বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ
বাংলা সহিত্যে কাজী নজরুলের মতো এমন নজিরবিহীন অসাম্প্রদায়িক মানুষ আর নেই। তিনি সংস্কৃতির পুরোধা, আবার নিজে সংস্কৃত।
শুক্রবার কক্সবাজার পৌরসভার মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, কক্সবাজার জেলা সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, অনেকে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখেন, বলেন। কিন্তু অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন না। ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন করেন না। অর্থাৎ যা বলেন, তা বিশ্বাস করেন না। এবং যা বিশ্বাস করেন, তা বলেন না। অর্থাৎ জনতার করতালি পছন্দ করেন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান করেন না।
তারা বলেন, কাজী নজরুল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলেন। অন্তরাত্মা দিয়েই শুরু করেছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা লালন এবং ব্যক্তিজীবনে তা করে দেখিয়েছেন। সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্বে সেটি বাস্তবায়নে অসংখ্য পঙ্ক্তি রচনা করেছেন।
বক্তরারা আরো বলেন, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতেও তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে সাম্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা সৃষ্টির অজর, অমর, অক্ষয় স্বপ্ন দেখেছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার পরতে পরতে হিন্দু-মুসলিম-গ্রিক পুরাণের সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে মূলত মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন। দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী সকল নিপীড়িত পরাধীন জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন। স্বৈরাচার ও দোর্দ প্রতাপী দুঃশাসকের করাল গ্রাসে নিপতিত অধীন বিশ্বকে স্বাধীন করতে চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ সোমেশ্বর চক্রবর্তী ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজারের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক নজিবুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথি আবৃত্তি পরিবেশন করেছে আবৃত্তি সংগঠন শ্রুতি আবৃত্তি অঙ্গন ও তানভীর সরওয়ার রানার আবৃত্তি। এছাড়াও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত বিভাগ ও নৃত্য বিভাগের শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নৃত্য ও গান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, কক্সবাজার জেলা সংসদের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনির মোবারক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সায়ন্তন ভট্টাচার্য্য।
বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
বাংলা সহিত্যে কাজী নজরুলের মতো এমন নজিরবিহীন অসাম্প্রদায়িক মানুষ আর নেই। তিনি সংস্কৃতির পুরোধা, আবার নিজে সংস্কৃত।
শুক্রবার কক্সবাজার পৌরসভার মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, কক্সবাজার জেলা সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, অনেকে অসাম্প্রদায়িকতার কথা লেখেন, বলেন। কিন্তু অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করেন না। ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রে বাস্তবায়ন করেন না। অর্থাৎ যা বলেন, তা বিশ্বাস করেন না। এবং যা বিশ্বাস করেন, তা বলেন না। অর্থাৎ জনতার করতালি পছন্দ করেন। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে দৃশ্যমান করেন না।
তারা বলেন, কাজী নজরুল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলেন। অন্তরাত্মা দিয়েই শুরু করেছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা লালন এবং ব্যক্তিজীবনে তা করে দেখিয়েছেন। সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্বে সেটি বাস্তবায়নে অসংখ্য পঙ্ক্তি রচনা করেছেন।
বক্তরারা আরো বলেন, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাতেও তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে সাম্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা সৃষ্টির অজর, অমর, অক্ষয় স্বপ্ন দেখেছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার পরতে পরতে হিন্দু-মুসলিম-গ্রিক পুরাণের সার্থক ব্যবহারের মাধ্যমে মূলত মানুষেরই জয়গান গেয়েছেন। দল-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী সকল নিপীড়িত পরাধীন জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন। স্বৈরাচার ও দোর্দ প্রতাপী দুঃশাসকের করাল গ্রাসে নিপতিত অধীন বিশ্বকে স্বাধীন করতে চেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ সোমেশ্বর চক্রবর্তী ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট। অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজারের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক নজিবুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহেদ সরওয়ার সোহেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিথি আবৃত্তি পরিবেশন করেছে আবৃত্তি সংগঠন শ্রুতি আবৃত্তি অঙ্গন ও তানভীর সরওয়ার রানার আবৃত্তি। এছাড়াও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীত বিভাগ ও নৃত্য বিভাগের শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নৃত্য ও গান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, কক্সবাজার জেলা সংসদের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মনির মোবারক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সায়ন্তন ভট্টাচার্য্য।