বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সাত আসামির নামে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ মে ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান এদিন ঠিক করেন।
এ দিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই দুর্নীতি মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন।আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
এরপর ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।
তাদের বাদ দিয়ে এখন বাকি আসামিদের বিচার চলছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারগারে যান। কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সাত আসামির নামে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ মে ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান এদিন ঠিক করেন।
এ দিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই দুর্নীতি মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন।আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
এরপর ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।
তাদের বাদ দিয়ে এখন বাকি আসামিদের বিচার চলছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারগারে যান। কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন।