নতুন শিক্ষাক্রমে এ বছর নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু ওই বছর এসএসসি পরীক্ষা কীভাবে হবে, পরীক্ষার বিষয় ও প্রশ্নপত্রের ধরন কী হবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ‘সূচক’ বা ‘চিহ্নভিত্তিক’ মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করায় অভিভাবকদের ‘অসন্তোষ’ বিরাজ করছে। পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।
এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘সচিব সভায়’ নতুন শিক্ষাক্রম প্রচলিত কোনো শিক্ষাক্রম নয়। দেশের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত লোকও নেই। তবে যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে, তবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান। এর ধারাবাহিকতায় নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ধরন কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা পেতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় রাজধানীর আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং একাধিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার ধরন কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয় এনসিটিবির পক্ষ্য থেকে। এতে ‘সন্তোষ্ট’ হতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী ওই সময় বলেন, অভিভাবকদের ‘উদ্বেগ’ও আমলে নিতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমও বাস্তবায়ন করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে এই সিন্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি পরীক্ষা পদ্ধতি ঠিক করতে সব শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রণীত ‘শিক্ষক নির্দেশিকা’ নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষক নির্দেশিকাকে আরও সহজ করার নির্দেশ দিয়েছেন; যাতে করে শিক্ষকরা সহজে নতুন শিক্ষাক্রম বুঝতে পারেন।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণীতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজনও থাকছে না।
এ বিষয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আলাদা বিভাগ বেঁচে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সব শিক্ষার্থীকে একই পাঠ্যবই পড়তে হবে।
২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণীতে উঠবে, ওই সময়ও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না। ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম ‘খুবই ভালো ও সময়োপযোগী’ উদ্যোগ ছিল। ‘স্টেকহোল্ডার’দের (অংশীজন) মতামত নিয়ে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা দরকার ছিল। এই পদ্ধতি গ্রহণের আগে অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি প্রয়োজন ছিল। তড়িগড়ি করে সিদ্ধান্ত নেয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা রকম বিতর্ক ও সমালোচনা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নতুন শিক্ষাক্রমে এ বছর নবম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা। কিন্তু ওই বছর এসএসসি পরীক্ষা কীভাবে হবে, পরীক্ষার বিষয় ও প্রশ্নপত্রের ধরন কী হবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ‘সূচক’ বা ‘চিহ্নভিত্তিক’ মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করায় অভিভাবকদের ‘অসন্তোষ’ বিরাজ করছে। পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টরা।
এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘সচিব সভায়’ নতুন শিক্ষাক্রম প্রচলিত কোনো শিক্ষাক্রম নয়। দেশের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত লোকও নেই। তবে যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকে, তবে পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার প্রধান। এর ধারাবাহিকতায় নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ধরন কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা পেতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় রাজধানীর আন্তজার্তিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং একাধিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার ধরন কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয় এনসিটিবির পক্ষ্য থেকে। এতে ‘সন্তোষ্ট’ হতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী ওই সময় বলেন, অভিভাবকদের ‘উদ্বেগ’ও আমলে নিতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমও বাস্তবায়ন করতে হবে। তাড়াহুড়ো করে এই সিন্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি পরীক্ষা পদ্ধতি ঠিক করতে সব শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর প্রণীত ‘শিক্ষক নির্দেশিকা’ নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষক নির্দেশিকাকে আরও সহজ করার নির্দেশ দিয়েছেন; যাতে করে শিক্ষকরা সহজে নতুন শিক্ষাক্রম বুঝতে পারেন।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণীতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজনও থাকছে না।
এ বিষয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়ে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আলাদা বিভাগ বেঁচে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। সব শিক্ষার্থীকে একই পাঠ্যবই পড়তে হবে।
২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণীতে উঠবে, ওই সময়ও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না। ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম সংবাদকে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম ‘খুবই ভালো ও সময়োপযোগী’ উদ্যোগ ছিল। ‘স্টেকহোল্ডার’দের (অংশীজন) মতামত নিয়ে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা দরকার ছিল। এই পদ্ধতি গ্রহণের আগে অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি প্রয়োজন ছিল। তড়িগড়ি করে সিদ্ধান্ত নেয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে নানা রকম বিতর্ক ও সমালোচনা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।