জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় থাকে এমন প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে (টিএসসি) আয়োজিত 'জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নিসন্ত্রাস: মানুষ হত্যার রাজনীতি শীর্ষক' দু'দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা শিক্ষার্থীরা এমন কথা বলেছেন।
তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনের আগে-পরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির নজির রয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। অগ্নিসন্ত্রাসের তাণ্ডবে স্বজন হারা হয় সাধারণ মানুষ। এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাদ যায় না শিক্ষা ব্যবস্থাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শর্মা বলেন, 'টিএসসিতে এসে হঠাৎ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দিকে চোখ পড়লো। বর্তমানে দেশের মানুষ যে স্বাভাবিকভাবে চলা-ফেরা করতে পারছে। ২০১৪-১৫ সালের দিকে মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারতো না। তাদের মধ্যে সবসময় আতঙ্ক ও আশঙ্কা কাজ করতো। দেশবিরোধী মৌলবাদী শক্তি মানুষের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এখন আবার জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী তথা আপামর জনতা তাদের এই ঘৃণ্য তৎপরতাকে রুখে দিবে।'
অগ্নিসন্ত্রাস বিরোধী এই আলোতচিত্র প্রদর্শীর আয়োজন করেন ডাকসু'র সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত। এ উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতা বিরোধী, মৌলবাদী, দেশ বিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যে জ্বালাও,পোড়াও,অগ্নি সন্ত্রাস,মানুষ হত্যার সহিংসতা চালিয়েছিল সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।'
তার ভাষ্যঃ 'সাম্প্রতিক সময়ে সেই জনবিরোধী পুরনো শক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। দেশের আপামর শিক্ষার্থী সমাজ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে দেশের স্বার্থ, জনতার স্বার্থ প্রহরীর ন্যায় পাহারা দিয়েছে। ঐ অপশক্তি যদি আবারও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করতে চায় তবে তা আমাদের সমাজকে আবারও খাদের কিনারে নিয়ে যাবে। তাই এখনই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।'
শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় থাকে এমন প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে (টিএসসি) আয়োজিত 'জ্বালাও-পোড়াও-অগ্নিসন্ত্রাস: মানুষ হত্যার রাজনীতি শীর্ষক' দু'দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা শিক্ষার্থীরা এমন কথা বলেছেন।
তারা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনের আগে-পরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির নজির রয়েছে। এতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। অগ্নিসন্ত্রাসের তাণ্ডবে স্বজন হারা হয় সাধারণ মানুষ। এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাদ যায় না শিক্ষা ব্যবস্থাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শর্মা বলেন, 'টিএসসিতে এসে হঠাৎ এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দিকে চোখ পড়লো। বর্তমানে দেশের মানুষ যে স্বাভাবিকভাবে চলা-ফেরা করতে পারছে। ২০১৪-১৫ সালের দিকে মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারতো না। তাদের মধ্যে সবসময় আতঙ্ক ও আশঙ্কা কাজ করতো। দেশবিরোধী মৌলবাদী শক্তি মানুষের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এখন আবার জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থী তথা আপামর জনতা তাদের এই ঘৃণ্য তৎপরতাকে রুখে দিবে।'
অগ্নিসন্ত্রাস বিরোধী এই আলোতচিত্র প্রদর্শীর আয়োজন করেন ডাকসু'র সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সমাজ সেবা সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত। এ উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতা বিরোধী, মৌলবাদী, দেশ বিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যে জ্বালাও,পোড়াও,অগ্নি সন্ত্রাস,মানুষ হত্যার সহিংসতা চালিয়েছিল সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।'
তার ভাষ্যঃ 'সাম্প্রতিক সময়ে সেই জনবিরোধী পুরনো শক্তি আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। দেশের আপামর শিক্ষার্থী সমাজ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে দেশের স্বার্থ, জনতার স্বার্থ প্রহরীর ন্যায় পাহারা দিয়েছে। ঐ অপশক্তি যদি আবারও আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করতে চায় তবে তা আমাদের সমাজকে আবারও খাদের কিনারে নিয়ে যাবে। তাই এখনই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।'