alt

সংস্কৃতি

বইমেলায় বাজছে বিদায়ের সুর

খালেদ মাহমুদ, ঢাবি : রোববার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাজছে বিদায়ের সুর। বাকি আর মাত্র দুটি দিন। সময় যতই ফুরিয়ে আসছে, ততোই ভিড় বাড়ছে মেলায়। প্রতিনিয়ত আসছে নতুন নতুন বই। বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়াতেই সব বয়সী পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে দর্শনার্থীর তুলনায় এখন ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। মেলার এই সময়টাতে এসে খালি হাতে ফিরছেন না কেউই। মেলায় এসে ঘুরে ফিরে সময় নষ্ট করার যেন কোন মানে হয় না পাঠকদের কাছে। তাই সময় বাঁচাতে অনেক পাঠকই তৈরি কারা বইয়ের লিস্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন পছন্দের প্রকাশনীর স্টলে।

রোববারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় এমন চিত্রই ছিল সর্বত্র। বেশকয়েকটি প্রকাশনীর স্টলে ঢু মেরে দেখা যায় অধিকাংশ পাঠকই হাতের তালিকা ধরে বিক্রয়কর্মীদের কাছে পছন্দের বই খুজছেন। অনেক প্রকাশনীতেই গত কয়েকদিনের বেচাকেনার ধাক্কায় শেষ হয়ে যায় অধিকাংশ বইয়ের সংস্করণ। নির্দিষ্ট প্রকাশনীতে পছন্দের বই না পেলে অন্য কোথাও পাওয়া যাবে কি-না কিংবা মেলার পর কিভাবে পেতে পারেন তা জানতে চাইছেন পাঠকরা। আবার অনেকে মেলার পরে প্রকাশনীগুলো তাদের উল্লেখিত বইগুলোর পুনঃসংস্করণ কবে ছাপাবে সেটা জানতে চাইছেন।

শেষ সময়ে এসে মেলার বেচাকেনাও বেড়েছে ঢের বেশি। রোববারের প্রায় প্রত্যেকেই খালি হাতে প্রবেশ করে দুহাত ভরে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে গেছেন মেলা প্রাঙ্গন থেকে। আর পাঠকদের এমন উচ্ছ্বাস ও আগ্রহে তাল দিচ্ছিলেন বিক্রেতারাও। স্টলের সামনে কেউ এসে দাঁড়ানো মাত্রই বিক্রয়কর্মীরা হাতে তুলে দিচ্ছিলেন নতুন প্রকাশিত বইগুলো এবং সেই সঙ্গে বর্ণনা করছিলেন বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

ঢাবির শিক্ষার্থী তানজিনা রহমান বলেন, এখন বই না কিনলে তো আর কেনার সুযোগ নেই। আবার অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের জন্য। তাই শেষ সময়ে এসে যতটুকু সম্ভব বই কেনার চেষ্টা করছি।

মূর্ধন্য পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী মারুফ শাহরিয়ার বলেন, এবারের মেলা আগের দুই মেলার চেয়ে ভালো হয়েছে। বইয়ের দাম বাড়ার পরও পাঠক ভালোই বই কিনছেন। প্রতিবার আমরা মেলার শেষদিকে যেই আমেজ দেখতে পাই, এবার সেটা ২৪ তারিখ থেকে দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও হয়তো এমন থাকবে। শেষ দুই দিন পাঠকের সমাগম ব্যাপকভাবে বাড়ার সম্ভবনা আছে।

মেলায় বসুন্ধরা থেকে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ সানোয়ার। তিনি গত পাঁচ দিন এসেছেন মেলায়। এসে ক্যাটালগ সংগ্রহ করে বই পছন্দের লিস্ট তৈরি করেছেন। এসেছেন সেই লিস্টের বই সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন, মেলা তো প্রায় শেষ। তাই শেষ হওয়ার আগেই পছন্দের তালিকার বই কিনতে চলে এলাম। নতুন বইয়ের সঙ্গে বছরটা যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি।

রোববারের অনুষ্ঠানসূচি
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সাহিত্যের বৈভব ও জেলা সাহিত্যমেলা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুন্সি আবু সাইফ, সাহেদ মন্তাজ এবং মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক ধারা-উপধারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক সাহিত্যের বাইরে বিভিন্ন জেলায় জেলায়। কিন্তু ঢাকার বাইরে চর্চিত সাহিত্যের সৃষ্টিশীল বৈভবকে পর্যবেক্ষণ ও সংকলন করার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বাংলাদেশে অতীতে কখনও গৃহীত হয়নি। স্থানীয় সাহিত্যস্রষ্টাদের সৃষ্টিকর্মকে মূল্যায়ন ছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। এসব দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে নিয়েই বাংলা একাডেমি জেলা সাহিত্যমেলার রূপরেখা প্রণয়ন করে এবং তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলের জেলা প্রশাসনকে প্রেরণ করে।

আলোচকরা বলেন, সাহিত্য জনমানুষের কথা বলে। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। এজন্য জেলা সাহিত্যমেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। জেলা সাহিত্যমেলায় অংশ নিয়ে স্থানীয় লেখক, সাহিত্যিকরা নিজেদের মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সাহিত্য উপকরণাদি সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সাহিত্যমেলার নিয়মিত আয়োজন দেশের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চাকে বেগবান করবে।

সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, আঞ্চলিকতাকে অবলম্বন করেই বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে। তাই স্থানীয় সাহিত্যকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আয়োজিত জেলা সাহিত্যমেলা আমাদের সাহিত্যের দিগন্ত প্রসারিত করবে।

‘আজ লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সোহেল আমিন বাবু, হরষিত বালা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাহফুজা অনন্যা এবং মোহাম্মদ আলমগীর আলম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন মালেক মাহমুদ, সালাউদ্দিন বাদল, শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক এবং আলমগীর আলম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ম. ম. জুয়েল, সাফিয়া খন্দকার রেখা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, শামস মিঠু এবং ফারজানা ইসলাম।

সোমবারের অনুষ্ঠানসূচি
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববাঙালির সাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আলম খোরশেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, আ-আল মামুন, জসিম মল্লিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

ছবি

প্রান্তিক জনপদ নিয়ে কারু তিতাসের ‘মৃত্তিকা মোহ’

ছবি

আলসেমি উদযাপনের দিন আজ

ছবি

জবিতে মঞ্চায়িত হলো ‘উজানে মৃত্যু’

ছবি

নিউইয়র্কে ৪ দিনব্যাপী বিপার ৩০ বছর পূর্তি উৎসব

ছবি

সাহিত্যের দৈন্যতা কাটাতে তরুণদের প্রতি আহ্বান কামাল চৌধুরীর

ছবি

শহীদ বিধান স্মৃতি সম্মাননা পেলেন গাজী জাহাঙ্গীর

ছবি

সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংসদের উদ্যোগে দুটি স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ -ভারত মৈত্রি সম্মাননা

ছবি

গানে কবিতায় কবি আবদুল গফ্ফার দত্তচৌধুরীকে স্মরণ

উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ‘কাওয়াল সন্ধ্যা’ উদযাপিত

সিলেটে সাহিত্য মেলা নিয়ে মনক্ষুন্ন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ছবি

‘সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনতে পাঠাগারের বিকল্প নেই’

ছবি

এসএসসি ১৯৮২ সংগঠনের বর্ষপূর্তি ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ছবি

সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ ভারত সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব ও গুণীজন সংবর্ধনা

ছবি

‘অগ্নিবীণার শতবর্ষ : বঙ্গবন্ধুর চেতনায় শাণিত রূপ

ছবি

বগুড়া লেখক চক্রের নতুন কমিটির অভিষেক

ছবি

কবি রেজা সারোয়ারের তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

ছবি

জাতীয় জাদুঘরে সেমিনার, আলোচনা সভা ও পটুয়া কামরুল হাসান গ্যালারি উদ্বোধন

মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকীতে ঢাবিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

ছবি

স্বর্গছেঁড়ার অনিমেষ ও কিছু কথাবার্তা

ছবি

বাঙালির অভিন্ন সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন

ছবি

বর্ষবরণে প্রস্তুত ছায়ানট, হাল না ছাড়ার প্রত্যয়

ছবি

দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে চলচ্চিত্র: হাছান মাহমুদ

ছবি

৭ বর্ণ বাদ গুজবে বিব্রত বাংলা একাডেমির সভাপতি

ছবি

‘প্রলয় বাজাও গানে, সাহস জাগাও প্রাণে’ যারা পেলেন উদীচীর পুরস্কার

ছবি

শালুক সাহিত্য পুরস্কার পেলেন তিন দেশের কথাসাহিত্যিক ও কবি

ছবি

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি অনন্ত হীরা, ফের সম্পাদক সাগর

ছবি

গত বছরের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা কম বিক্রি

ছবি

বইমেলায় আলোচিত মাসরুর আরেফিনের সাক্ষাৎকারগ্রন্থ “‘মানবতাবাদী’ সাহিত্যের বিপক্ষে মাসরুর আরেফিন”

ছবি

বইমেলায় ওবায়েদ আকাশের গ্রন্থসমূহ

ছবি

দুটি গ্রন্থ নিয়ে বইমেলায় মাহফুজ আল-হোসেন

ছবি

হাসান কল্লোলের নতুন কবিতা বই ‘মুদ্রিত স্বপ্নের কোলাজ’

ছবি

বইমেলায় হাইকেল হাশমীর দুই বই

ছবি

গুণগত বইয়ের খোঁজে পাঠক

চিরকুট-এর ২০ বছর পূর্তিতে ‘টিএসসি টু ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন’ কনসার্ট

ছবি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন বিদেশি শিল্পীরা

tab

সংস্কৃতি

বইমেলায় বাজছে বিদায়ের সুর

খালেদ মাহমুদ, ঢাবি

রোববার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাজছে বিদায়ের সুর। বাকি আর মাত্র দুটি দিন। সময় যতই ফুরিয়ে আসছে, ততোই ভিড় বাড়ছে মেলায়। প্রতিনিয়ত আসছে নতুন নতুন বই। বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যাও। বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়াতেই সব বয়সী পাঠকের মিলনমেলায় পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে দর্শনার্থীর তুলনায় এখন ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। মেলার এই সময়টাতে এসে খালি হাতে ফিরছেন না কেউই। মেলায় এসে ঘুরে ফিরে সময় নষ্ট করার যেন কোন মানে হয় না পাঠকদের কাছে। তাই সময় বাঁচাতে অনেক পাঠকই তৈরি কারা বইয়ের লিস্ট নিয়ে হাজির হচ্ছেন পছন্দের প্রকাশনীর স্টলে।

রোববারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় এমন চিত্রই ছিল সর্বত্র। বেশকয়েকটি প্রকাশনীর স্টলে ঢু মেরে দেখা যায় অধিকাংশ পাঠকই হাতের তালিকা ধরে বিক্রয়কর্মীদের কাছে পছন্দের বই খুজছেন। অনেক প্রকাশনীতেই গত কয়েকদিনের বেচাকেনার ধাক্কায় শেষ হয়ে যায় অধিকাংশ বইয়ের সংস্করণ। নির্দিষ্ট প্রকাশনীতে পছন্দের বই না পেলে অন্য কোথাও পাওয়া যাবে কি-না কিংবা মেলার পর কিভাবে পেতে পারেন তা জানতে চাইছেন পাঠকরা। আবার অনেকে মেলার পরে প্রকাশনীগুলো তাদের উল্লেখিত বইগুলোর পুনঃসংস্করণ কবে ছাপাবে সেটা জানতে চাইছেন।

শেষ সময়ে এসে মেলার বেচাকেনাও বেড়েছে ঢের বেশি। রোববারের প্রায় প্রত্যেকেই খালি হাতে প্রবেশ করে দুহাত ভরে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে গেছেন মেলা প্রাঙ্গন থেকে। আর পাঠকদের এমন উচ্ছ্বাস ও আগ্রহে তাল দিচ্ছিলেন বিক্রেতারাও। স্টলের সামনে কেউ এসে দাঁড়ানো মাত্রই বিক্রয়কর্মীরা হাতে তুলে দিচ্ছিলেন নতুন প্রকাশিত বইগুলো এবং সেই সঙ্গে বর্ণনা করছিলেন বইয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

ঢাবির শিক্ষার্থী তানজিনা রহমান বলেন, এখন বই না কিনলে তো আর কেনার সুযোগ নেই। আবার অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছরের জন্য। তাই শেষ সময়ে এসে যতটুকু সম্ভব বই কেনার চেষ্টা করছি।

মূর্ধন্য পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী মারুফ শাহরিয়ার বলেন, এবারের মেলা আগের দুই মেলার চেয়ে ভালো হয়েছে। বইয়ের দাম বাড়ার পরও পাঠক ভালোই বই কিনছেন। প্রতিবার আমরা মেলার শেষদিকে যেই আমেজ দেখতে পাই, এবার সেটা ২৪ তারিখ থেকে দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও হয়তো এমন থাকবে। শেষ দুই দিন পাঠকের সমাগম ব্যাপকভাবে বাড়ার সম্ভবনা আছে।

মেলায় বসুন্ধরা থেকে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ সানোয়ার। তিনি গত পাঁচ দিন এসেছেন মেলায়। এসে ক্যাটালগ সংগ্রহ করে বই পছন্দের লিস্ট তৈরি করেছেন। এসেছেন সেই লিস্টের বই সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন, মেলা তো প্রায় শেষ। তাই শেষ হওয়ার আগেই পছন্দের তালিকার বই কিনতে চলে এলাম। নতুন বইয়ের সঙ্গে বছরটা যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি।

রোববারের অনুষ্ঠানসূচি
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় সাহিত্যের বৈভব ও জেলা সাহিত্যমেলা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইমন জাকারিয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মুন্সি আবু সাইফ, সাহেদ মন্তাজ এবং মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

প্রাবন্ধিক বলেন, বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক ধারা-উপধারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক সাহিত্যের বাইরে বিভিন্ন জেলায় জেলায়। কিন্তু ঢাকার বাইরে চর্চিত সাহিত্যের সৃষ্টিশীল বৈভবকে পর্যবেক্ষণ ও সংকলন করার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ বাংলাদেশে অতীতে কখনও গৃহীত হয়নি। স্থানীয় সাহিত্যস্রষ্টাদের সৃষ্টিকর্মকে মূল্যায়ন ছাড়া সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাহিত্যের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। এসব দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে নিয়েই বাংলা একাডেমি জেলা সাহিত্যমেলার রূপরেখা প্রণয়ন করে এবং তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি অঞ্চলের জেলা প্রশাসনকে প্রেরণ করে।

আলোচকরা বলেন, সাহিত্য জনমানুষের কথা বলে। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। এজন্য জেলা সাহিত্যমেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। জেলা সাহিত্যমেলায় অংশ নিয়ে স্থানীয় লেখক, সাহিত্যিকরা নিজেদের মধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে সাহিত্য উপকরণাদি সংরক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সাহিত্যমেলার নিয়মিত আয়োজন দেশের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চাকে বেগবান করবে।

সভাপতির বক্তব্যে সেলিনা হোসেন বলেন, আঞ্চলিকতাকে অবলম্বন করেই বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে। তাই স্থানীয় সাহিত্যকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আয়োজিত জেলা সাহিত্যমেলা আমাদের সাহিত্যের দিগন্ত প্রসারিত করবে।

‘আজ লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সোহেল আমিন বাবু, হরষিত বালা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাহফুজা অনন্যা এবং মোহাম্মদ আলমগীর আলম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন মালেক মাহমুদ, সালাউদ্দিন বাদল, শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক এবং আলমগীর আলম। আবৃত্তি পরিবেশন করেন ম. ম. জুয়েল, সাফিয়া খন্দকার রেখা, ফয়জুল আলম পাপ্পু, শামস মিঠু এবং ফারজানা ইসলাম।

সোমবারের অনুষ্ঠানসূচি
বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববাঙালির সাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন আলম খোরশেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, আ-আল মামুন, জসিম মল্লিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

back to top