বোধনসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনের ৪০তম আসর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। তিনদিন ব্যাপী এ আসর গতকাল সকালে উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ৪০ শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিজন একসঙ্গে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে আসরের সূচনা করেন, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যারা যুক্ত ছিলেন, বলে জানান সঞ্চালক ত্রপা মজুমদার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও সভ্যতার সংকট যখন দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে, তা বোঝা ও মোকাবিলা করতে রবীন্দ্রনাথ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন।
তিনি বলেন ‘আমাদের সবুজ গ্রহটা এখন রক্তাক্ত। শুকিয়ে গেছে সবুজ। এখন মানুষের মনুষ্যত্ববোধ, নন্দনবৃত্তি, সুকুমারবৃত্তি, সংবেদশনশীলতা, সহমর্মিতার জাগরণ ঘটাতে হবে। এই জাগরণ ঘটানোর অন্যতম পন্থা হল সংগীত। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও সভ্যতার সংকট যখন দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে, তা বোঝা ও মোকাবিলা করতে রবীন্দ্রনাথ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন।’
সমাজে এখন অশুভ শক্তি প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মন্তব্য করে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এই শক্তি এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ভুল বার্তা দিয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চায়। সেই শক্তিকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি এবার প্রতিহত করার সময় এসে গেছে। এবারের সম্মিলন জুড়ে আমরা সেই কথাই বারবার উচ্চারণ করব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমান। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ বিকালে ‘সম্প্রীতির সমাজ গঠনে সংস্কৃতির দায়’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতি ড. সারওয়ার আলীর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেবেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ও অধ্যাপক সাধন ঘোষ।
সম্মিলনের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টায়। এসময় অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এই অধিবেশনে রবীন্দ্র পদক দিয়ে গুণী-সম্মাননা জানানো হবে প্রয়াত সংগীতসাধক নীলোৎপল সাধ্য ও মিতা হককে।
১৯৭৯ সালে শিল্পী জাহিদুর রহিমের প্রয়াণ দিবসে কাজ শুরু হয়েছিল ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’ এর। দেশব্যাপী বৃহত্তর পরিসরে কর্মকা- পরিচালনা করার লক্ষ্য নিয়ে পরে বাঙালির চিরকালের সঙ্গী রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত করে সংগঠনের নাম করা হয় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ। নাম পরিবর্তন হলেও প্রয়াত স্মরণীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী জাহিদুর রহিমের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন বহাল রয়েছে। বর্তমানে সম্মিলন পরিষদের সক্রিয় শাখা ৮৪টি।
শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
বোধনসংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হলো জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলনের ৪০তম আসর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। তিনদিন ব্যাপী এ আসর গতকাল সকালে উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ৪০ শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিজন একসঙ্গে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে আসরের সূচনা করেন, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যারা যুক্ত ছিলেন, বলে জানান সঞ্চালক ত্রপা মজুমদার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক সৈয়দ আকরম হোসেন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও সভ্যতার সংকট যখন দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে, তা বোঝা ও মোকাবিলা করতে রবীন্দ্রনাথ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন।
তিনি বলেন ‘আমাদের সবুজ গ্রহটা এখন রক্তাক্ত। শুকিয়ে গেছে সবুজ। এখন মানুষের মনুষ্যত্ববোধ, নন্দনবৃত্তি, সুকুমারবৃত্তি, সংবেদশনশীলতা, সহমর্মিতার জাগরণ ঘটাতে হবে। এই জাগরণ ঘটানোর অন্যতম পন্থা হল সংগীত। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও সভ্যতার সংকট যখন দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে, তা বোঝা ও মোকাবিলা করতে রবীন্দ্রনাথ ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন।’
সমাজে এখন অশুভ শক্তি প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মন্তব্য করে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘এই শক্তি এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ভুল বার্তা দিয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চায়। সেই শক্তিকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি এবার প্রতিহত করার সময় এসে গেছে। এবারের সম্মিলন জুড়ে আমরা সেই কথাই বারবার উচ্চারণ করব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি ড. আতিউর রহমান। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ বিকালে ‘সম্প্রীতির সমাজ গঠনে সংস্কৃতির দায়’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতি ড. সারওয়ার আলীর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেবেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ও অধ্যাপক সাধন ঘোষ।
সম্মিলনের সমাপনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৪টায়। এসময় অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এই অধিবেশনে রবীন্দ্র পদক দিয়ে গুণী-সম্মাননা জানানো হবে প্রয়াত সংগীতসাধক নীলোৎপল সাধ্য ও মিতা হককে।
১৯৭৯ সালে শিল্পী জাহিদুর রহিমের প্রয়াণ দিবসে কাজ শুরু হয়েছিল ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ’ এর। দেশব্যাপী বৃহত্তর পরিসরে কর্মকা- পরিচালনা করার লক্ষ্য নিয়ে পরে বাঙালির চিরকালের সঙ্গী রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত করে সংগঠনের নাম করা হয় জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ। নাম পরিবর্তন হলেও প্রয়াত স্মরণীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী জাহিদুর রহিমের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ‘জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন বহাল রয়েছে। বর্তমানে সম্মিলন পরিষদের সক্রিয় শাখা ৮৪টি।