শিল্পাচার্যের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন
চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব -সংবাদ
বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব-২০২১। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এই উৎসব শুরু হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চারুকলা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই আর্ট ইনস্টিটিউট বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ হিসেবে সুপরিচিত। তার অনবদ্য সৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অনাগত ভবিষ্যতের প্রজন্মকেও নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিতে থাকবে এই প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী ও মানবিক চিত্র এঁকে বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে খ্যাতি এনে দিয়েছে। তার অনন্য অবদানের জন্যই বাংলাদেশের শিল্পচর্চা আজ ঈর্ষণীয় মানে পৌঁছেছে। অসাধারণ শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিকে উজ্জীবিত করেন। শিল্পাচার্যের এসব কর্মপ্রয়াস শিল্পজগতে তাকে অমরত্ব এনে দিয়েছে।
ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গন এমন একটি অঙ্গন যা অন্য অঙ্গনকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি জাতির সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্যপুত্র খায়রুল আবেদিন।
এর আগে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দুই প্রখ্যাত শিল্পী ভারতের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুস শাকুর শাহকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়। অধ্যাপক শিব কুমারের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী জয়নুল মেলার উদ্বোধন করেন যৌথভাবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
শিল্পাচার্যের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন
চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব -সংবাদ
বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব-২০২১। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় এই উৎসব শুরু হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চারুকলা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই আর্ট ইনস্টিটিউট বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ হিসেবে সুপরিচিত। তার অনবদ্য সৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অনাগত ভবিষ্যতের প্রজন্মকেও নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিতে থাকবে এই প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী ও মানবিক চিত্র এঁকে বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে খ্যাতি এনে দিয়েছে। তার অনন্য অবদানের জন্যই বাংলাদেশের শিল্পচর্চা আজ ঈর্ষণীয় মানে পৌঁছেছে। অসাধারণ শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিকে উজ্জীবিত করেন। শিল্পাচার্যের এসব কর্মপ্রয়াস শিল্পজগতে তাকে অমরত্ব এনে দিয়েছে।
ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়। সাংস্কৃতিক অঙ্গন এমন একটি অঙ্গন যা অন্য অঙ্গনকে টেকসই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি জাতির সাংস্কৃতিক অঙ্গন সমৃদ্ধ হলে তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রই সমৃদ্ধ হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্যপুত্র খায়রুল আবেদিন।
এর আগে শিল্পাচার্যের সমাধিতে ফুল দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, চারুকলা অনুষদ, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দুই প্রখ্যাত শিল্পী ভারতের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুস শাকুর শাহকে জয়নুল সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয়। অধ্যাপক শিব কুমারের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী জয়নুল মেলার উদ্বোধন করেন যৌথভাবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।