ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উর্দু, ফারসি ভাষায় রচিত কাওয়ালী গানের পরিবেশনার মাধ্যমে ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’ উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে কাওয়ালী গানের সুরের মূর্ছনায় আন্দোলিত হয়ে উঠে গোটা টিএসসি প্রাঙ্গন।
কাওয়ালী সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশে কাওয়ালী গানের অন্যতম প্রসিদ্ধ কাওয়াল ওস্তাদ মনির হোসেন কাওয়ালের দল এবং ওস্তাদ হানিফ কাওয়ালের দল।
উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা মনে করি, মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা এবং সমাজে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ যারা শুধু কাওয়ালী গানকে হালাল মনে করে এবং বাকী সবধরনের গানকে হারাম মনে করে, তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। আমরা পালাগান, জারি গান, কাওয়ালী সহ সবধরনের সাংস্কৃতিক উপাদান চর্চা করার পক্ষে এবং সংস্কৃতির মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই৷ একই সাথে যারা আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে এবং ধর্মীয়ভাবে আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে কিংবা মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব করতে চেষ্টা করবে আমরা তাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করবো। আজকের ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’র আয়োজনও আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরই অংশ।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সভাপতি সজিব তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ।
মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলন, উন্মুক্ত লাইব্রেরি বিশ্বাস করে মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা, সমাজে বহুত্ববাদের চর্চা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতা কাটানোর জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ এই বিশ্বাস থেকেই উন্মুক্ত লাইব্রেরি বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিশেষ দিবস ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর চর্চা করে৷
বই পড়া, মানুষের মধ্যে বই চর্চার আবহ তৈরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২২ সালে উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ মূলত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে এই উন্মুক্ত লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের হাত ধরে।
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উর্দু, ফারসি ভাষায় রচিত কাওয়ালী গানের পরিবেশনার মাধ্যমে ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’ উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে কাওয়ালী গানের সুরের মূর্ছনায় আন্দোলিত হয়ে উঠে গোটা টিএসসি প্রাঙ্গন।
কাওয়ালী সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশে কাওয়ালী গানের অন্যতম প্রসিদ্ধ কাওয়াল ওস্তাদ মনির হোসেন কাওয়ালের দল এবং ওস্তাদ হানিফ কাওয়ালের দল।
উন্মুক্ত লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা মনে করি, মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা এবং সমাজে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ যারা শুধু কাওয়ালী গানকে হালাল মনে করে এবং বাকী সবধরনের গানকে হারাম মনে করে, তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। আমরা পালাগান, জারি গান, কাওয়ালী সহ সবধরনের সাংস্কৃতিক উপাদান চর্চা করার পক্ষে এবং সংস্কৃতির মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই৷ একই সাথে যারা আমাদের সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করবে এবং ধর্মীয়ভাবে আমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে কিংবা মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব করতে চেষ্টা করবে আমরা তাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করবো। আজকের ‘কাওয়ালী সন্ধ্যা’র আয়োজনও আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরই অংশ।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সভাপতি সজিব তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন উন্মুক্ত লাইব্রেরি কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক বিল্লাহ।
মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলন, উন্মুক্ত লাইব্রেরি বিশ্বাস করে মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলা, সমাজে বহুত্ববাদের চর্চা অব্যাহত রাখা এবং মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতা কাটানোর জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদান৷ এই বিশ্বাস থেকেই উন্মুক্ত লাইব্রেরি বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিশেষ দিবস ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর চর্চা করে৷
বই পড়া, মানুষের মধ্যে বই চর্চার আবহ তৈরির পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে মানুষকে চিন্তাশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২২ সালে উন্মুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ মূলত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে এই উন্মুক্ত লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের হাত ধরে।