alt

সংস্কৃতি

দুই বছর পর একটুকরো চমৎকার সকাল

জাহিদা পারভেজ ছন্দা: : বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools.jpg

বাঙালি সাজে কয়েকজন বিদেশী নারী নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। ছবি তুলছেন নিজেদের, আর যা কিছু ভালো লাগছে তার। চার জনের মধ্যে যিনি একটু বয়সী সকলকে গাইড করছিলেন তার কাছ থেকে জানা গেলো তারা ফ্্রান্স থেকে এসেছেন। কক্সবাজারে একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছেন ‘বর্ষবরন’ অনুষ্ঠান দেখতে।

তার নাম এনা। বাংলার বর্ষবরন কেমন লাগছে জানতে চাইলে, আধা বাংলায় এনা বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। সবাই সুন্দর করে সেজেছে, দেখতে ভালো লাগছে। আমরা এই উৎসবের কথা অনেক শুনেছি। আজ দেখলাম।’

এনার পাশে দাড়ানো এ্যালেন বলেন, ‘বাঙালীর বর্ষবরণ করাটা খুবই আনন্দের হয় অনেকের মুখে শুনেছি। অনেক গান হয়, পান্তা- ইলিশ খায়। এবার সব হচ্ছে না তারপরও আমাদের খুব ভালো লাগছে।’ কথা শেষ না হতেই একজন পরিচিতকে (বিদেশী) দেখে তাকে ডেকে নেয় এ্যালেন। তারা কথা বলায় আর ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

‘এক টুকরো চমৎকার সকাল দিলো ছায়ানট। এমন সকালের অপেক্ষায় ছিলাম গত ২ বছর’-বলেই মূল মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন চিকিৎসক দম্পতি ডা. রিয়াজ ও ডা. সায়মা।

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%281%29.jpg

এক রকম সাজে সেজে এসেছেন তিন বন্ধু নিম্মি হোর, রিপা রোজারিও ও এমি রোজারিও। অপেক্ষা করছেন আরো দুই বন্ধুর জন্য। তারাও একইরকম শাড়ী-ব্লাউজ এমনকি চুড়ি-টিপটাও তাদের মতোই পড়ে আসছে জানিয়ে নিম্মি বলেন, ‘যখন শুনেছি বটমূলে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট, তখনই আমরা ঠিক করেছি এখানে আসার। আর টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী যখন বল্লেন আপনারা উৎসব করুন, আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার। তখন খুব ভালো লেগেছে। একথা শুনে আশ্বস্ত হয়েছি। আর এখানে এসে নিরাপত্তার বিষযটা চোখে পড়েছে। যতো সাধারণ মানুষ ততো যেন পুলিশ আর র্যাব।’

‘অন্যান্যবার শাহবাগ থেকে লোকের জোয়ার থাকতো, এবার সেইটা নাই। কোনো দোকান পাট নাই, একদিনের মেলাটা খুব মিস করছি। তালপাতার তেহারী কিংবা পান্তা ইলিশের সেই দোকানগুলোও মিস করছি’ বলেই হেসে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়মান রাফি।

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%283%29.jpg

আজ যেন কেউ সাজিয়ে গুছিয়ে পোশাকি কথা বলতে প্রস্তুত না। সবাই বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে অগোছালো কথা বলতেই পছন্দ করছে। কারো সাথেই বেশীক্ষণ কথা বলা যাচ্ছে না। ছায়ানটের মূল মঞ্চের বাইরে নানা বয়সীরা ভিড় করছেন ছবি তুলছেন। অনেকেই লেকের পার ঘেষে বসে চুপচাপ গান শুনছেন।

এতো লোকের ভিড়ে একটু আলাদা করা গেলো একটি পরিবারকে। তারা বেশ একটু প্রস্তুত হয়েই এসেছেন পরিবারের সাথে গল্প করে সময় কাটাবার জন্য। সেগুন বাগিচার বাসিন্দা ইন্ডস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার বাসুদেবের স্ত্রী, মা, ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছেন আর এনেছেন বসার জন্য চাদর, পাখা, পানিসহ হালকা খাবার।

বাসুদেব বলেন,‘ প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে আসি। তাই জানি কিভাবে প্রস্তুত হয়ে আসতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আগের মতো জমজমাট বর্ষবরণ এর জায়গায় ফিরতে আরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে মিস করছি ক্রাউড আর ফকির আলমগীরকে।’

রোজা রেখেই স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন সদ্য চাকরী থেকে অবসরে যাওয়া আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘জীবন পার করে দিলাম ঢাকায়। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানে নানা কারণে আসা হয়নি। এবারই প্রথম।’ সেহরী খেয়ে আর ঘুমাননি আলমগীর, বলেন, ‘শাহবাগ থেকে হেঁটে আসতে একটু কষ্ট হয়েছে। যারা আয়োজন করে বা সরকারীভাবে ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা রাখলে ভালো হতো।’

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%282%29.jpg

কারওয়ান বাজার থেকে হেঁটে এসেছেন রবিন, মুক্তা, সবুজ, রুমিসহ কয়েকজন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘এতো আগে থেকেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত বাস যেতে দিলে ভালো হতো।’

করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের ঐহিত্যবাহী নববর্ষ বরণ। বন্ধ ছিলো সকল আয়োজন। আজ সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষ ১৪২৯ বরণের অনুষ্ঠান। আর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষের ঘোষণা আসে ঘড়ির কাঁটা যখন সাড়ে আটটায়। অনুষ্ঠান শেষ হলেও দল বেধে পরিবার নিয়ে রমনায় আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

বৈশাখের প্রথম দিন ঝাঁঝালো রোদের পরিবর্তে আলতো রোদ সকলকে স্বস্তি দিয়েছিলো। আর তাই যেন ছায়ানটের পরিবেশনা শেষ হলেও অনেকেই অলস বসে থাকেন, গল্পে মাতেন। শিশুরা ছুটতে থাকে মনের আনন্দে। রমনা পার্ক রঙিন হয়ে ওঠে নানা রঙের মানুষের পদচারনায়। দুই বছর পর একটুকরো চমৎকার সকাল পার করলো উৎসবপ্রেমী মানুষ।

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

ছবি

রোটারি ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান

ছবি

দর্শক নে, ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল

প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে পদত্যাগপত্র, চার শর্ত মানলে ফিরবেন জামিল আহমেদ

ছবি

বইমেলায় তপন কান্তি সরকারের বই ‘নতুন বিশ্বের নতুন ক্যারিয়ার’

ছবি

পর্দা নেমেছে সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের

ছবি

পাঠাও-এর ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

শেষ মুহূর্তে স্থগিত ঘোষণা ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব

ছবি

হুমকির মুখে স্থগিত ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব

ছবি

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব

ছবি

বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি আয়েশা মুন্নির ‘গুলবাহার ভোর’

ছবি

সোনারগাঁয়ে লোককারুশিল্প মেলা, লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্য শীতল পাটির প্রদর্শনী

ছবি

সোনারগাঁয়ে ছুটির দিনে লোকারন্য লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

ছবি

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের খবর নেই, এবার সরে গেলেন জুরি সদস্য

ছবি

কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রত্যাখ্যান করেছেন

এবার দশজন পাচ্ছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার।

ছবি

সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন

ছবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদীচী যশোর জেলা সংসদের ২২তম সম্মেলন শুরু

ছবি

ভিভো ও এসওএস এর যৌথ উদ্যোগে ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী

ছবি

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দিনব্যাপী চ্যারিটি মেলা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে জাতীয় অধ্যাপক করার দাবি

ছবি

শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্রের জন্য পৃথক বিভাগ চায় চলচ্চিত্রকর্মীরা

ছবি

শিল্পকর্মে বুড়িগঙ্গা পাড়ের জীবন

ছবি

শিল্পকর্মে বুড়িগঙ্গা পাড়ের জীবন

ছবি

এবার শিল্পকলায় নাটক বন্ধের প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা

ছবি

রাজশাহীতে ঋত্বিক ঘটকের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

ছবি

শহীদদের স্মরণে সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বান: ভয়কে জয় করে চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়

ছবি

রিয়েলমি’র আয়োজনে ন্যাশনাল মোবাইল ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২০২৪

ছবি

ময়মনসিংহে ৩ শতাধিক আলোকচিত্র নিয়ে ’ফ্যাসিস্ট প্রদর্শনী’

ছবি

ফ্লোরিডায় সোহরাব আলমের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ছবি

ডিজিটাল মিডিয়ার আসক্তি পৃথিবীকে অশান্ত করছে

জাতীয় সাংস্কৃতিক মৈত্রী নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

ছবি

মাসজুড়ে ভিভো’র ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা

ছবি

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ

ছবি

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশীদ আসকারীর পদত্যাগ

tab

সংস্কৃতি

দুই বছর পর একটুকরো চমৎকার সকাল

জাহিদা পারভেজ ছন্দা:

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools.jpg

বাঙালি সাজে কয়েকজন বিদেশী নারী নিজেদের মধ্যে কথা বলছেন। ছবি তুলছেন নিজেদের, আর যা কিছু ভালো লাগছে তার। চার জনের মধ্যে যিনি একটু বয়সী সকলকে গাইড করছিলেন তার কাছ থেকে জানা গেলো তারা ফ্্রান্স থেকে এসেছেন। কক্সবাজারে একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছেন ‘বর্ষবরন’ অনুষ্ঠান দেখতে।

তার নাম এনা। বাংলার বর্ষবরন কেমন লাগছে জানতে চাইলে, আধা বাংলায় এনা বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। সবাই সুন্দর করে সেজেছে, দেখতে ভালো লাগছে। আমরা এই উৎসবের কথা অনেক শুনেছি। আজ দেখলাম।’

এনার পাশে দাড়ানো এ্যালেন বলেন, ‘বাঙালীর বর্ষবরণ করাটা খুবই আনন্দের হয় অনেকের মুখে শুনেছি। অনেক গান হয়, পান্তা- ইলিশ খায়। এবার সব হচ্ছে না তারপরও আমাদের খুব ভালো লাগছে।’ কথা শেষ না হতেই একজন পরিচিতকে (বিদেশী) দেখে তাকে ডেকে নেয় এ্যালেন। তারা কথা বলায় আর ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

‘এক টুকরো চমৎকার সকাল দিলো ছায়ানট। এমন সকালের অপেক্ষায় ছিলাম গত ২ বছর’-বলেই মূল মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন চিকিৎসক দম্পতি ডা. রিয়াজ ও ডা. সায়মা।

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%281%29.jpg

এক রকম সাজে সেজে এসেছেন তিন বন্ধু নিম্মি হোর, রিপা রোজারিও ও এমি রোজারিও। অপেক্ষা করছেন আরো দুই বন্ধুর জন্য। তারাও একইরকম শাড়ী-ব্লাউজ এমনকি চুড়ি-টিপটাও তাদের মতোই পড়ে আসছে জানিয়ে নিম্মি বলেন, ‘যখন শুনেছি বটমূলে বর্ষবরণ করবে ছায়ানট, তখনই আমরা ঠিক করেছি এখানে আসার। আর টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী যখন বল্লেন আপনারা উৎসব করুন, আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার। তখন খুব ভালো লেগেছে। একথা শুনে আশ্বস্ত হয়েছি। আর এখানে এসে নিরাপত্তার বিষযটা চোখে পড়েছে। যতো সাধারণ মানুষ ততো যেন পুলিশ আর র্যাব।’

‘অন্যান্যবার শাহবাগ থেকে লোকের জোয়ার থাকতো, এবার সেইটা নাই। কোনো দোকান পাট নাই, একদিনের মেলাটা খুব মিস করছি। তালপাতার তেহারী কিংবা পান্তা ইলিশের সেই দোকানগুলোও মিস করছি’ বলেই হেসে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়মান রাফি।

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%283%29.jpg

আজ যেন কেউ সাজিয়ে গুছিয়ে পোশাকি কথা বলতে প্রস্তুত না। সবাই বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে অগোছালো কথা বলতেই পছন্দ করছে। কারো সাথেই বেশীক্ষণ কথা বলা যাচ্ছে না। ছায়ানটের মূল মঞ্চের বাইরে নানা বয়সীরা ভিড় করছেন ছবি তুলছেন। অনেকেই লেকের পার ঘেষে বসে চুপচাপ গান শুনছেন।

এতো লোকের ভিড়ে একটু আলাদা করা গেলো একটি পরিবারকে। তারা বেশ একটু প্রস্তুত হয়েই এসেছেন পরিবারের সাথে গল্প করে সময় কাটাবার জন্য। সেগুন বাগিচার বাসিন্দা ইন্ডস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার বাসুদেবের স্ত্রী, মা, ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছেন আর এনেছেন বসার জন্য চাদর, পাখা, পানিসহ হালকা খাবার।

বাসুদেব বলেন,‘ প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে আসি। তাই জানি কিভাবে প্রস্তুত হয়ে আসতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আগের মতো জমজমাট বর্ষবরণ এর জায়গায় ফিরতে আরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে মিস করছি ক্রাউড আর ফকির আলমগীরকে।’

রোজা রেখেই স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন সদ্য চাকরী থেকে অবসরে যাওয়া আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘জীবন পার করে দিলাম ঢাকায়। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানে নানা কারণে আসা হয়নি। এবারই প্রথম।’ সেহরী খেয়ে আর ঘুমাননি আলমগীর, বলেন, ‘শাহবাগ থেকে হেঁটে আসতে একটু কষ্ট হয়েছে। যারা আয়োজন করে বা সরকারীভাবে ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা রাখলে ভালো হতো।’

https://sangbad.net.bd/images/2022/April/15Apr22/news/output-onlinejpgtools%20%282%29.jpg

কারওয়ান বাজার থেকে হেঁটে এসেছেন রবিন, মুক্তা, সবুজ, রুমিসহ কয়েকজন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘এতো আগে থেকেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত বাস যেতে দিলে ভালো হতো।’

করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ ছিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের ঐহিত্যবাহী নববর্ষ বরণ। বন্ধ ছিলো সকল আয়োজন। আজ সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষ ১৪২৯ বরণের অনুষ্ঠান। আর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষের ঘোষণা আসে ঘড়ির কাঁটা যখন সাড়ে আটটায়। অনুষ্ঠান শেষ হলেও দল বেধে পরিবার নিয়ে রমনায় আসতে থাকেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

বৈশাখের প্রথম দিন ঝাঁঝালো রোদের পরিবর্তে আলতো রোদ সকলকে স্বস্তি দিয়েছিলো। আর তাই যেন ছায়ানটের পরিবেশনা শেষ হলেও অনেকেই অলস বসে থাকেন, গল্পে মাতেন। শিশুরা ছুটতে থাকে মনের আনন্দে। রমনা পার্ক রঙিন হয়ে ওঠে নানা রঙের মানুষের পদচারনায়। দুই বছর পর একটুকরো চমৎকার সকাল পার করলো উৎসবপ্রেমী মানুষ।

back to top