নোভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বইমেলা চলবে কি, চলবে না সে বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের সরকারি প্রজ্ঞাপন এখনও হাতে আসেনি। সেটা হাতে এলে জানা যাবে, প্রজ্ঞাপনে বইমেলা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রকাশক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক। এদিকে, বইমেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রোববার (৫ এপ্রিল) নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শনিবার প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, আজও মেলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর বাংলা একাডেমি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। আমরা সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে চলমান বইমেলা চলবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি হলে স্বাভাবিকভাবেই বইমেলাও বন্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই বইমেলা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা রয়েছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘এখন মহামারীকাল চলছে। বাংলা একাডেমি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত মানতে হবে। এখানে বাংলা একাডেমির একা কিছু করার নেই।’
শনিবার বিকেলের পর থেকেই মেলার চিত্র দেখা গেছে বেশ জমজমাট। এদিন যারা বই মেলায় এসেছেন তাদের প্রত্যেককেই বই কিনে ফিরতে দেখা গেছে। বিশেষ করে লকডাউন এবং বইমেলা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই নির্দিষ্ট বইগুলো সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন দ্রুত। ফলে অনেক প্রকাশনীর বিকিকিনি হয়েছে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় একটু ভালো।
নতুন বই : শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১৪৪টি। এরমধ্যে বলাকা প্রকাশন এনেছে তৌহিদ আহমেদের ‘শেখ মুজিবের ছবি’, রাহানুমা প্রকাশনী এনেছে কাজী রোজীর ‘এরই নাম স্বাধীনতা’ এবং আসলাম সানীর ‘ছন্দ ছড়ায় জীবন গড়া’, ময়ূরপঙ্খী এনেছে মঞ্জু সরকারের ‘অপুর দাদু গাছ’, চারুলিপি এনেছে সনজীদা খাতুনের ‘বালক রনির কীর্তিকা’, ক্রিয়েটিভ এনেছে মিলু শামসের ‘অতসীর স্কুল’, অনুপম এনেছে মিনার মনসুর সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধের উপেক্ষিত বীর যোদ্ধারা’, জনপ্রিয় প্রকাশনী এনেছে শ্যামসুন্দর সিকদারের ‘নীল রঙের সাহস’, পেন্সিল এনেছে মনিজা রহমানের ‘হৃদয়বোধক চিহ্ন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। রোববার মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়। চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।
শনিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২১
নোভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বইমেলা চলবে কি, চলবে না সে বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের সরকারি প্রজ্ঞাপন এখনও হাতে আসেনি। সেটা হাতে এলে জানা যাবে, প্রজ্ঞাপনে বইমেলা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। শনিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রকাশক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন মহাপরিচালক। এদিকে, বইমেলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রোববার (৫ এপ্রিল) নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। শনিবার প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, আজও মেলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর বাংলা একাডেমি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। আমরা সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার সকালের দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে চলমান বইমেলা চলবে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি হলে স্বাভাবিকভাবেই বইমেলাও বন্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই বইমেলা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সাধারণত প্রতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়ে চলে পুরো মাস। এবার করোনার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়ে বইমেলা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর একুশে বইমেলা ভার্চুয়াল বা অনলাইনে করার কথা উঠেছিল। পরে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গত ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয় ৩৭তম অমর একুশে বইমেলার। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বইমেলা চলার কথা রয়েছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘এখন মহামারীকাল চলছে। বাংলা একাডেমি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত মানতে হবে। এখানে বাংলা একাডেমির একা কিছু করার নেই।’
শনিবার বিকেলের পর থেকেই মেলার চিত্র দেখা গেছে বেশ জমজমাট। এদিন যারা বই মেলায় এসেছেন তাদের প্রত্যেককেই বই কিনে ফিরতে দেখা গেছে। বিশেষ করে লকডাউন এবং বইমেলা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই নির্দিষ্ট বইগুলো সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন দ্রুত। ফলে অনেক প্রকাশনীর বিকিকিনি হয়েছে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় একটু ভালো।
নতুন বই : শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১৪৪টি। এরমধ্যে বলাকা প্রকাশন এনেছে তৌহিদ আহমেদের ‘শেখ মুজিবের ছবি’, রাহানুমা প্রকাশনী এনেছে কাজী রোজীর ‘এরই নাম স্বাধীনতা’ এবং আসলাম সানীর ‘ছন্দ ছড়ায় জীবন গড়া’, ময়ূরপঙ্খী এনেছে মঞ্জু সরকারের ‘অপুর দাদু গাছ’, চারুলিপি এনেছে সনজীদা খাতুনের ‘বালক রনির কীর্তিকা’, ক্রিয়েটিভ এনেছে মিলু শামসের ‘অতসীর স্কুল’, অনুপম এনেছে মিনার মনসুর সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধের উপেক্ষিত বীর যোদ্ধারা’, জনপ্রিয় প্রকাশনী এনেছে শ্যামসুন্দর সিকদারের ‘নীল রঙের সাহস’, পেন্সিল এনেছে মনিজা রহমানের ‘হৃদয়বোধক চিহ্ন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। রোববার মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়। চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত।