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক স্বামী আবু সাঈদকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ৩ এর বিচারক আলী হোসেন এ রায় প্রদান করেছেন। রায় ঘোষনার আগে থেকে আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষনা করেছেন বিচারক।
মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০ বছর আগে রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের গরীব দীনমজুর তাজিম উদ্দিনের কন্যা তানজিমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী পীরগড় গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের সাথে বিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ২৫ হাজার যৌতুক দাবি করে আসছিলো স্বামী আবু সাঈদ। এ জন্য তাকে প্রায়শই নির্যাতন করতো। পরে তানজিমার বাবা তাদের শেষ সম্বল গাভী বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে স্বামী আবু সাঈদকে। কিন্তুৃ বাকী ১৫ হাজার টাকা না দেয়ায় তাকে মারধর করতো পাষন্ড স্বামী। ঘটনার কিছুদিন আগে স্বামী আবু সাঈদ তাসকিরা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ নিয়ে নিহত তানজিনা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে আবারো নির্যাতন করে স্বামী আবু সাঈদ। গত ২০০৭ সালের ৮ ফ্রেরুয়ারী তারিখে স্বামী সাঈদ তার স্ত্রী তানুজিনাকে বাবার বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিলে তার বাবা গরীব অসহায় টাকা দিতে পারবেনা বলে জানালে নব বিবাহিতা স্ত্রী তাসকিরা বেগমের সহায়তায় স্বামী আবু সাঈদ তার স্ত্রী তানজিনা বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এর পর তার লাশ বাড়ির অদুরে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে স্বামী সাঈদ। এ ঘটনায় নিহত তানসজিনা বেগমের বাবা তাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে পীরগজ্ঞ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েঢর করে। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামী আবু সাঈদ ও তার নব বিবাহিতা স্ত্রী তাসকিরা বেগমের নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী আবু সাঈদকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। অপর আসামী তাসকিরা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। রায় ঘোষনার আদালত বলেন আসামী সাঈদ এর আগে ১৬ টি বিয়ে করেছে নিহত তানজিনা বেগম তার ১৭ তম স্ত্রী আর তাসকিরা বেগম তার ১৮ তম স্ত্রী। আসামী এভাবেই ১৮টি বিয়ে করেছে বিয়ে করে যৌতুক নেয়া এবং বিয়ে করা তার পেশা ও নেশায় পরিনত হয়েছিলো। আদালত তার পর্যবেক্ষনে বলেন আসামীর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করে। সে কারে ন মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে সেই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা কারী বিশেষ পিপি তাইজুর রহমান লাইজু এ্যাডভোকেট বলেন এ রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করছে সেই সাথে আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে সাজা কার্যকর করার ব্যবস্থা নেবে। রায় ঘোষনার সময় আসামী পক্ষের কোন আইনজিবী উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রংপুরের পীরগজ্ঞে ১৫ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় স্ত্রী তানজিনা বেগমকে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে লাশ বাড়ির কাছে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক স্বামী আবু সাঈদকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ৩ এর বিচারক আলী হোসেন এ রায় প্রদান করেছেন। রায় ঘোষনার আগে থেকে আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষনা করেছেন বিচারক।
মামলার বিবরনে জানা গেছে ২০ বছর আগে রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের গরীব দীনমজুর তাজিম উদ্দিনের কন্যা তানজিমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী পীরগড় গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের সাথে বিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ২৫ হাজার যৌতুক দাবি করে আসছিলো স্বামী আবু সাঈদ। এ জন্য তাকে প্রায়শই নির্যাতন করতো। পরে তানজিমার বাবা তাদের শেষ সম্বল গাভী বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা প্রদান করে স্বামী আবু সাঈদকে। কিন্তুৃ বাকী ১৫ হাজার টাকা না দেয়ায় তাকে মারধর করতো পাষন্ড স্বামী। ঘটনার কিছুদিন আগে স্বামী আবু সাঈদ তাসকিরা বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ নিয়ে নিহত তানজিনা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে আবারো নির্যাতন করে স্বামী আবু সাঈদ। গত ২০০৭ সালের ৮ ফ্রেরুয়ারী তারিখে স্বামী সাঈদ তার স্ত্রী তানুজিনাকে বাবার বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিলে তার বাবা গরীব অসহায় টাকা দিতে পারবেনা বলে জানালে নব বিবাহিতা স্ত্রী তাসকিরা বেগমের সহায়তায় স্বামী আবু সাঈদ তার স্ত্রী তানজিনা বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এর পর তার লাশ বাড়ির অদুরে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে স্বামী সাঈদ। এ ঘটনায় নিহত তানসজিনা বেগমের বাবা তাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে পীরগজ্ঞ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েঢর করে। তদন্ত শেষে পুলিশ আসামী আবু সাঈদ ও তার নব বিবাহিতা স্ত্রী তাসকিরা বেগমের নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী আবু সাঈদকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়। অপর আসামী তাসকিরা বেগমকে বেকসুর খালাস প্রদান করে। রায় ঘোষনার আদালত বলেন আসামী সাঈদ এর আগে ১৬ টি বিয়ে করেছে নিহত তানজিনা বেগম তার ১৭ তম স্ত্রী আর তাসকিরা বেগম তার ১৮ তম স্ত্রী। আসামী এভাবেই ১৮টি বিয়ে করেছে বিয়ে করে যৌতুক নেয়া এবং বিয়ে করা তার পেশা ও নেশায় পরিনত হয়েছিলো। আদালত তার পর্যবেক্ষনে বলেন আসামীর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিত বলে আদালত মনে করে। সে কারে ন মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে সেই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা কারী বিশেষ পিপি তাইজুর রহমান লাইজু এ্যাডভোকেট বলেন এ রায়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করছে সেই সাথে আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করে সাজা কার্যকর করার ব্যবস্থা নেবে। রায় ঘোষনার সময় আসামী পক্ষের কোন আইনজিবী উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।