তাহমিনা শিল্পী। নারী লেখকদের নিয়ে তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় নারী কবি ও লেখকদের প্রচুর বই এসেছে। কবিতার বই বেশি। মূলত, নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নারীরা লিখছে। পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব সামলে নারীদের পক্ষে লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও তারা নিজের ইচ্ছেকে জাগিয়ে রেখে লিখছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে সবাই ভালো লিখছে বা সবাই ভালো লিখছে না, এমনটা নয়। গড়পরতা লেখার ফাঁকে ফাঁকে যারা ভালো লিখছে তারা কিন্তু সাহিত্যের আঙ্গিনায় আপন প্রতিভার আলো ছড়াচ্ছেন। অনেকেরই লেখা পড়েছি,ভালো লেগেছে।
লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনেক সময় নতুন লেখকদের লেখা ছাপানোর জন্য প্রকাশক পাওয়া যায় না। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকেরা পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত লেখকদেরই প্রাধান্য দেন-এ কথার সঙ্গে একদম একমত জানিয়ে লেখক রোকসানা রহমান বলেন, আজ প্রায় ৩০ বছর লেখালিখি নিয়ে। ইদানিং দেখছি আমলাদের লেখা বেশি বের হয়। এখন তোয়াজের যুগ। তোয়াজ করে বই করতে হয়। কিংবা টাকা দিয়ে। মেয়েরা বই লিখবে কি করে তাহলে। অনেকেই লিখছে, কিন্তু এসব কারণে অনেকের পা-ুলিপি আলোর মুখ দেখে না।
নিয়াজী মান্নার ৫টি নতুন বই এসেছে এবারের বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়া যায় না বিশেষ করে নারীদের। এইটা একটা বিরাট সমস্যা। সেলিনা হোসেন পেরেছেন, কিন্তু তিনি কতোটা পেরেছেন তা আমার জানতে ইচ্ছা করে।’
শিশু সাহিত্যিক জ্যোৎস্না লিপি বলেন, নারী লেখকদের বই এর সংখ্যা কম হবার একটি বড় কারণ অনেক কম সংখ্যক নারী এই মুহূর্তে লেখালেখি করছেন। নারীরা লিখছে না, লিখলেও প্রকাশ করছে না। নারীরা ভালো লিখলে পুরস্কার পেলে সেটা নিয়েও বাজে সমালোচনা হয়।
প্রতিবছর বই মেলায় যত বই ছাপা হয়, তার কত শতাংশ নারী লেখকদের রচনা বলতে পারেন (?)। নারী লেখক তৈরিতে অমর একুশে বইমেলার আয়োজক, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন লেখক জ্যোৎম্না লিপি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
তাহমিনা শিল্পী। নারী লেখকদের নিয়ে তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় নারী কবি ও লেখকদের প্রচুর বই এসেছে। কবিতার বই বেশি। মূলত, নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নারীরা লিখছে। পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব সামলে নারীদের পক্ষে লেখালেখিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও তারা নিজের ইচ্ছেকে জাগিয়ে রেখে লিখছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে সবাই ভালো লিখছে বা সবাই ভালো লিখছে না, এমনটা নয়। গড়পরতা লেখার ফাঁকে ফাঁকে যারা ভালো লিখছে তারা কিন্তু সাহিত্যের আঙ্গিনায় আপন প্রতিভার আলো ছড়াচ্ছেন। অনেকেরই লেখা পড়েছি,ভালো লেগেছে।
লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই অভিযোগ করেছেন, অনেক সময় নতুন লেখকদের লেখা ছাপানোর জন্য প্রকাশক পাওয়া যায় না। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, বই প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রকাশকেরা পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত লেখকদেরই প্রাধান্য দেন-এ কথার সঙ্গে একদম একমত জানিয়ে লেখক রোকসানা রহমান বলেন, আজ প্রায় ৩০ বছর লেখালিখি নিয়ে। ইদানিং দেখছি আমলাদের লেখা বেশি বের হয়। এখন তোয়াজের যুগ। তোয়াজ করে বই করতে হয়। কিংবা টাকা দিয়ে। মেয়েরা বই লিখবে কি করে তাহলে। অনেকেই লিখছে, কিন্তু এসব কারণে অনেকের পা-ুলিপি আলোর মুখ দেখে না।
নিয়াজী মান্নার ৫টি নতুন বই এসেছে এবারের বইমেলায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেয়া যায় না বিশেষ করে নারীদের। এইটা একটা বিরাট সমস্যা। সেলিনা হোসেন পেরেছেন, কিন্তু তিনি কতোটা পেরেছেন তা আমার জানতে ইচ্ছা করে।’
শিশু সাহিত্যিক জ্যোৎস্না লিপি বলেন, নারী লেখকদের বই এর সংখ্যা কম হবার একটি বড় কারণ অনেক কম সংখ্যক নারী এই মুহূর্তে লেখালেখি করছেন। নারীরা লিখছে না, লিখলেও প্রকাশ করছে না। নারীরা ভালো লিখলে পুরস্কার পেলে সেটা নিয়েও বাজে সমালোচনা হয়।
প্রতিবছর বই মেলায় যত বই ছাপা হয়, তার কত শতাংশ নারী লেখকদের রচনা বলতে পারেন (?)। নারী লেখক তৈরিতে অমর একুশে বইমেলার আয়োজক, এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন লেখক জ্যোৎম্না লিপি।