কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা উল্লেখ্ করে প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রকাশক বারবারা এপলার বলেছেন, ‘আমেরিকা কানাডাসহ অনেক দেশ ভুট্টা, ফাইবার ব্যবহার করে কাগজ তৈরি করছে। এতে করে রিপ্রিন্টিং কাগজও তৈরি হবে, আবার কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০২৩’ এর ‘আউট অব প্রিন্ট’ শীর্ষক সেশনে নিউ ডিরেকশন পাবলিশিংয়ের প্রকাশক এসব কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে ছাপা বই কতটা ভূমিকা রাখছে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে এপলার বলেন, ‘অনেক পাঠকই বলেন, ছাপা বই বুঝতে, ধরতে, অনুভব করতে যতটা সুবিধা হয়, ই-বুকে সেই সুযোগটা নেই। যদিও ই-বুক আমাদের পাঠাভ্যাসকে অবশ্যই সহজ করছে। তিনি বলেন, তবে ছাপা বইয়ের চাহিদা এখনই শেষ হবে না। তাই কাগজ তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে পুনর্ব্যবহার উপযোগী ব্যবস্থায় আসতে হবে। ’
ব্রিটিশ প্রকাশক চার্লস এসপ্রের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন ব্রিটিশ প্রকাশক আলেক্সান্দ্রা প্রিংগেল এবং প্রকাশক মাহরুখ মহিউদ্দিন। পুরো সেশন জুড়ে তারা কথা বলেন, প্রকাশনা শিল্পে তাদের অভিজ্ঞতা, ছাপা বইয়ের ভবিষ্যৎ, ই-বই, প্রকাশনা শিল্পে নারীদের উপস্থিতি নিয়ে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুল ধরে আলেক্সান্দ্রা প্রিংগেল বলেন, ‘আমি ২৪ বছর ধরে প্রকাশনার সঙ্গে আছি, আমার বয়স ৪৫ বছর চলছে। প্রকাশনার সঙ্গে যখন যুক্ত হই; লেখক, এডিটর, প্রকাশক সংখ্যা নারীর সংখ্যা সীমিত। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশনায় নারীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণরা আগ্রহী হচ্ছেন, এটা ইতিবাচক। তবে সামনে তরুণদের আরও আসা প্রয়োজন।’
ছাপা বই ও ই-বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন মাধ্যমে মানুষ পড়ছে, সেটা বিষয় না। ছাপা হোক বা ই-বই মানুষের পড়ার অভ্যাস হোক। ছাপা বইয়ের চাহিদা আছে এখনও, ই-বই পড়াকে আরও সহজ করছে, পাবলিশারদের চেষ্টা করতে হবে ডিজিটাল পাবলিশিং-কে আরও সুন্দর করতে।’
ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড বাংলাদেশের পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যখন প্রকাশক হিসেবে দেখি তখন একটি বই প্রকাশ করার জন্য লেখকরে প্যাশন, বাজার সম্ভাবনা দেখি। এটা প্রয়োজন হয়, কারণ বইটা প্রকাশ হওয়ার পর পাঠক কতটা আগ্রহী হবে...। তবে সবচেয়ে জরুরি প্রকাশকের স্বাধীনতা, সম্পাদনার স্বাধীনতা। ’
বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৩
কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা উল্লেখ্ করে প্রখ্যাত ব্রিটিশ প্রকাশক বারবারা এপলার বলেছেন, ‘আমেরিকা কানাডাসহ অনেক দেশ ভুট্টা, ফাইবার ব্যবহার করে কাগজ তৈরি করছে। এতে করে রিপ্রিন্টিং কাগজও তৈরি হবে, আবার কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০২৩’ এর ‘আউট অব প্রিন্ট’ শীর্ষক সেশনে নিউ ডিরেকশন পাবলিশিংয়ের প্রকাশক এসব কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে ছাপা বই কতটা ভূমিকা রাখছে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে এপলার বলেন, ‘অনেক পাঠকই বলেন, ছাপা বই বুঝতে, ধরতে, অনুভব করতে যতটা সুবিধা হয়, ই-বুকে সেই সুযোগটা নেই। যদিও ই-বুক আমাদের পাঠাভ্যাসকে অবশ্যই সহজ করছে। তিনি বলেন, তবে ছাপা বইয়ের চাহিদা এখনই শেষ হবে না। তাই কাগজ তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে পুনর্ব্যবহার উপযোগী ব্যবস্থায় আসতে হবে। ’
ব্রিটিশ প্রকাশক চার্লস এসপ্রের সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন ব্রিটিশ প্রকাশক আলেক্সান্দ্রা প্রিংগেল এবং প্রকাশক মাহরুখ মহিউদ্দিন। পুরো সেশন জুড়ে তারা কথা বলেন, প্রকাশনা শিল্পে তাদের অভিজ্ঞতা, ছাপা বইয়ের ভবিষ্যৎ, ই-বই, প্রকাশনা শিল্পে নারীদের উপস্থিতি নিয়ে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুল ধরে আলেক্সান্দ্রা প্রিংগেল বলেন, ‘আমি ২৪ বছর ধরে প্রকাশনার সঙ্গে আছি, আমার বয়স ৪৫ বছর চলছে। প্রকাশনার সঙ্গে যখন যুক্ত হই; লেখক, এডিটর, প্রকাশক সংখ্যা নারীর সংখ্যা সীমিত। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশনায় নারীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণরা আগ্রহী হচ্ছেন, এটা ইতিবাচক। তবে সামনে তরুণদের আরও আসা প্রয়োজন।’
ছাপা বই ও ই-বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন মাধ্যমে মানুষ পড়ছে, সেটা বিষয় না। ছাপা হোক বা ই-বই মানুষের পড়ার অভ্যাস হোক। ছাপা বইয়ের চাহিদা আছে এখনও, ই-বই পড়াকে আরও সহজ করছে, পাবলিশারদের চেষ্টা করতে হবে ডিজিটাল পাবলিশিং-কে আরও সুন্দর করতে।’
ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড বাংলাদেশের পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যখন প্রকাশক হিসেবে দেখি তখন একটি বই প্রকাশ করার জন্য লেখকরে প্যাশন, বাজার সম্ভাবনা দেখি। এটা প্রয়োজন হয়, কারণ বইটা প্রকাশ হওয়ার পর পাঠক কতটা আগ্রহী হবে...। তবে সবচেয়ে জরুরি প্রকাশকের স্বাধীনতা, সম্পাদনার স্বাধীনতা। ’