এবার অমর একুশে বইমেলায় খ্যাতিমান প্রবীণ লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি নবীনদের বইয়ের প্রতিও আকর্ষণ আছে পাঠক-দর্শনার্থীদের। বরাবরের মতোই হুমায়ূন আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, আকবর আলী খান, আনিসুল হক, জাফর ইকবালদের বই বেশি বিক্রি হলেও পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও বিক্রি হচ্ছে। কিঙ্কর আহসান, সাদাত হোসাইন, ইকরামুল হাসান শাকিলের মতো তরুণ লেখকদের বইয়েও আছে পাঠকদের আগ্রহ।
মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, জান্নাতুন নুর নিশার ‘পুরুষ সাবিত্রী’, অসীম হিমেলের ‘ধূম্রজালে খেদু মিয়া’, সাকী আহমদের ‘ছোটদের বই’, ইথার আখতারুজ্জামানের ‘বসন্ত বিভ্রম’, পিয়াস মজিদের কবিতার বই ‘ভুলে যাওয়া স্কাটের সিঁড়ি’, ‘এ সকাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়’, পলাশ মাহবুবের ‘প্রতি মঙ্গলবার আমরা বই ছাড়া স্কুলে যাই’, মোজাফফর হোসেনের ‘নো ওম্যান্স ল্যান্ড’, সাদাত হোসাইনের ‘শঙ্খচূড়’, মিলু আমান ও হক ফারুকের ‘বাংলার রক মেটাল’, জয় শাহরিয়ারের ‘রুপালি গিটার’, প্রবর রিপনের ‘রক্তহ্রদ’, মৌরি মরিয়মের ‘অনিন্দ অনলে’, রাসেল মাহমুদের ‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’, মাহফুজা অনন্যার ‘কীর্তনখোলা’ বইগুলো সংগ্রহ করছেন সব শ্রেণীর ও বয়সের পাঠক।
থ্রিলার প্রকৃতির বই ‘হিমলুং শিখরে’র লেখক ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ‘তরুণ লেখক ব্যক্তিগত পরিচিতির বাইরে আমি নতুন লেখক, তাই সরাসরি অপরিচিত কোন পাঠকদের মতামত জানতে পারিনি। পরিচিত অথচ আগে তারা আমার বই পড়েননি এমন অনেকের সঙ্গে মতবিনিময় হচ্ছে তারা আমায় উৎসাহিত করছেন। অনেকে বই কিনে অটোগ্রাফ চাইছেন। এটা নতুন অনুভূতি।’
পাঠক তাসনুভা তামান্না বলেন, ‘বইমেলায় নতুন লেখকদের বই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করে। আমি সেগুলো খুঁজে খুঁজে ক্রয় করি। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে হুমায়ূন আহমেদের বইও আমি পড়ি।’
তরুণ লেখকদের বই পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে বলে জানালেন গল্পকার পারভেজ। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক তরুণ লেখালেখি করেন। তাদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে বই প্রকাশ করেন। তাদের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের ভালো একটা যোগসূত্র রয়েছে।
পারভেজ আরও বলেন, ‘শুধু যে গল্প-কবিতা লিখছেন তরুণেরা, তা কিন্তু নয়। তরুণেরা গবেষণামূলক বই দিয়েও পাঠকদের আকৃষ্ট করছেন। তবে আমি বলব, তরুণদের লেখার মানোন্নয়ন করা দরকার। যতœ নিয়ে কাজ করলে হয়তো ধীরে ধীরে অনেকেই এসব শিখে যাবেন। আমি বিশ্বাস করি, আজকের তরুণেরাই বাংলা সাহিত্যে একদিন বড় অবদান রাখবেন।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান সংবাদকে বলেন, ‘পুরনো লেখকদের বই পড়তে পড়তে বড় হয়েছি। পুরনোরাও তো নতুন ছিলেন একসময়। কিন্তু, এখন দেখি এক শ্রেণীর লোকেরা নতুন লেখকদের ভালো চোখে দেখেন না। সেটি কেন জানি না। তবে আমি মনে করি, নতুনরাও ভালো লেখেন।’
বেশ কয়েকজন প্রকাশক সংবাদকে জানান, ‘এ বছর তারা নতুন যতগুলো বই প্রকাশ করেছেন তার অর্ধেকের বেশি লেখকই নতুন এবং তরুণ, যাদের অনেকের বই প্রথমবার প্রকাশিত হচ্ছে। এদের বেশিরভাগই কবিতার বই বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।’
আজকের অনুষ্ঠানসূচি
রাত ১২:৩০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
আজ অমর একুশে বইমেলার ২১তম দিন। মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি জাহিদুল হক। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩ শীর্ষক একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন রামেন্দু মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
এবার অমর একুশে বইমেলায় খ্যাতিমান প্রবীণ লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি নবীনদের বইয়ের প্রতিও আকর্ষণ আছে পাঠক-দর্শনার্থীদের। বরাবরের মতোই হুমায়ূন আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, আকবর আলী খান, আনিসুল হক, জাফর ইকবালদের বই বেশি বিক্রি হলেও পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও বিক্রি হচ্ছে। কিঙ্কর আহসান, সাদাত হোসাইন, ইকরামুল হাসান শাকিলের মতো তরুণ লেখকদের বইয়েও আছে পাঠকদের আগ্রহ।
মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, জান্নাতুন নুর নিশার ‘পুরুষ সাবিত্রী’, অসীম হিমেলের ‘ধূম্রজালে খেদু মিয়া’, সাকী আহমদের ‘ছোটদের বই’, ইথার আখতারুজ্জামানের ‘বসন্ত বিভ্রম’, পিয়াস মজিদের কবিতার বই ‘ভুলে যাওয়া স্কাটের সিঁড়ি’, ‘এ সকাল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়’, পলাশ মাহবুবের ‘প্রতি মঙ্গলবার আমরা বই ছাড়া স্কুলে যাই’, মোজাফফর হোসেনের ‘নো ওম্যান্স ল্যান্ড’, সাদাত হোসাইনের ‘শঙ্খচূড়’, মিলু আমান ও হক ফারুকের ‘বাংলার রক মেটাল’, জয় শাহরিয়ারের ‘রুপালি গিটার’, প্রবর রিপনের ‘রক্তহ্রদ’, মৌরি মরিয়মের ‘অনিন্দ অনলে’, রাসেল মাহমুদের ‘কয়েকছত্র কান্নার গল্প’, মাহফুজা অনন্যার ‘কীর্তনখোলা’ বইগুলো সংগ্রহ করছেন সব শ্রেণীর ও বয়সের পাঠক।
থ্রিলার প্রকৃতির বই ‘হিমলুং শিখরে’র লেখক ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ‘তরুণ লেখক ব্যক্তিগত পরিচিতির বাইরে আমি নতুন লেখক, তাই সরাসরি অপরিচিত কোন পাঠকদের মতামত জানতে পারিনি। পরিচিত অথচ আগে তারা আমার বই পড়েননি এমন অনেকের সঙ্গে মতবিনিময় হচ্ছে তারা আমায় উৎসাহিত করছেন। অনেকে বই কিনে অটোগ্রাফ চাইছেন। এটা নতুন অনুভূতি।’
পাঠক তাসনুভা তামান্না বলেন, ‘বইমেলায় নতুন লেখকদের বই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করে। আমি সেগুলো খুঁজে খুঁজে ক্রয় করি। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে হুমায়ূন আহমেদের বইও আমি পড়ি।’
তরুণ লেখকদের বই পাঠকপ্রিয়তা পাচ্ছে বলে জানালেন গল্পকার পারভেজ। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক তরুণ লেখালেখি করেন। তাদের অনেকেই পরবর্তী সময়ে বই প্রকাশ করেন। তাদের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের ভালো একটা যোগসূত্র রয়েছে।
পারভেজ আরও বলেন, ‘শুধু যে গল্প-কবিতা লিখছেন তরুণেরা, তা কিন্তু নয়। তরুণেরা গবেষণামূলক বই দিয়েও পাঠকদের আকৃষ্ট করছেন। তবে আমি বলব, তরুণদের লেখার মানোন্নয়ন করা দরকার। যতœ নিয়ে কাজ করলে হয়তো ধীরে ধীরে অনেকেই এসব শিখে যাবেন। আমি বিশ্বাস করি, আজকের তরুণেরাই বাংলা সাহিত্যে একদিন বড় অবদান রাখবেন।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান সংবাদকে বলেন, ‘পুরনো লেখকদের বই পড়তে পড়তে বড় হয়েছি। পুরনোরাও তো নতুন ছিলেন একসময়। কিন্তু, এখন দেখি এক শ্রেণীর লোকেরা নতুন লেখকদের ভালো চোখে দেখেন না। সেটি কেন জানি না। তবে আমি মনে করি, নতুনরাও ভালো লেখেন।’
বেশ কয়েকজন প্রকাশক সংবাদকে জানান, ‘এ বছর তারা নতুন যতগুলো বই প্রকাশ করেছেন তার অর্ধেকের বেশি লেখকই নতুন এবং তরুণ, যাদের অনেকের বই প্রথমবার প্রকাশিত হচ্ছে। এদের বেশিরভাগই কবিতার বই বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা।’
আজকের অনুষ্ঠানসূচি
রাত ১২:৩০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলা অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে।
আজ অমর একুশে বইমেলার ২১তম দিন। মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি জাহিদুল হক। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৩ শীর্ষক একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন রামেন্দু মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।