সিসিমপুর শিশুদের পছন্দের অনুষ্ঠান। হালুম ,টুকটুকি,ইকরি ,শিকু শিশুদের খুবই পচ্ছন্দের চরিত্র। তারা সবসময় টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখে। বই মেলায় শিশু প্রহরে টিভির পছন্দের চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল শিশুদের চোখে মুখে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বই মেলায় শিশুদের জন্য থাকে বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। তাই সকাল থেকেই মা-বাবার হাত ধরে বই মেলায় এসেছে শিশুরা। শিশু প্রহরে তাদের জন্য থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান । এর মধ্যে শিশুদের সবচেয়ে বেশী পছন্দ সিসিমপুরের মঞ্চ ।
বইপড়া পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভালো কাজ করা সহ শিশুদের মানসিক বিকাশে নানান শিক্ষনীয় বিষয় সিসিমপুরের মঞ্চে উপস্থাপন হয় খেলার ছলে। শিশুরাও হেসে খেলে শেখে নেয় জীবনে পাঠ ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হয় শিশু প্রহর । কিন্তু এর এগেই মা-বাবার সাথে বই মেলা চলে আসে শিশুরা । ১১ টায় ডুকতে দেওয়া হয় মেলায়। দীর্ঘক্ষন মেলার গেইটে অপেক্ষা করে শিশু ও অভিবাককরা। মেলায় ডুকেই শিশুরা চলে যায় সিসিমপুরের মঞ্চর দিকে । শিশুদের যেন সিসিমপুর দেখার অপেক্ষা আর সইছিল না ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে টুকটুকি, হালুমদের নিয়ে শিশুদের মাঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ। হেসে খেলে শিশুদের ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং কিভাবে রাস্তা পার হবে তা শেখায়। শিকুদের সাথে হেসে নেচে গান গেয়ে শেষ হয় শিশুদের সিসিমপুরের পর্ব । তারপর শিশুরা যায় অভিবাবকদের সাথে মেলার বইরের দোকান গুলোতে । ক্রয় করেন পছন্দের বই ।
শিশু তুষা বাবার সাথে বই মেলা এসেছে ,মেলায় তার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক গুলো বই এক সাথে দেখতে পেয়েছে মেলায়। চাঁদের বুড়ি, মাথায় কত প্রশ্ন জাগে ,ছোটদের ভূতের গল্প, পঞ্চাশটি বিজ্ঞারী প্রজেক্টর বই সহ ৬টি বই কিনেছে । তার গল্পের বই অনেক ভালো লাগে।
তুষা বাবা আব্দুস সালাম বলেন, প্রযুক্তির যোগে শিশুরা ডিভাইস নির্বর হয়ে পরছে । বই পড়ার মজা থেকে শিশুরা দুরে সরে যাচ্ছে । তাই অভিবাকদের অবশ্যই শিশুদের বই মেলায় আনা এবং শিশুদের বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া জরুরী। বই মেলার পরিধি বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন ।
আতিকুর রহমান কেরারীগঞ্জ থেকে এসেছে দুই ছেলেকে নিয়ে। তার দুই ছেলে সিসিমপুর দেখে খুবই আনন্দিত। তিনি জানান তার ছেলেরা টিভিতে সিসিমপুর দেখে। এটি তার ছেলেদের পছন্দের অনুষ্ঠান আজ শিশু প্রহরে টিভির চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে অনেক উপভোগ করেছে ছেলেরা । হেসে খেলে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি মনে করেন শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া প্রয়োজন।
শিশু গ্রহ্থ কুটিরের বিক্রয়কর্মী মুনীশা বলেন, শিশুরা সাইন্স ফিকশন , কার্টুন , ভুতের গল্প , ছড়া , কবিতার বই বেশী কিনছে। আজ শিশু প্রহর তাই মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বেশী এবং শিশুদের বই বেশী বিক্রয় হচ্ছে।
টুনটুনি প্রকাশণীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা বলেন, বিভিন্ন ধরণে গল্পের বই কিনছে শিশুরা বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা খেলাধুলা, সাইন্স ফিকশনের বই বেশী কিনছে ।
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর শিশু প্রহর উদ্বোধন হয় ২ ফেব্রুয়ারী । বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা শিশু চত্বরে শিশু প্রহর উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী বই মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাককে শিশুদের জন্য, এই সময়টাকে ঘোষণা করা হয় শিশু প্রহর হিসেবে।
শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সিসিমপুর শিশুদের পছন্দের অনুষ্ঠান। হালুম ,টুকটুকি,ইকরি ,শিকু শিশুদের খুবই পচ্ছন্দের চরিত্র। তারা সবসময় টেলিভিশনে সিসিমপুর দেখে। বই মেলায় শিশু প্রহরে টিভির পছন্দের চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল শিশুদের চোখে মুখে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বই মেলায় শিশুদের জন্য থাকে বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। তাই সকাল থেকেই মা-বাবার হাত ধরে বই মেলায় এসেছে শিশুরা। শিশু প্রহরে তাদের জন্য থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান । এর মধ্যে শিশুদের সবচেয়ে বেশী পছন্দ সিসিমপুরের মঞ্চ ।
বইপড়া পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ভালো কাজ করা সহ শিশুদের মানসিক বিকাশে নানান শিক্ষনীয় বিষয় সিসিমপুরের মঞ্চে উপস্থাপন হয় খেলার ছলে। শিশুরাও হেসে খেলে শেখে নেয় জীবনে পাঠ ।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় শুরু হয় শিশু প্রহর । কিন্তু এর এগেই মা-বাবার সাথে বই মেলা চলে আসে শিশুরা । ১১ টায় ডুকতে দেওয়া হয় মেলায়। দীর্ঘক্ষন মেলার গেইটে অপেক্ষা করে শিশু ও অভিবাককরা। মেলায় ডুকেই শিশুরা চলে যায় সিসিমপুরের মঞ্চর দিকে । শিশুদের যেন সিসিমপুর দেখার অপেক্ষা আর সইছিল না ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে টুকটুকি, হালুমদের নিয়ে শিশুদের মাঝে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ। হেসে খেলে শিশুদের ট্রাফিক সিগনাল সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং কিভাবে রাস্তা পার হবে তা শেখায়। শিকুদের সাথে হেসে নেচে গান গেয়ে শেষ হয় শিশুদের সিসিমপুরের পর্ব । তারপর শিশুরা যায় অভিবাবকদের সাথে মেলার বইরের দোকান গুলোতে । ক্রয় করেন পছন্দের বই ।
শিশু তুষা বাবার সাথে বই মেলা এসেছে ,মেলায় তার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক গুলো বই এক সাথে দেখতে পেয়েছে মেলায়। চাঁদের বুড়ি, মাথায় কত প্রশ্ন জাগে ,ছোটদের ভূতের গল্প, পঞ্চাশটি বিজ্ঞারী প্রজেক্টর বই সহ ৬টি বই কিনেছে । তার গল্পের বই অনেক ভালো লাগে।
তুষা বাবা আব্দুস সালাম বলেন, প্রযুক্তির যোগে শিশুরা ডিভাইস নির্বর হয়ে পরছে । বই পড়ার মজা থেকে শিশুরা দুরে সরে যাচ্ছে । তাই অভিবাকদের অবশ্যই শিশুদের বই মেলায় আনা এবং শিশুদের বই পড়তে উৎসাহ দেওয়া জরুরী। বই মেলার পরিধি বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন ।
আতিকুর রহমান কেরারীগঞ্জ থেকে এসেছে দুই ছেলেকে নিয়ে। তার দুই ছেলে সিসিমপুর দেখে খুবই আনন্দিত। তিনি জানান তার ছেলেরা টিভিতে সিসিমপুর দেখে। এটি তার ছেলেদের পছন্দের অনুষ্ঠান আজ শিশু প্রহরে টিভির চরিত্রগুলো বাস্তবে দেখে অনেক উপভোগ করেছে ছেলেরা । হেসে খেলে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি মনে করেন শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হওয়া প্রয়োজন।
শিশু গ্রহ্থ কুটিরের বিক্রয়কর্মী মুনীশা বলেন, শিশুরা সাইন্স ফিকশন , কার্টুন , ভুতের গল্প , ছড়া , কবিতার বই বেশী কিনছে। আজ শিশু প্রহর তাই মেলায় শিশুদের উপস্থিতি বেশী এবং শিশুদের বই বেশী বিক্রয় হচ্ছে।
টুনটুনি প্রকাশণীর বিক্রয়কর্মী তাহমিনা আক্তার শান্তা বলেন, বিভিন্ন ধরণে গল্পের বই কিনছে শিশুরা বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা খেলাধুলা, সাইন্স ফিকশনের বই বেশী কিনছে ।
অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর শিশু প্রহর উদ্বোধন হয় ২ ফেব্রুয়ারী । বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা শিশু চত্বরে শিশু প্রহর উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী বই মেলায় সপ্তাহের দুদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাককে শিশুদের জন্য, এই সময়টাকে ঘোষণা করা হয় শিশু প্রহর হিসেবে।