প্রাণ ফিরে পেয়েছে অমর একুশে বই মেলা। দেশে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মেলায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন লেখক ও প্রকাশনী গুলো। তবে ছুটির দিনগুলোতে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলায় ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
মেলায় পরিবার-বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে লোকবলের সয়লাভ চারিদিক। এসেছেন তরুণ, বয়োজৈষ্ঠ ছাড়াও ছোট শিশুরা। সুমন হোসেন নামক মেলায় আগত দর্শনার্থী বলেন, মেলায় ঘুরতে আসলে অনেক কবি সাহিত্যিকের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ভালই লাগে যখন বই কেনার পাশাপাশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মেলায় বন্ধুরা মিলে একটা আড্ডা হলো।
শহীদ মিনারে ফুল অর্পণ করেই ছুটির দিন মগবাজার থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন ফয়সাল ইসলাম। নিজের জন্য এখনও বই কেনা হয়নি, তবে ঘুরে ঘুরে দেখছেন পছন্দ হলেই বই কিনবেন তিনি। তবে নিজের দুই সন্তানের জন্য বই কিনেছেন। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন তিনি।
তিনি জানান, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিগত দিনের চেয়ে ভিড় আজ একটু বেশি মনে হচ্ছে, চলতে-ফিরতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা একটু কষ্টদায়ক।
মিরপুর-১০ হতে আগত জীবন আহমেদ নামক মেলায় আগত এক দর্শনার্থী জানান প্রতিটি প্রবেশ গেটে দর্শনার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক নিশ্চিতসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হলেও মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর তা মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।
এবারের মেলায় নতুন আসা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, টাঙ্গন প্রকাশনী থেকে মানিক মুনতাসিরের ‘মুখোশের আড়ালে মুখোশ’, কবিতাচর্চা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ইউসুফ রেজার কাব্যগ্রন্থ ‘এইভাবে কেউ খুন হয় না’, উৎস থেকে প্রকাশিত মোস্তাফা সেলিমের ‘মনুমেন্ট অ্যান্ড মেমোরিয়ালস অব লিবারেশন ওয়ার, কবি প্রকাশী থেকে জয়দীপ দে’র ‘উদয়ের পথে’, ভাষা প্রকাশ থেকে মজিদ মাহমুদের প্রবন্ধ ‘মহাজীবনের মহাকাব্য’, ঘাসফুল প্রকাশনী থেকে রাব্বি হোসেনে’র উপন্যাস স্মৃতির রুমাল উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রেখেছে।
স্মৃতির রুমাল বইটি সর্ম্পকে লেখক রাব্বি হোসেন বলেন, একটি বিশ বাইশ বছরের তরুণীর যাপিত জীবনের সংগ্রামের চিত্র ফুটে এসেছে বইটিতে। কাছের মানুষকে আগলে রাখা, নিজেকে বাচিঁয়ে রাখার তীব্র তাড়না দেখানো হয়েছে বইটিতে। জীবন আর বাস্তবতার কঠিন সন্ধিই বইটির মূল প্লট।গল্পের প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিটি চরিত্রই আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।সেই সাথে বাবার সাথে ছেলের, মায়ের সাথে মেয়ের, অচেনা মানুষের সাথেও ভালোবাসার তীব্র বন্ধন থাকে তাই তুলে ধরা হয়েছে।বইটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। ইতোমধ্যে পাঠকদের আস্থা কুড়িয়ে নিয়েছে। পাঠকদের সাড়া আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে মেলার মোট আয়তন প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট। এছাড়াও রয়েছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। তাছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৬৩৪টি স্টল। সব মিলিয়ে মেলায় যোগ দেওয়া সংস্থার সংখ্যা ৫৩৪টি।
সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রাণ ফিরে পেয়েছে অমর একুশে বই মেলা। দেশে হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মেলায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন লেখক ও প্রকাশনী গুলো। তবে ছুটির দিনগুলোতে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলায় ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
মেলায় পরিবার-বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে লোকবলের সয়লাভ চারিদিক। এসেছেন তরুণ, বয়োজৈষ্ঠ ছাড়াও ছোট শিশুরা। সুমন হোসেন নামক মেলায় আগত দর্শনার্থী বলেন, মেলায় ঘুরতে আসলে অনেক কবি সাহিত্যিকের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। ভালই লাগে যখন বই কেনার পাশাপাশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মেলায় বন্ধুরা মিলে একটা আড্ডা হলো।
শহীদ মিনারে ফুল অর্পণ করেই ছুটির দিন মগবাজার থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন ফয়সাল ইসলাম। নিজের জন্য এখনও বই কেনা হয়নি, তবে ঘুরে ঘুরে দেখছেন পছন্দ হলেই বই কিনবেন তিনি। তবে নিজের দুই সন্তানের জন্য বই কিনেছেন। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন তিনি।
তিনি জানান, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিগত দিনের চেয়ে ভিড় আজ একটু বেশি মনে হচ্ছে, চলতে-ফিরতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা একটু কষ্টদায়ক।
মিরপুর-১০ হতে আগত জীবন আহমেদ নামক মেলায় আগত এক দর্শনার্থী জানান প্রতিটি প্রবেশ গেটে দর্শনার্থীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক নিশ্চিতসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হলেও মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর তা মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।
এবারের মেলায় নতুন আসা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, টাঙ্গন প্রকাশনী থেকে মানিক মুনতাসিরের ‘মুখোশের আড়ালে মুখোশ’, কবিতাচর্চা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ইউসুফ রেজার কাব্যগ্রন্থ ‘এইভাবে কেউ খুন হয় না’, উৎস থেকে প্রকাশিত মোস্তাফা সেলিমের ‘মনুমেন্ট অ্যান্ড মেমোরিয়ালস অব লিবারেশন ওয়ার, কবি প্রকাশী থেকে জয়দীপ দে’র ‘উদয়ের পথে’, ভাষা প্রকাশ থেকে মজিদ মাহমুদের প্রবন্ধ ‘মহাজীবনের মহাকাব্য’, ঘাসফুল প্রকাশনী থেকে রাব্বি হোসেনে’র উপন্যাস স্মৃতির রুমাল উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রেখেছে।
স্মৃতির রুমাল বইটি সর্ম্পকে লেখক রাব্বি হোসেন বলেন, একটি বিশ বাইশ বছরের তরুণীর যাপিত জীবনের সংগ্রামের চিত্র ফুটে এসেছে বইটিতে। কাছের মানুষকে আগলে রাখা, নিজেকে বাচিঁয়ে রাখার তীব্র তাড়না দেখানো হয়েছে বইটিতে। জীবন আর বাস্তবতার কঠিন সন্ধিই বইটির মূল প্লট।গল্পের প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ।প্রতিটি চরিত্রই আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।সেই সাথে বাবার সাথে ছেলের, মায়ের সাথে মেয়ের, অচেনা মানুষের সাথেও ভালোবাসার তীব্র বন্ধন থাকে তাই তুলে ধরা হয়েছে।বইটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী। ইতোমধ্যে পাঠকদের আস্থা কুড়িয়ে নিয়েছে। পাঠকদের সাড়া আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে মেলার মোট আয়তন প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট। এছাড়াও রয়েছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। তাছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৬৩৪টি স্টল। সব মিলিয়ে মেলায় যোগ দেওয়া সংস্থার সংখ্যা ৫৩৪টি।