ভারতে শুরু ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের শিলচর শহরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’। শুক্রবার সন্ধ্যার পর শিলচর শহরের পুলিশ প্লে গ্রাউন্ডে এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন হয়। ৪ ডিসেম্বর শেষ হবে এ উৎসব।
বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অনেকে এ উৎসবে অংশ নেন। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই উৎসবের মাধ্যমে দুই দেশের সৌহার্দের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ভারতের তরফ থেকে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিসহ আসাম, মনিপুর ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তরা এতে অংশ নেন।
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, নতুন দিল্লী ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এ মৈত্রী উৎসবের। এই উৎসবে দুই অঞ্চলের আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেন দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, নদী, পানি ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে। আসামের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের যে নতুন দুয়ার খুলছে এটি তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
তিনদিনের এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে সিলেট থেকে ইতোমধ্যে বিশিষ্টজনরা ভারতে গিয়ে পৌঁছেছেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সমন্বয়ে ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরা। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
এরমধ্যে আসাম, মেঘালয়ের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বড় সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৭ সালের আগে আসাম-সিলেট একসঙ্গেই ছিল। দেশভাগের পরে শহর দুটি আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা ও দিল্লী সরকার চাইছে, এই শহর দুটির মধ্যে নতুন করে সংযোগ বাড়ানোসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে।
এ বিষয়ে সিলেট সিলেট চেম্বার সূত্র জানায়, আসামের শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের উদ্যোগেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের ফলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সিলেটসহ রাজধানীর সংযোগ আরো বাড়বে। গতি আসবে ব্যবসা ও বিনিয়োগে।
জানা যায়, সিলেট-শিলচর উৎসবে অন্তত সেখানকার তিনজন মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজিত তিনদিনের উৎসবে আসাম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে। সহযোগিতায় রয়েছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ।
ভারতে শুরু ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’
শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের শিলচর শহরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’। শুক্রবার সন্ধ্যার পর শিলচর শহরের পুলিশ প্লে গ্রাউন্ডে এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন হয়। ৪ ডিসেম্বর শেষ হবে এ উৎসব।
বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পী, সাংবাদিকসহ অনেকে এ উৎসবে অংশ নেন। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই উৎসবের মাধ্যমে দুই দেশের সৌহার্দের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ভারতের তরফ থেকে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিসহ আসাম, মনিপুর ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তরা এতে অংশ নেন।
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, নতুন দিল্লী ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এ মৈত্রী উৎসবের। এই উৎসবে দুই অঞ্চলের আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেন দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, নদী, পানি ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে। আসামের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের যে নতুন দুয়ার খুলছে এটি তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
তিনদিনের এই উৎসবে অংশগ্রহণ করতে সিলেট থেকে ইতোমধ্যে বিশিষ্টজনরা ভারতে গিয়ে পৌঁছেছেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সমন্বয়ে ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরা। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
এরমধ্যে আসাম, মেঘালয়ের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বড় সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৭ সালের আগে আসাম-সিলেট একসঙ্গেই ছিল। দেশভাগের পরে শহর দুটি আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা ও দিল্লী সরকার চাইছে, এই শহর দুটির মধ্যে নতুন করে সংযোগ বাড়ানোসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে।
এ বিষয়ে সিলেট সিলেট চেম্বার সূত্র জানায়, আসামের শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের উদ্যোগেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের ফলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সিলেটসহ রাজধানীর সংযোগ আরো বাড়বে। গতি আসবে ব্যবসা ও বিনিয়োগে।
জানা যায়, সিলেট-শিলচর উৎসবে অন্তত সেখানকার তিনজন মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ আয়োজিত তিনদিনের উৎসবে আসাম সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে। সহযোগিতায় রয়েছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ।