সলপের ঘোল ভেজালমুক্ত রাখার ঘোষনা
শুক্রবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলপের ঐতিহ্যবাহী ঘোল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সলপ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজগঞ্জ প্রভাতী সংঘের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে ঘোল উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ঘোল এক ধরণের ঔষধি খাবার। আগের দিনে পেটের পিড়া হলে দাদা দাদীরা ছোট বেলায় আমাদেরকে ঘোল খেতে দিতেন। তা খেয়ে পেটে অসুখ সেরে যেত। আজও মনে পড়ে গ্রামের বাড়ির সামনে এসে ঘোষেরা ‘ঘোল ঘোল বলে’ হাক ছাড়তো। আমরা দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হতাম ঘোল কেনার জন্য। সলপের ঘোল এক শত বছর ধরে বংশানুক্রমে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এ ঘোল এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। বিয়েসহ নানা উৎসব অনুষ্ঠানে এ ঘোল দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয় ।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এ বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাকার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ঘোল উৎপাদনে অবদান রাখার জন্য আব্দুল মালেককে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে। তিনি সলপের ঘোল যাতে করে সব সময় ভেজালমুক্ত থাকে তার জন্য আহবান জানান।
সিরাজগঞ্জের প্রভাতী সংঘ আয়োজিত উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনডিপি’র নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন খান। উৎসবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক শামীম হাসান, সাবেক প্রধান শিক্ষক হাবিবুজ্জামান, ব্যাংকার জাহাঙ্গীর আলম, উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক কল্যাণ ভৌমিক, সমাজসেবী শহিদুল ইসলাম ও ঘোল উৎপাদক-ব্যবসায়ী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আব্দুল মালেক।
উৎসবে ঘোল উৎপাদন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান রাখার জন্য জাতীয়ভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘোল উৎপাদক-ব্যবসায়ী আব্দুল মালেককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক । এ সময় মালেক সলপের ঘোল ভেজালমুক্ত রাখার ঘোষনা দেন।
অনুষ্ঠানে পাচঁ শতাধিক আগত অতিথিকে ঘোল, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সকাল ৭টা হতে ১০ টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। সলপ রেল চত্ত্বর এলাকার এ উৎসব শিশু কিশোর যুবক ও সুশীল সমাজের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
সলপের ঘোল ভেজালমুক্ত রাখার ঘোষনা
শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
শুক্রবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সলপের ঐতিহ্যবাহী ঘোল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সলপ রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজগঞ্জ প্রভাতী সংঘের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে ঘোল উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ঘোল এক ধরণের ঔষধি খাবার। আগের দিনে পেটের পিড়া হলে দাদা দাদীরা ছোট বেলায় আমাদেরকে ঘোল খেতে দিতেন। তা খেয়ে পেটে অসুখ সেরে যেত। আজও মনে পড়ে গ্রামের বাড়ির সামনে এসে ঘোষেরা ‘ঘোল ঘোল বলে’ হাক ছাড়তো। আমরা দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হতাম ঘোল কেনার জন্য। সলপের ঘোল এক শত বছর ধরে বংশানুক্রমে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এ ঘোল এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। বিয়েসহ নানা উৎসব অনুষ্ঠানে এ ঘোল দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয় ।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এ বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাকার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ঘোল উৎপাদনে অবদান রাখার জন্য আব্দুল মালেককে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে। তিনি সলপের ঘোল যাতে করে সব সময় ভেজালমুক্ত থাকে তার জন্য আহবান জানান।
সিরাজগঞ্জের প্রভাতী সংঘ আয়োজিত উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনডিপি’র নির্বাহী পরিচালক আলাউদ্দিন খান। উৎসবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক শামীম হাসান, সাবেক প্রধান শিক্ষক হাবিবুজ্জামান, ব্যাংকার জাহাঙ্গীর আলম, উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক কল্যাণ ভৌমিক, সমাজসেবী শহিদুল ইসলাম ও ঘোল উৎপাদক-ব্যবসায়ী জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত আব্দুল মালেক।
উৎসবে ঘোল উৎপাদন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান রাখার জন্য জাতীয়ভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘোল উৎপাদক-ব্যবসায়ী আব্দুল মালেককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক । এ সময় মালেক সলপের ঘোল ভেজালমুক্ত রাখার ঘোষনা দেন।
অনুষ্ঠানে পাচঁ শতাধিক আগত অতিথিকে ঘোল, চিড়া, মুড়ি, মুড়কি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সকাল ৭টা হতে ১০ টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। সলপ রেল চত্ত্বর এলাকার এ উৎসব শিশু কিশোর যুবক ও সুশীল সমাজের মিলন মেলায় পরিনত হয়।