টানা অবরোধে, সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম। অবরোধে সহিংসতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কমেছে। সব ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরেছে। কোনো স্কুল ক্লাস ‘অর্ধেক’ কমিয়েছে। ক্লাস কমালেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হচ্ছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের কারণে শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম একমাস এগিয়ে নিয়েও সূচি অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বার্ষিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন, টেস্ট পরীক্ষাসহ সব ধরনের সমাপনী কার্যক্রম ‘অসম্পূর্ণ’ রেখেই শিক্ষাবর্ষের ইতি টানতে হতে পারে বলে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা।
রাজধানীর অন্তত ১০টি হাইস্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরোধীদলের ডাকা ‘অবরোধ’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে না। ‘ঝুকি’ নিয়ে অনেক অভিভাবকও সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না। বিশেষ করে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই বিদ্যালয়ে আসছে।
রাজধানীর কদমতলী থানার নিউ ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ৮ নভেম্বর সংবাদকে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী ৯ নভেম্বর আমার স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিক্ষার্থীরা আসুক, আর না আসুক পরীক্ষা শেষ করতেই হবে। সামনে নির্বাচন; তখন আমাদের কিছুই করার থাকবে না।’
পরীক্ষায় অংশ নিতে কাউকে বাধ্য করা হবে না জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘অবরোধে সহিংসতা হলে এর দায় কে নেবে? এ জন্য যারা পরীক্ষা দিতে আসবে না তাদের আগের শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার আলোকে মূল্যায়ন করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এ কারণে এবার নভেম্বরের মধ্যে সারা দেশের স্কুল পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মাউশি।
কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’কে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কারণ নভেম্বর মাস শুরুই হলো ‘অবরোধ’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর ‘অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য দলগুলো। পরবর্তীতে সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এবং ৭ নভেম্বর বাদ দিয়ে লাগাতার অবরোধ চলছে। বিএনপির ডাকা তৃতীয় ধাপের অবরোধ গত ৯ নভেম্বর শেষ হয়। আগামী ১২ থেকে ১৪ নভেম্বরও ‘অবরোধ’ ঘোষণা করেছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
মাউশি প্রথম দিকে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৫ নভেম্বর শুরু করা পরিকল্পনা নিয়েছিল। ‘হরতাল ও অবরোধের’ কারণে তা পিছিয়ে ৯ নভেম্বর থেকে শুরুর করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ‘অবরোধের’ কারণে অনেক স্কুলই পরীক্ষা শুরু করতে পারছে না। টানা ‘বিরূপ’ কর্মসূচির কারণে স্কুলগুলো ঠিকমত মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিতে পারছে না।
রাজধানীর অনেক স্কুলে প্রাথমিকের পরীক্ষা ১ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ৫ নভেম্বর নেয়া হয়। সংশোধিত সূচিতেও পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। সাধারণত প্রতিবছরই নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা শেষ করা হয়। ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ‘অবরোধের’ কারণে এবার নভেম্বরের শুরুতে সব পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশি ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল খালেক ৮ নভেম্বর সংবাদকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে কোনো স্কুল পরীক্ষা নিতে পারছে না, বা ক্লাস করাতে পারছে না-এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোর প্রতি আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, ২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা, ফল প্রকাশ ও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।’
এই প্রতিকূল রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেও স্কুলগুলো নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ওইসব বিষয় শেষ করতে পারবে বলে জানান আবদুল খালেক।
বর্তমানে দেশে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন কোটি ৮১ লাখের বেশি।
উচ্চ মাধ্যমিকসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল সরকারি বালক, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। শ্রেণী কার্যক্রমও ঢিলেঢালাভাবে চলছে।
ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী সংবাদকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকমত করা যাচ্ছে না। বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা, ক্লাস পরীক্ষা কোনো কিছুই নেয়া যাচ্ছে না।
সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে বলে জানান কেকা রায় চৌধুরী।
এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে স্কুলটির রামপুরা বনশ্রী শাখা পড়ে। আগে প্রতিদিন ছয়টি ক্লাস হতো। অবরোধের কারণে এখন দৈনিক তিনটি ক্লাস হয়।’
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগের সূচি অনুযায়ী ৭ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে ১১ নভেম্বর নেয়া হয়েছে বলে জানান শহিদুল ইসলাম।
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
টানা অবরোধে, সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম। অবরোধে সহিংসতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কমেছে। সব ধরনের পরীক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পরেছে। কোনো স্কুল ক্লাস ‘অর্ধেক’ কমিয়েছে। ক্লাস কমালেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম হচ্ছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের কারণে শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম একমাস এগিয়ে নিয়েও সূচি অনুযায়ী শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। বার্ষিক পরীক্ষা বা মূল্যায়ন, টেস্ট পরীক্ষাসহ সব ধরনের সমাপনী কার্যক্রম ‘অসম্পূর্ণ’ রেখেই শিক্ষাবর্ষের ইতি টানতে হতে পারে বলে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের আশঙ্কা।
রাজধানীর অন্তত ১০টি হাইস্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিরোধীদলের ডাকা ‘অবরোধ’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে না। ‘ঝুকি’ নিয়ে অনেক অভিভাবকও সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না। বিশেষ করে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই বিদ্যালয়ে আসছে।
রাজধানীর কদমতলী থানার নিউ ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ৮ নভেম্বর সংবাদকে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী ৯ নভেম্বর আমার স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। শিক্ষার্থীরা আসুক, আর না আসুক পরীক্ষা শেষ করতেই হবে। সামনে নির্বাচন; তখন আমাদের কিছুই করার থাকবে না।’
পরীক্ষায় অংশ নিতে কাউকে বাধ্য করা হবে না জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘অবরোধে সহিংসতা হলে এর দায় কে নেবে? এ জন্য যারা পরীক্ষা দিতে আসবে না তাদের আগের শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার আলোকে মূল্যায়ন করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। এ কারণে এবার নভেম্বরের মধ্যে সারা দেশের স্কুল পর্যায়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মাউশি।
কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’কে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। কারণ নভেম্বর মাস শুরুই হলো ‘অবরোধ’ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।
এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর ‘অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য দলগুলো। পরবর্তীতে সপ্তাহের ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার এবং ৭ নভেম্বর বাদ দিয়ে লাগাতার অবরোধ চলছে। বিএনপির ডাকা তৃতীয় ধাপের অবরোধ গত ৯ নভেম্বর শেষ হয়। আগামী ১২ থেকে ১৪ নভেম্বরও ‘অবরোধ’ ঘোষণা করেছে বিএনপিসহ কয়েকটি দল।
মাউশি প্রথম দিকে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ৫ নভেম্বর শুরু করা পরিকল্পনা নিয়েছিল। ‘হরতাল ও অবরোধের’ কারণে তা পিছিয়ে ৯ নভেম্বর থেকে শুরুর করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ‘অবরোধের’ কারণে অনেক স্কুলই পরীক্ষা শুরু করতে পারছে না। টানা ‘বিরূপ’ কর্মসূচির কারণে স্কুলগুলো ঠিকমত মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিতে পারছে না।
রাজধানীর অনেক স্কুলে প্রাথমিকের পরীক্ষা ১ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ৫ নভেম্বর নেয়া হয়। সংশোধিত সূচিতেও পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। সাধারণত প্রতিবছরই নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা শেষ করা হয়। ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ‘অবরোধের’ কারণে এবার নভেম্বরের শুরুতে সব পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে।
জানতে চাইলে মাউশি ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল খালেক ৮ নভেম্বর সংবাদকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে কোনো স্কুল পরীক্ষা নিতে পারছে না, বা ক্লাস করাতে পারছে না-এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোর প্রতি আমাদের নির্দেশনা রয়েছে, ২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা, ফল প্রকাশ ও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।’
এই প্রতিকূল রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকলেও স্কুলগুলো নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ওইসব বিষয় শেষ করতে পারবে বলে জানান আবদুল খালেক।
বর্তমানে দেশে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন কোটি ৮১ লাখের বেশি।
উচ্চ মাধ্যমিকসহ মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল সরকারি বালক, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। শ্রেণী কার্যক্রমও ঢিলেঢালাভাবে চলছে।
ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী সংবাদকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ঠিকমত করা যাচ্ছে না। বার্ষিক পরীক্ষা, টেস্ট পরীক্ষা, ক্লাস পরীক্ষা কোনো কিছুই নেয়া যাচ্ছে না।
সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মাত্র ৩০-৩৫ শতাংশ ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে বলে জানান কেকা রায় চৌধুরী।
এদিকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে স্কুলটির রামপুরা বনশ্রী শাখা পড়ে। আগে প্রতিদিন ছয়টি ক্লাস হতো। অবরোধের কারণে এখন দৈনিক তিনটি ক্লাস হয়।’
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগের সূচি অনুযায়ী ৭ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে ১১ নভেম্বর নেয়া হয়েছে বলে জানান শহিদুল ইসলাম।