‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: এহছানে এলাহী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বললে শেষ হবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যাবে।
রোববার রাতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মুক্তাক্ষর আয়োজিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের উদ্যোগে দুটি আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির পিতাকে নিয়ে দুটি আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ বঙ্গবন্ধুকে আরও বেশি জানতে সহযোগিতা করবে। এখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক নামি-দামি লেখকের লেখা রয়েছে। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের জন্য তিনি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি, সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আর এ ধরণের প্রোগ্রাম দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামীতেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত প্রোগ্রাম করবেন সেই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করলে আমি থাকার চেষ্টা করব।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সবার সম্মুখে তুলে ধরে বলেন, ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।তিনি বলেন, আমরা আজ যা চিন্তা করি বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই সে সব বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা আজ দেশের যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি তা বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিশৃংসভাবে হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন ল’কলেজের অধ্যক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড.এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেটের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সভাপতি এডভোকেট মামুন হোসেন ও আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকনের সঞ্চালনায় ১ম পর্বের আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সিলেট নিরাজ কুমার জয়সওয়াল। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন সিলেট এর সেকেন্ড সেক্রেটারি (প্রেস,ইনফরমেশন, কালচার এন্ড এডুকেশন) শ্রী মানস কুমার মোস্তাফি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি ড.দেবব্রত রায়, সম্পাদক ড.মুজাহিদুর রহমান, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং লেখক ও কলামিস্ট অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত ও গীতা পাঠ করেন ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া এবং স্কলার্সহোম স্কুলের শিক্ষার্থী দেবজ্যোতি আচার্য্য শায়ন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গানের ভিডিও প্রদর্শনী ও নৃত্য এবং আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্টও প্রদান করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভারতের ২৫ জন স্বনামধন্য শিল্পী আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তি প্রশিক্ষক বিমল কর, ত্রিপুরা আগরতলার জনপ্রিয় উপস্থাপিকা সুনন্দা দেবনাথ ও প্রিয়শ্রী কর পিউ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড.নাজরা চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারওয়ার সবুজ, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, কানাই দত্ত, প্রভাষক মিন্টু চন্দ্র দাস, প্রভাষক লিয়াকত আলী, সতেন্দ্র দাস তালুকদার, যুবলীগ নেতা সামন্ত ধর, এসডি সুমেল, নসু ভৌমিক, পারমিতা হালদার, শাহ বোরহান, লোকনাথ রায় সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা’
সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: এহছানে এলাহী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বললে শেষ হবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যাবে।
রোববার রাতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মুক্তাক্ষর আয়োজিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের উদ্যোগে দুটি আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির পিতাকে নিয়ে দুটি আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ বঙ্গবন্ধুকে আরও বেশি জানতে সহযোগিতা করবে। এখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক নামি-দামি লেখকের লেখা রয়েছে। যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আন্তর্জাতিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের জন্য তিনি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি, সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আর এ ধরণের প্রোগ্রাম দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আগামীতেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত প্রোগ্রাম করবেন সেই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ করলে আমি থাকার চেষ্টা করব।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস সবার সম্মুখে তুলে ধরে বলেন, ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।তিনি বলেন, আমরা আজ যা চিন্তা করি বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই সে সব বিষয়ে কথা বলেছেন। আমরা আজ দেশের যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি তা বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ফসল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নিশৃংসভাবে হত্যা করে দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন ল’কলেজের অধ্যক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড.এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেটের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সভাপতি এডভোকেট মামুন হোসেন ও আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকনের সঞ্চালনায় ১ম পর্বের আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সিলেট নিরাজ কুমার জয়সওয়াল। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন সিলেট এর সেকেন্ড সেক্রেটারি (প্রেস,ইনফরমেশন, কালচার এন্ড এডুকেশন) শ্রী মানস কুমার মোস্তাফি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদের সভাপতি ড.দেবব্রত রায়, সম্পাদক ড.মুজাহিদুর রহমান, ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিত ভৌমিক, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এবং লেখক ও কলামিস্ট অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত ও গীতা পাঠ করেন ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া এবং স্কলার্সহোম স্কুলের শিক্ষার্থী দেবজ্যোতি আচার্য্য শায়ন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গানের ভিডিও প্রদর্শনী ও নৃত্য এবং আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্টও প্রদান করা হয়।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভারতের ২৫ জন স্বনামধন্য শিল্পী আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তি প্রশিক্ষক বিমল কর, ত্রিপুরা আগরতলার জনপ্রিয় উপস্থাপিকা সুনন্দা দেবনাথ ও প্রিয়শ্রী কর পিউ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড.নাজরা চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারওয়ার সবুজ, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, কানাই দত্ত, প্রভাষক মিন্টু চন্দ্র দাস, প্রভাষক লিয়াকত আলী, সতেন্দ্র দাস তালুকদার, যুবলীগ নেতা সামন্ত ধর, এসডি সুমেল, নসু ভৌমিক, পারমিতা হালদার, শাহ বোরহান, লোকনাথ রায় সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।