নয়াদিল্লিতে বাংলা উৎসব,
বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ স্বাগত জানাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বাংলা উৎসব। একই সাথে চলছে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার সমাপনী আয়োজন। গত শুক্রবার বিকেলে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বিপিনচন্দ্র পাল ট্রাস্ট মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ এবং বিহু ক্রিয়েশন।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনের স্লোগান ছিলো- তোমার খোলা হাওয়ায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন- উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমর বিশেষজ্ঞ ড. মেজর জেনারেল পি কে চক্রবর্তী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ীসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পহেলা বৈশাখে দিল্লিতে এবারের বাংলা উৎসব দুদেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে এ ধরনের আয়োজন দুদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতার পর ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটির আজকের যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে।
প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, বাংলা উৎসব হলো উভয় দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। দুই বঙ্গের খ্যাতিমান শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে দুদেশের অখণ্ড সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নানা দিক এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে আসছে।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি তাপস হোড়ের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলাম, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার আহ্বায়ক শ্রী বোধিসত্ত্ব তরফদার, দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলর কুমারী আংশু ঠাকুর, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আবৃত্তিশিল্পী রুপশ্রী চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে নাচ পরিবেশন করেন ঢাকার বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা ব্যানার্জী ও প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম। ভারতের রবি গীতিকা পরিবেশন করে গীতিনাট্য বসন্ত। সবশেষে মঞ্চস্থ হয় নাট্যজন নাদের চৌধুরী নির্দেশিত ঢাকা পদাতিক এর নাটক ট্রায়াল অব সূর্যসেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলা উৎসব,
শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ স্বাগত জানাতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বাংলা উৎসব। একই সাথে চলছে নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার সমাপনী আয়োজন। গত শুক্রবার বিকেলে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বিপিনচন্দ্র পাল ট্রাস্ট মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের যৌথ আয়োজক বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ এবং বিহু ক্রিয়েশন।
উৎসবের উদ্বোধনী দিনের স্লোগান ছিলো- তোমার খোলা হাওয়ায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন- উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সমর বিশেষজ্ঞ ড. মেজর জেনারেল পি কে চক্রবর্তী, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার মো. নুরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ীসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে দুদেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পহেলা বৈশাখে দিল্লিতে এবারের বাংলা উৎসব দুদেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে এ ধরনের আয়োজন দুদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতার পর ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশটির আজকের যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে।
প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, বাংলা উৎসব হলো উভয় দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। দুই বঙ্গের খ্যাতিমান শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে দুদেশের অখণ্ড সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নানা দিক এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে আসছে।
আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি তাপস হোড়ের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলাম, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, নেতাজী-বঙ্গবন্ধু জনচেতনা যাত্রার আহ্বায়ক শ্রী বোধিসত্ত্ব তরফদার, দিল্লি মিউনিসিপ্যালিটির কাউন্সিলর কুমারী আংশু ঠাকুর, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ দুই বাংলার বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আবৃত্তিশিল্পী রুপশ্রী চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে নাচ পরিবেশন করেন ঢাকার বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা ব্যানার্জী ও প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা। গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী লিলি ইসলাম। ভারতের রবি গীতিকা পরিবেশন করে গীতিনাট্য বসন্ত। সবশেষে মঞ্চস্থ হয় নাট্যজন নাদের চৌধুরী নির্দেশিত ঢাকা পদাতিক এর নাটক ট্রায়াল অব সূর্যসেন।