চির বিদায় নিলেন বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ। এক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষও।
শনিবার সকালে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ। জানা গেছে সম্প্রতি গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। তখন থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩। শনিবারই নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শিল্পীর।
কলকাতার দমদম গোরাবাজারের বাসিন্দা শিল্পী পার্থ ঘোষ ১১ এপ্রিল ভর্তি হন হাসপাতালে।ল্যারিংক্সে ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন তিনি। সিওপিডি-ও ছিল। এদিন সকালে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়।।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাদ্যায় পার্থ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে বলেন “ তাঁর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে কাজ করেছেন। পার্থ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল “
পার্থ ঘোষের পুত্র অয়ন ঘোষ বলেন, “বাবা আন্দুল রোডের কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ১ মাসের কাছাকাছি। বাবার একটা নিউরোলজিক্যাল প্রবলেম ছিল। সেটা অবশ্য মাইনর ছিল। তবে পরে দেখা গলে গলায় একটা পলিপ আছে, সেটা অপারেশন করা দরকার। এবং অপারেশনও যথারীতি হয়েছিল। শুক্রবার রাতে বাবাকে দেখে বাড়ি ফিরি। রাতে বাবার খবর নেই। তখনও বাবাকে বেশ চনমনে দেখেছি। কিন্তু আজ সকালে ফোন এল ৬.১৫ নাগাদ, একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তার পর ৭.৩৫-এ সব শেষ।”
বাচিক শিল্পী হিসেবে বাংলা সংস্কৃতিতে দারুণ প্রভাব ফেলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কিছু কিছু কাজ রীতিমতো কিংবদন্তি হয়ে রয়েছে। যেমন পার্থ ঘোষ ও গৌরী ঘোষ জুটির ‘কর্ণ–কুন্তী সংবাদ’ জনপ্রিয় ছিল আবৃত্তি প্রেমীদের কাছে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থের কণ্ঠে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়।’ এছাড়া স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ মনে থেকে যাবে। রেডিওয় উপস্থাপক হিসেবে আবৃত্তিকার দম্পতি পার্থ–গৌরীর পেশা জীবন শুরু।
শনিবার, ০৭ মে ২০২২
চির বিদায় নিলেন বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ। এক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষও।
শনিবার সকালে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাচিকশিল্পী পার্থ ঘোষ। জানা গেছে সম্প্রতি গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। তখন থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩। শনিবারই নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শিল্পীর।
কলকাতার দমদম গোরাবাজারের বাসিন্দা শিল্পী পার্থ ঘোষ ১১ এপ্রিল ভর্তি হন হাসপাতালে।ল্যারিংক্সে ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন তিনি। সিওপিডি-ও ছিল। এদিন সকালে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়।।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাদ্যায় পার্থ ঘোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে বলেন “ তাঁর অনবদ্য আবৃত্তি মননশীল শ্রোতাদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি দীর্ঘদিন আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের উপস্থাপক-ঘোষক হিসাবে কাজ করেছেন। পার্থ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে তাঁকে ‘বঙ্গভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল “
পার্থ ঘোষের পুত্র অয়ন ঘোষ বলেন, “বাবা আন্দুল রোডের কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ১ মাসের কাছাকাছি। বাবার একটা নিউরোলজিক্যাল প্রবলেম ছিল। সেটা অবশ্য মাইনর ছিল। তবে পরে দেখা গলে গলায় একটা পলিপ আছে, সেটা অপারেশন করা দরকার। এবং অপারেশনও যথারীতি হয়েছিল। শুক্রবার রাতে বাবাকে দেখে বাড়ি ফিরি। রাতে বাবার খবর নেই। তখনও বাবাকে বেশ চনমনে দেখেছি। কিন্তু আজ সকালে ফোন এল ৬.১৫ নাগাদ, একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তার পর ৭.৩৫-এ সব শেষ।”
বাচিক শিল্পী হিসেবে বাংলা সংস্কৃতিতে দারুণ প্রভাব ফেলে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কিছু কিছু কাজ রীতিমতো কিংবদন্তি হয়ে রয়েছে। যেমন পার্থ ঘোষ ও গৌরী ঘোষ জুটির ‘কর্ণ–কুন্তী সংবাদ’ জনপ্রিয় ছিল আবৃত্তি প্রেমীদের কাছে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থের কণ্ঠে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়।’ এছাড়া স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ মনে থেকে যাবে। রেডিওয় উপস্থাপক হিসেবে আবৃত্তিকার দম্পতি পার্থ–গৌরীর পেশা জীবন শুরু।