সত্যেন সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর দেখানো পথে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, শোষণহীন, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী-সংগ্রামী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কৃষক নেতা সত্যেন সেনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদীচী নেতারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা ছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী’র শিল্পীরা। তারা পরিবেশন করেন সত্যেন সেন রচিত ‘মানুষেরে ভালোবাসি এই কি মোর অপরাধ’, ‘দিনে যদি হোস রে কানা কী হবে আর রাত্রি হলে’ গান দু’টি। এছাড়্ওা পরিবেশন করেন গান- “আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে”। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মিজান সুমন।
সত্যেন সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সত্যেন সেনের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। করোনা মহামারির মধ্যেও সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নিবাস দে। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হাবিবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, ইকবালুল হক খান এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য বিমল মজুমদার।
সভায় বক্তাারা বলেন, ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করা সত্যেন সেন আজীবন সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা-ে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিল তাঁর সরব উপ¯ি’তি। এছাড়াও, কৃষক আন্দোলনেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন সত্যেন সেন। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্তসহ বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল মুক্ত চিন্তার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বহু বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ গণসাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উদীচী। বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে যখন বাংলা ও এই ভূখ-ের আবহমান সংস্কৃতির উপর নতুন করে আঘাত এসেছে, যখন ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, যখন রাজনীতিতে আদর্শের কথা ভুলে গিয়ে নানামুখী আপোস দেখা যা”েছ তখন সত্যেন সেনের আদর্শ আমাদের সঠিক পথ দেখাবে। আর তাই, সত্যেন সেনের দেখানো পথে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে উদীচী। ১৯৮১ সালের ০৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন সত্যেন সেন।
বুধবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২১
সত্যেন সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর দেখানো পথে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, শোষণহীন, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উদীচী’র প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী-সংগ্রামী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-কৃষক নেতা সত্যেন সেনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদীচী নেতারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা ছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচী’র শিল্পীরা। তারা পরিবেশন করেন সত্যেন সেন রচিত ‘মানুষেরে ভালোবাসি এই কি মোর অপরাধ’, ‘দিনে যদি হোস রে কানা কী হবে আর রাত্রি হলে’ গান দু’টি। এছাড়্ওা পরিবেশন করেন গান- “আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে”। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মিজান সুমন।
সত্যেন সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই সত্যেন সেনের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। করোনা মহামারির মধ্যেও সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নিবাস দে। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হাবিবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, ইকবালুল হক খান এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য বিমল মজুমদার।
সভায় বক্তাারা বলেন, ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করা সত্যেন সেন আজীবন সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা-ে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ছিল তাঁর সরব উপ¯ি’তি। এছাড়াও, কৃষক আন্দোলনেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন সত্যেন সেন। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্তসহ বেশ কয়েকজন প্রগতিশীল মুক্ত চিন্তার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বহু বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ গণসাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উদীচী। বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে যখন বাংলা ও এই ভূখ-ের আবহমান সংস্কৃতির উপর নতুন করে আঘাত এসেছে, যখন ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে, যখন রাজনীতিতে আদর্শের কথা ভুলে গিয়ে নানামুখী আপোস দেখা যা”েছ তখন সত্যেন সেনের আদর্শ আমাদের সঠিক পথ দেখাবে। আর তাই, সত্যেন সেনের দেখানো পথে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ, মৌলবাদমুক্ত, সাম্যবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আজীবন লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে উদীচী। ১৯৮১ সালের ০৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন সত্যেন সেন।