পাখির রূপে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পাখির অনেক প্রজাতি। তাই, পাখির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বন জঙ্গল থেকে আবদুস সামাদ আলিমের তোলা বাছাই করা ৮০টি পাখির ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘দ্য উইংস ওব ভাইব্র্যান্স’ শিরোনামে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২’র বেস এজ ওয়াটারের এজ গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন, শিল্পী হাশেম খান, পাখি বিশেষজ্ঞ ও আলোকচিত্রী ইনাম আল হক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী আনসার উদ্দিন খান পাঠান ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আগামীকাল শেষ হবে দুই দিনব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে এ প্রদর্শনী দেখতে পারবেন।
দেশের জনপ্রিয় ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার’ আবদুস সামাদ আলিম পেশায় ডাক্তার ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। বাবার বনবিভাগে চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির সঙ্গেই তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আর এ থেকেই ঝোঁক তৈরি হয় ফটোগ্রাফির প্রতি। ফটোগ্রাফি শখ পূরণ করতে বা কাঙ্খিত ছবি পেতে, ঘুরে বেড়ান বন-জঙ্গল, নদী-নালায়, দেশ-বিদেশে কিংবা গভীর অরণ্যে। এই প্রদর্শনী উপলক্ষে আবদুস সামাদ আলিমের বিভিন্ন সময়ে তোলা আড়াইশ’র বেশি ছবি নিয়ে ‘দ্য উইংস অব ভাইব্র্যান্স’ নামে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে।
‘দ্য উইংস ওব ভাইব্র্যান্স’ শিরোনামে এ একক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে দেখা যায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের পাখি। এ প্রদর্শনীতে খুঁজে পাওয়া যায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, বর্তমান ও হারিয়ে যাওয়া অতীত ঐতিহ্য, হারানো বা বিলুপ্ত অনেক পাখি।
নিজের প্রথম প্রদর্শনী নিয়ে ডা. আবদুস সামাদ আলিম বলেন, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি পাখির ছবি তোলায় ঝুঁকেছেন। সময় পেলেই তিনি ছুটে যান বনে-জঙ্গলে। দেশ-বিদেশের নানান পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই তার এ প্রদর্শনীর আয়োজন।
পাখির ছবি তোলা বিষয়ে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গহিন অরণ্যে মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন নতুন প্রজাতির পাখির সন্ধানে। কখনও ভোরের অন্ধকারে, কখনো বা রোদ-জল-বৃষ্টিতে ক্যামোফ্লেজ নিয়ে ওঁৎ পেতে থেকেছি পরিষ্কার একটি ছবির জন্য। দুই দিনের এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পাখির ছবি দেখা ছাড়াও পাখ-পাখালি সম্পর্কে জানার সুযোগও থাকছে বলে জানান এই আলোকচিত্রী।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানান, একটি ছবি তুলতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকি একটি ছবি তিন দিন অপেক্ষার পরও না তুলতে পারার ঘটনাও আছে।
তবে, এই পাখির ছবি তোলা ও এক্সিবিশন করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়ানোই তার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করেনি তিনি।
ড. আবদুুস সামাদ আলিম পেশায় একজন ক্লিনিক্যাল নিউরোলজিস্ট এবং ব্যবসায়ী, কিন্তু হৃদয়ে একজন আগ্রহী ফটোগ্রাফার। একাডেমিকভাবে উজ্জ্বল, তিনি সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন। তারপর ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অবশেষে, তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগে সমানভাবে সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন। শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার উদ্যোক্তা দক্ষতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার পিতা প্রয়াত অধ্যাপক আবদুল আলীম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ৮০’র দশকের গোড়ারদিকে বাংলাদেশের বনের প্রধান সংরক্ষক ছিলেন, তাই তিনি প্রায়শই তার সঙ্গে বিভিন্ন সুন্দর প্রাকৃতিক নিদর্শন দেখতে যেতেন। বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে পারার পাশাপাশি, এটি ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে ভ্রমণ এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জন্মায়।
শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
পাখির রূপে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পাখির অনেক প্রজাতি। তাই, পাখির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বন জঙ্গল থেকে আবদুস সামাদ আলিমের তোলা বাছাই করা ৮০টি পাখির ছবি নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘দ্য উইংস ওব ভাইব্র্যান্স’ শিরোনামে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২’র বেস এজ ওয়াটারের এজ গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন, শিল্পী হাশেম খান, পাখি বিশেষজ্ঞ ও আলোকচিত্রী ইনাম আল হক, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী আনসার উদ্দিন খান পাঠান ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আগামীকাল শেষ হবে দুই দিনব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে এ প্রদর্শনী দেখতে পারবেন।
দেশের জনপ্রিয় ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার’ আবদুস সামাদ আলিম পেশায় ডাক্তার ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ। বাবার বনবিভাগে চাকরির সুবাদে ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির সঙ্গেই তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আর এ থেকেই ঝোঁক তৈরি হয় ফটোগ্রাফির প্রতি। ফটোগ্রাফি শখ পূরণ করতে বা কাঙ্খিত ছবি পেতে, ঘুরে বেড়ান বন-জঙ্গল, নদী-নালায়, দেশ-বিদেশে কিংবা গভীর অরণ্যে। এই প্রদর্শনী উপলক্ষে আবদুস সামাদ আলিমের বিভিন্ন সময়ে তোলা আড়াইশ’র বেশি ছবি নিয়ে ‘দ্য উইংস অব ভাইব্র্যান্স’ নামে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে।
‘দ্য উইংস ওব ভাইব্র্যান্স’ শিরোনামে এ একক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে দেখা যায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের পাখি। এ প্রদর্শনীতে খুঁজে পাওয়া যায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য, বর্তমান ও হারিয়ে যাওয়া অতীত ঐতিহ্য, হারানো বা বিলুপ্ত অনেক পাখি।
নিজের প্রথম প্রদর্শনী নিয়ে ডা. আবদুস সামাদ আলিম বলেন, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি পাখির ছবি তোলায় ঝুঁকেছেন। সময় পেলেই তিনি ছুটে যান বনে-জঙ্গলে। দেশ-বিদেশের নানান পাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই তার এ প্রদর্শনীর আয়োজন।
পাখির ছবি তোলা বিষয়ে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গহিন অরণ্যে মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন নতুন প্রজাতির পাখির সন্ধানে। কখনও ভোরের অন্ধকারে, কখনো বা রোদ-জল-বৃষ্টিতে ক্যামোফ্লেজ নিয়ে ওঁৎ পেতে থেকেছি পরিষ্কার একটি ছবির জন্য। দুই দিনের এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পাখির ছবি দেখা ছাড়াও পাখ-পাখালি সম্পর্কে জানার সুযোগও থাকছে বলে জানান এই আলোকচিত্রী।
নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি জানান, একটি ছবি তুলতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকি একটি ছবি তিন দিন অপেক্ষার পরও না তুলতে পারার ঘটনাও আছে।
তবে, এই পাখির ছবি তোলা ও এক্সিবিশন করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়ানোই তার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করেনি তিনি।
ড. আবদুুস সামাদ আলিম পেশায় একজন ক্লিনিক্যাল নিউরোলজিস্ট এবং ব্যবসায়ী, কিন্তু হৃদয়ে একজন আগ্রহী ফটোগ্রাফার। একাডেমিকভাবে উজ্জ্বল, তিনি সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন। তারপর ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অবশেষে, তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগে সমানভাবে সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন। শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার উদ্যোক্তা দক্ষতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার পিতা প্রয়াত অধ্যাপক আবদুল আলীম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ৮০’র দশকের গোড়ারদিকে বাংলাদেশের বনের প্রধান সংরক্ষক ছিলেন, তাই তিনি প্রায়শই তার সঙ্গে বিভিন্ন সুন্দর প্রাকৃতিক নিদর্শন দেখতে যেতেন। বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে পারার পাশাপাশি, এটি ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে ভ্রমণ এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জন্মায়।