নবম দিনে নতুন বই ১২৩
বইমেলা শুরু হলেই নতুন বইয়ের গন্ধে মৌমাছির মতো ছুটে আসে বইপ্রেমীরা। তাই তো ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই দেখা যায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইপ্রেমীদের ঢল। এবারও পাঠক-দর্শনার্থীরা আসছেন, দেখছেন, নতুন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিচ্ছেন। তবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কিনতে পারছেন না পছন্দের সব বই। কাগজের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব বইমেলায় পড়ায় হিসেবী হচ্ছেন বইপ্রেমীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বইমেলার ৯ম দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের গন্ধে ছুটে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওসমান খান। ১০টি বইয়ের তালিকা নিয়ে মেলায় গিয়ে বই কিনেন ৪টি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পছন্দের ১০ টি বইয়ের তালিকা হাতে নিয়ে মেলায় আসি। কিন্তু এসে দেখি বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি বইয়ের মূল্য। খাবার দাবারসহ সবকিছুর দামে ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর কাগজের মূল্য বৃদ্ধিতে বইয়ের দামও বেড়েছে কয়েকগুন। তাই ইচ্ছে স্বত্বেও কিনতে পারছি না সব বই।
নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে প্রতিদিন মেলায় ভীড় জমান হাজারো পাঠক দর্শনার্থী। মেলায় বইপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণে প্রথম দিন থেকেই মেলায় যুক্ত হতে শুরু করেছে থরে থরে নতুন বই। তবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধিতে ওসমানের ন্যায় হাজারো বইপ্রেমীদের কাছে অধরাই রয়ে যাচ্ছে এসব বই।
বইমেলায় ঘুরতে আসা আরেক পাঠক কামরুল হাসান জানান, তিনি প্রায় ১০টা বইয়ের লিস্ট করেছেন কেনার জন্য। কিন্তু মেলায় এসে দেখেন বইয়ের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাই তিনি ১০টির বদলে এবার ৫টি বই কিনে সন্তুষ্ট থাকার কথা জানান। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সবাই বসে সমন্বয় করে হলেও বইয়ের দাম কমিয়ে রাখা উচিত ছিল। এমনিতে মানুষ বই কিনে কম। এভাবে বাড়লে আরো আগ্রহ হারাবে।
প্রকাশকরা বলছেন, কাগজের দাম বাড়ায় তারা বাধ্য হয়েছেন বইয়ের দাম বাড়াতে। যে হারা কাগজের দাম বাড়ছে সে হারে বইয়ের দাম না বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। নতুন বই কম ছাপানোর পাশাপাশি বিক্রিও এবার কম হচ্ছে বলে জানান তারা।
শোভা প্রকাশের প্রকাশক মিজাজুর রহমান বলেন, এবার কাগজের দাম অনেক বেশি, প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রস্তুত থাকা স্বত্বেও অনেক বই ছাপাতে পারিনি। বইপ্রতি অন্তত ১০০ টাকা বাড়ছে দাম। আর তাতে শুরু থেকে বিক্রিও কম। এবার তেমন ভালো হবে না বলে আফসোস প্রকাশ করেন তিনি।
কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক এ কে নাছির আহমেদ সেলিম বলেন, কাগজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদেরকে তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমরাও বাধ্য হয়েছি বইয়ের মূল্য বাড়াতে। এর ফলে স্বল্প আয়ের মানুষজন চাহিদানুযায়ী বই কিনতে পারবেন না এটা সত্য। কিন্তু তাতে তো আমাদেরও কিছু করার নেই। আমাদের সবারই এবার নতুন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাটাও কম হবে, কারণ পাঠকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়েই আমরা বই ছাপিয়ে থাকি।
আজকের অনুষ্ঠানসূচী
আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : কবীর চৌধুরী এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : সাংবাদিক-সাহিত্যিক জহুর হোসেন চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবদুস সেলিম ও জাহীদ রেজা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আলম সবুজ, মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং মুস্তাফিজ শফি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শফি আহমেদ।
প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, এক জীবনে কত যে বিপুল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা যায় তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ কবীর চৌধুরী। তিনি বাংলা-ইংরেজিতে যেমন মৌলিক লেখা লিখেছেন তেমনি অনুবাদও করেছেন এবং তঁার জীবদ্দশায় কমপক্ষে দশটি সগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কবীর চৌধুরী যথার্থ অর্থেই জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন, কারণ তিনি ছিলেন সবারই শিক্ষক হবার গুণসম্পন্ন একঅনন্য ব্যক্তিত্ব। অপরদিকে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের লড়াইয়ের কালটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যৌবনে বামধারার প্রতি আকৃষ্ট জহুর হোসেন চৌধুরীর সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুনিষ্ঠতাকে হেয় না করে সত্যকে তুলে
ধরা।
আলোচকবৃন্দ বলেন, কবীর চৌধুরী এবং জহুর হোসেন চৌধুরী উভয়েই প্রগতির পথিক। তাঁরা একটি শতাব্দীজুড়ে স্বাধীনতা, সাম্য এবং অসাম্প্রদায়িকতার জন্য লড়াই করে গেছেন। শিক্ষা বিস্তার, সাংবাদিকতা এবং সমাজ-রাষ্ট্রের সামূহিক ইতিবাচক বিকাশের জন্য তাঁদের সংগ্রামী অভিযাত্রা কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
সভাপতির বক্তব্যে শফি আহমেদ বলেন, কবীর চৌধুরী এবং জহুর হোসেন চৌধুরীকে স্মরণ আমাদের জাতিগত কর্তব্য। তাঁরা যে প্রতিকূল পরিবেশে আমাদের সবার জন্য ইতিবাচক সমাজ গড়ার সংগ্রাম করেছেন; তা আজকের প্রজন্মকে স্মরণে রাখতে হবে।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মালেক মাহমুদ, সুপা সাদিয়া, খান মুহাম্মদ রুমেল, গিরীশ গৈরিক।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বিমল গুহ, স্নিগ্ধা বাউল এবং রমজান মাহমুদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রাজিয়া রহমান, জাহান বশির এবং এ এস এম সামিউল ইসলাম।
আগামীকালের অনুষ্ঠানমালা
শিশুপ্রহর : কাল সকাল ১১টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে। শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা : অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন শিল্পী হাশেম খান।
শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা : কাল সকাল ৯:৩০ বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান
আগামীকাল বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : এস এম সুলতান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সুশান্তকুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন।
নবম দিনে নতুন বই ১২৩
বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বইমেলা শুরু হলেই নতুন বইয়ের গন্ধে মৌমাছির মতো ছুটে আসে বইপ্রেমীরা। তাই তো ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই দেখা যায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইপ্রেমীদের ঢল। এবারও পাঠক-দর্শনার্থীরা আসছেন, দেখছেন, নতুন নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিচ্ছেন। তবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কিনতে পারছেন না পছন্দের সব বই। কাগজের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব বইমেলায় পড়ায় হিসেবী হচ্ছেন বইপ্রেমীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বইমেলার ৯ম দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের গন্ধে ছুটে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওসমান খান। ১০টি বইয়ের তালিকা নিয়ে মেলায় গিয়ে বই কিনেন ৪টি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, পছন্দের ১০ টি বইয়ের তালিকা হাতে নিয়ে মেলায় আসি। কিন্তু এসে দেখি বাজেটের তুলনায় অনেক বেশি বইয়ের মূল্য। খাবার দাবারসহ সবকিছুর দামে ঊর্ধ্বগতি। তার ওপর কাগজের মূল্য বৃদ্ধিতে বইয়ের দামও বেড়েছে কয়েকগুন। তাই ইচ্ছে স্বত্বেও কিনতে পারছি না সব বই।
নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে প্রতিদিন মেলায় ভীড় জমান হাজারো পাঠক দর্শনার্থী। মেলায় বইপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণে প্রথম দিন থেকেই মেলায় যুক্ত হতে শুরু করেছে থরে থরে নতুন বই। তবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধিতে ওসমানের ন্যায় হাজারো বইপ্রেমীদের কাছে অধরাই রয়ে যাচ্ছে এসব বই।
বইমেলায় ঘুরতে আসা আরেক পাঠক কামরুল হাসান জানান, তিনি প্রায় ১০টা বইয়ের লিস্ট করেছেন কেনার জন্য। কিন্তু মেলায় এসে দেখেন বইয়ের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তাই তিনি ১০টির বদলে এবার ৫টি বই কিনে সন্তুষ্ট থাকার কথা জানান। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সবাই বসে সমন্বয় করে হলেও বইয়ের দাম কমিয়ে রাখা উচিত ছিল। এমনিতে মানুষ বই কিনে কম। এভাবে বাড়লে আরো আগ্রহ হারাবে।
প্রকাশকরা বলছেন, কাগজের দাম বাড়ায় তারা বাধ্য হয়েছেন বইয়ের দাম বাড়াতে। যে হারা কাগজের দাম বাড়ছে সে হারে বইয়ের দাম না বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। নতুন বই কম ছাপানোর পাশাপাশি বিক্রিও এবার কম হচ্ছে বলে জানান তারা।
শোভা প্রকাশের প্রকাশক মিজাজুর রহমান বলেন, এবার কাগজের দাম অনেক বেশি, প্রতিদিনই বাড়ছে। প্রস্তুত থাকা স্বত্বেও অনেক বই ছাপাতে পারিনি। বইপ্রতি অন্তত ১০০ টাকা বাড়ছে দাম। আর তাতে শুরু থেকে বিক্রিও কম। এবার তেমন ভালো হবে না বলে আফসোস প্রকাশ করেন তিনি।
কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক এ কে নাছির আহমেদ সেলিম বলেন, কাগজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদেরকে তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমরাও বাধ্য হয়েছি বইয়ের মূল্য বাড়াতে। এর ফলে স্বল্প আয়ের মানুষজন চাহিদানুযায়ী বই কিনতে পারবেন না এটা সত্য। কিন্তু তাতে তো আমাদেরও কিছু করার নেই। আমাদের সবারই এবার নতুন প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাটাও কম হবে, কারণ পাঠকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়েই আমরা বই ছাপিয়ে থাকি।
আজকের অনুষ্ঠানসূচী
আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : কবীর চৌধুরী এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : সাংবাদিক-সাহিত্যিক জহুর হোসেন চৌধুরী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবদুস সেলিম ও জাহীদ রেজা নূর। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আলম সবুজ, মনজুরুল আহসান বুলবুল এবং মুস্তাফিজ শফি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শফি আহমেদ।
প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, এক জীবনে কত যে বিপুল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা যায় তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ কবীর চৌধুরী। তিনি বাংলা-ইংরেজিতে যেমন মৌলিক লেখা লিখেছেন তেমনি অনুবাদও করেছেন এবং তঁার জীবদ্দশায় কমপক্ষে দশটি সগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কবীর চৌধুরী যথার্থ অর্থেই জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন, কারণ তিনি ছিলেন সবারই শিক্ষক হবার গুণসম্পন্ন একঅনন্য ব্যক্তিত্ব। অপরদিকে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের লড়াইয়ের কালটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যৌবনে বামধারার প্রতি আকৃষ্ট জহুর হোসেন চৌধুরীর সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হলো বস্তুনিষ্ঠতাকে হেয় না করে সত্যকে তুলে
ধরা।
আলোচকবৃন্দ বলেন, কবীর চৌধুরী এবং জহুর হোসেন চৌধুরী উভয়েই প্রগতির পথিক। তাঁরা একটি শতাব্দীজুড়ে স্বাধীনতা, সাম্য এবং অসাম্প্রদায়িকতার জন্য লড়াই করে গেছেন। শিক্ষা বিস্তার, সাংবাদিকতা এবং সমাজ-রাষ্ট্রের সামূহিক ইতিবাচক বিকাশের জন্য তাঁদের সংগ্রামী অভিযাত্রা কখনও বিস্মৃত হওয়ার নয়।
সভাপতির বক্তব্যে শফি আহমেদ বলেন, কবীর চৌধুরী এবং জহুর হোসেন চৌধুরীকে স্মরণ আমাদের জাতিগত কর্তব্য। তাঁরা যে প্রতিকূল পরিবেশে আমাদের সবার জন্য ইতিবাচক সমাজ গড়ার সংগ্রাম করেছেন; তা আজকের প্রজন্মকে স্মরণে রাখতে হবে।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মালেক মাহমুদ, সুপা সাদিয়া, খান মুহাম্মদ রুমেল, গিরীশ গৈরিক।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বিমল গুহ, স্নিগ্ধা বাউল এবং রমজান মাহমুদ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রাজিয়া রহমান, জাহান বশির এবং এ এস এম সামিউল ইসলাম।
আগামীকালের অনুষ্ঠানমালা
শিশুপ্রহর : কাল সকাল ১১টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে। শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা : অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করবেন শিল্পী হাশেম খান।
শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা : কাল সকাল ৯:৩০ বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান
আগামীকাল বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : এস এম সুলতান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন সুশান্তকুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন।