বইমেলার দশম দিনে নতুন বই ২৬০
ছুটির দিনে শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। আজ শুক্রবার দশম দিনে সকাল ১১টা থেকে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় প্রবেশ করতে থাকে শিশুরা। অনেকেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই উল্টে পাল্টে দেখছেন, কেউবা পছন্দের বই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। শিশুরা জানায়, অনেক বই দেখলাম। বই পড়তে খুবই ভালো লাগে।
মেলায় শিশুদের জন্য সিসিমপুর আয়োজন করেছে পাপেট শো। সেখানে হালুম, টুকটুকি, ইকরিদের পেয়ে খুশিতে মেতে উঠে শিশুরা। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরের দক্ষিণপার্শ্বে তৈরি করা হয়েছে শিশুদের খেলার মঞ্চ। শিশু মনে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতেই এই আয়োজন বলছে আয়োজকরা।
বইয়ের পাতা উল্টিয়ে দেখার পাশাপাশি বইমেলার আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে এসব পুতুলের সঙ্গে সেলফিও তুলে রাখেন কেউ কেউ। শিশুদের বইমেলা উপভোগ করাতে ও ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তান বা ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এখানে ভিড় করেন অভিভাবকরা। ছড়া, গল্প, বিজ্ঞান কুইজ ও ভূতের বই শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী তুরহান এসেছে বাবার সাথে। শিশু চত্ত্বরে ঘুরে ঘুরে বই দেখা অবস্থায় সংবাদকে বলে, আমি সকাল ১১টায় এসেছি। আব্বু আমাকে একটি ভূতের বই কিনে দিয়েছে। আমি রিডিং পড়তে পারি। বাসায় গিয়ে এই বই পড়বো। আমি আরো একটি গল্পের বই কিনবো। মেলায় এসে আমার আমার ভাল লাগছে।
গ্রীণ রোড থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে এসেছেন শামছুল আলম। তিনি বলেন, আমরা মোট পাঁচটা পরিবার একসাথে এসেছি। সাথে আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। সকাল এগারোটায় সিসিমপুরের মুক্তমঞ্চে বাচ্চা অনেক আনন্দ করেছে। ইট-পাথরের চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে বাচ্চারা অনেক সময় হাঁপিয়ে উঠে। এখানে এসে তারা নিজেদের বাধাহীন মুক্ত পাখির মতো মনে করছে।
এদিকে, টুনটুনি প্রকাশে কর্মরত তাহমিদা আক্তার শান্তা বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেচাকেনা বেশি। আমাদের এখানে শিশু, কিশোর ও বড়দের কিছু বই আছে। তবে শিশুদের বইই বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুরা বিজ্ঞান সম্পর্কিত আর ভূতের বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে।
কিশোর কলম প্রকাশের বশির বলেন, আজ লোকজন হিসেবে তুলনামূলক একটু কমই বিক্রি হচ্ছে। তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সবাই বই দেখছে। আর বাচ্চারা নকশা দেখেই যে বইটা চায়, সেটাতো গার্ডিয়ানরা আর দেয়না। তারা শিক্ষামূলক বইগুলো দিতে চায়।
অনুষ্ঠানসূচী
একুশে বইমেলার ১০ম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ২৬০টি। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ৯:৩০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: এস এম সুলতান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুশান্তকুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মৌলি আজাদ, সাগরিকা নাসরীন, সাহাদাত পারভেজ এবং হুমায়ূন কবীর ঢালী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বায়তুল্লাহ কাদেরী, সঞ্জীব পুরোহিত, ফারহানা রহমান এবং রুহ রুহেল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, নুরুজ্জামান, মাসুদ রানা, মাহমুদুল হাকিম তানভীর। এছাড়াও ছিল জিনিয়া জ্যোৎ¯œার পরিচালনা নৃত্য সংগঠন ‘জিনিয়া নত্যৃকলা একাডেমি’ মনোমি তানজানার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নিক্কন পারফরমিং আর্ট সেন্টার’, মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘শান্তি ভাবদর্শন চর্যাকেন্দ্র’, পারভীন আক্তার আঁখির পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘আনসার ডান্স একাডেমি’-এর নৃত্য পরিবেশনা। আবৃত্তি পরিবেশনা করেন ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’ এবং ‘ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা’-এর শিল্পীবৃন্দ।
আগামীকালের সময়সূচি:
আগামীকাল শনিবার অমর একুশে বইমেলার ১১তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে।সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : আশরাফ সিদ্দিকী এবং স্মরণ সাঈদ আহমদ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইয়াসমিন আরা সাথী এবং মাহফুজা হিলালী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন উদয়শংকর বিশ্বাস, শামস্ আল দীন, রীপা রায় এবং আব্দুল হালিম প্রামাণিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খুরশীদা বেগম।
বইমেলার দশম দিনে নতুন বই ২৬০
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ছুটির দিনে শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। আজ শুক্রবার দশম দিনে সকাল ১১টা থেকে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় প্রবেশ করতে থাকে শিশুরা। অনেকেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে বই উল্টে পাল্টে দেখছেন, কেউবা পছন্দের বই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। শিশুরা জানায়, অনেক বই দেখলাম। বই পড়তে খুবই ভালো লাগে।
মেলায় শিশুদের জন্য সিসিমপুর আয়োজন করেছে পাপেট শো। সেখানে হালুম, টুকটুকি, ইকরিদের পেয়ে খুশিতে মেতে উঠে শিশুরা। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরের দক্ষিণপার্শ্বে তৈরি করা হয়েছে শিশুদের খেলার মঞ্চ। শিশু মনে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করতেই এই আয়োজন বলছে আয়োজকরা।
বইয়ের পাতা উল্টিয়ে দেখার পাশাপাশি বইমেলার আনন্দকে স্মরণীয় করে রাখতে এসব পুতুলের সঙ্গে সেলফিও তুলে রাখেন কেউ কেউ। শিশুদের বইমেলা উপভোগ করাতে ও ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তান বা ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এখানে ভিড় করেন অভিভাবকরা। ছড়া, গল্প, বিজ্ঞান কুইজ ও ভূতের বই শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী তুরহান এসেছে বাবার সাথে। শিশু চত্ত্বরে ঘুরে ঘুরে বই দেখা অবস্থায় সংবাদকে বলে, আমি সকাল ১১টায় এসেছি। আব্বু আমাকে একটি ভূতের বই কিনে দিয়েছে। আমি রিডিং পড়তে পারি। বাসায় গিয়ে এই বই পড়বো। আমি আরো একটি গল্পের বই কিনবো। মেলায় এসে আমার আমার ভাল লাগছে।
গ্রীণ রোড থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে এসেছেন শামছুল আলম। তিনি বলেন, আমরা মোট পাঁচটা পরিবার একসাথে এসেছি। সাথে আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি। সকাল এগারোটায় সিসিমপুরের মুক্তমঞ্চে বাচ্চা অনেক আনন্দ করেছে। ইট-পাথরের চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে বাচ্চারা অনেক সময় হাঁপিয়ে উঠে। এখানে এসে তারা নিজেদের বাধাহীন মুক্ত পাখির মতো মনে করছে।
এদিকে, টুনটুনি প্রকাশে কর্মরত তাহমিদা আক্তার শান্তা বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেচাকেনা বেশি। আমাদের এখানে শিশু, কিশোর ও বড়দের কিছু বই আছে। তবে শিশুদের বইই বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুরা বিজ্ঞান সম্পর্কিত আর ভূতের বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে।
কিশোর কলম প্রকাশের বশির বলেন, আজ লোকজন হিসেবে তুলনামূলক একটু কমই বিক্রি হচ্ছে। তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সবাই বই দেখছে। আর বাচ্চারা নকশা দেখেই যে বইটা চায়, সেটাতো গার্ডিয়ানরা আর দেয়না। তারা শিক্ষামূলক বইগুলো দিতে চায়।
অনুষ্ঠানসূচী
একুশে বইমেলার ১০ম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ২৬০টি। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় ছিল শিশুপ্রহর। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল ৮:৩০টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ৯:৩০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি : শিল্পী সফিউদ্দীন আহমেদ এবং জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: এস এম সুলতান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মলয় বালা এবং সৈয়দ নিজার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সুশান্তকুমার অধিকারী, ইমাম হোসেন সুমন, নাসির আলী মামুন এবং নীরু শামসুন্নাহার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুনতাসীর মামুন।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মৌলি আজাদ, সাগরিকা নাসরীন, সাহাদাত পারভেজ এবং হুমায়ূন কবীর ঢালী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বায়তুল্লাহ কাদেরী, সঞ্জীব পুরোহিত, ফারহানা রহমান এবং রুহ রুহেল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ, নুরুজ্জামান, মাসুদ রানা, মাহমুদুল হাকিম তানভীর। এছাড়াও ছিল জিনিয়া জ্যোৎ¯œার পরিচালনা নৃত্য সংগঠন ‘জিনিয়া নত্যৃকলা একাডেমি’ মনোমি তানজানার পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘নিক্কন পারফরমিং আর্ট সেন্টার’, মোঃ জাকির হোসেনের পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘শান্তি ভাবদর্শন চর্যাকেন্দ্র’, পারভীন আক্তার আঁখির পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘আনসার ডান্স একাডেমি’-এর নৃত্য পরিবেশনা। আবৃত্তি পরিবেশনা করেন ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ’ এবং ‘ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা’-এর শিল্পীবৃন্দ।
আগামীকালের সময়সূচি:
আগামীকাল শনিবার অমর একুশে বইমেলার ১১তম দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সকাল ১১টা থেকে বেলা ০১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর চলবে।সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তেন শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ : আশরাফ সিদ্দিকী এবং স্মরণ সাঈদ আহমদ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইয়াসমিন আরা সাথী এবং মাহফুজা হিলালী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন উদয়শংকর বিশ্বাস, শামস্ আল দীন, রীপা রায় এবং আব্দুল হালিম প্রামাণিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন খুরশীদা বেগম।