image

২ বছর ধরে বন্ধ : নষ্ট হচ্ছে মাধবপুর উপজেলা লাইব্রেরী আসবাবপত্র ও মূল্যবান বই

শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
মোঃ এরশাদ আলী, প্রতিনিধি মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মাধবপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীর মূল্যবান বইপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ থাকার কারণে লাইব্রেরীর সদস্য নবায়ন করতে না পারায় লাইব্রেরীর আয়ের একমাত্র উৎস সদস্য ফি আদায় হচ্ছেনা। ফলে লাইব্রেরীটির আর্থিক অবস্থা নাজুক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে দায়িত্বরত লাইব্রেরীয়ান মির্জা হাসান জানিয়েছেন।

২০১৮ সালে মাধবপুরের তৎকালীন ইউএনও মোঃ মোখলেছুর রহমানের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় উপজেলা লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ লাইব্রেরীটি উদ্বোধন করেন। অল্প কিছু বই নিয়ে লাইব্রেরীটি যাত্রা শুরু করে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ১শ টাকা ও অন্যান্যদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২শ টাকা করে সদস্য ফি নিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু হয়। খুব দ্রুতই এর সদস্য সংখ্যা ৯শ ছাড়িয়ে যায়। আরো কিছু বই সংগ্রহ করে কর্তৃপক্ষ। পরে লাইব্রেরীটিতে বই স্বল্পতার কথা জেনে মাধবপুর পৌরসভার বাসিন্দা তিতিল ডিস মিডিয়ার চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ মোঃ রিয়াদ তুষার দুই দফায় প্রায় ৩ লাখ টাকার মূল্যবান দেশী বিদেশী বই এবং ১ টি সুপরিসর রিডিং টেবিল প্রদান করেন। বর্তমানে এই লাইব্রেরীতে বইয়ের সংখ্যা ৫০০টি।

২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানন বন্ধ হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক লাইব্রেরীটি বন্ধ করে দেওয়ার পর আজ পর্যন্ত আর খোলা হয়নি। এই দীর্ঘদিনে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লাইব্রেরীর মূল্যবান বইপত্র। গত ৭/৮ মাস ধরে লাইব্রেরী কক্ষে উপজেলা পরিষদের কিছু পুরানো আসবাপত্র স্তুপ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ধুলো ময়লা আর আবর্জনায় লাইব্রেরীটিতে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে লাইব্রেরীর দায়িত্বরত লাইব্রেরীয়ান মির্জা হাসান জানান, সারা উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাথমিকভাবে সদস্য-পদ গ্রহণ করা ৯শ সদস্যকে পুনরায় লাইব্রেরীর সদস্য করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। শুরুতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে বহু প্রাইমারী শিক্ষক এই লাইব্রেরীর সদস্য পদ গ্রহন করলেও আবার তারা নির্ধারিত ফি দিয়ে সদস্যপদ নবায়ন করবেন এমন নিশ্চয়তা নেই।

মির্জা হাসান আরো জানান, লাইব্রেরীয়ানের দায়িত্ব পালনের জন্য শুরুতে মাসিক ৩ হাজার টাকা সম্মানী নির্ধারণ করেছিল কমিটি। কিন্তু এ টাকার সংস্থান কিভাবে হবে তা নির্দিষ্ট না করায় প্রথম প্রথম কয়েকমাস সদস্যদের চাঁদায় গঠিত তহবিল থেকে তাকে সম্মানী দেওয়ার পর তহবিল সংকটের কারনে আর কোনো টাকা তাকে দেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে পাবলিক লাইব্রেরী প্রথম দিকের সদস্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির মাধবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ মোজাহিদ বিন ইসলাম বলেন, পাবলিক লাইব্রেরীটি এলাকার স্বার্থে এবং শিক্ষিত সমাজের মিলন মেলার স্থল এবং পত্র- পত্রিকা পড়ার কেন্দ্রস্থল হিসাবে পুনরায় চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছি।

‘সংস্কৃতি’ : আরও খবর

» একুশে বইমেলার আগেই বাংলা একাডেমিতে ‘বিজয় মেলা’ করবে বাপুস

» বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবি উদীচীর

সম্প্রতি