এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দিনভর উত্তেজনার মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। সোমবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা তপন কুমার সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে তিনি বোর্ডে আটকা ছিলেন এবং তাদের দাবি ছিল তার পদত্যাগ। তিনি বলেন, “তারা আমার পদত্যাগ চেয়েছে, আমি বলেছি; ঠিক আছে, যদি আমি পদত্যাগ করলে তোমরা অটোপাস পেতে পারো, তবে আমি পদত্যাগ করব। কিন্তু আমাদের হাতে আর কিছু করার নেই।”
রোববার দুপুরে ‘এইচএসসি ব্যাচ-২০২৪’ এর ব্যানারে একদল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় এবং বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে। শিক্ষার্থীরা “বৈষম্যহীন রেজাল্ট চাই” এই স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পুলিশ গেটে তাদের বাধা দেয়, কিন্তু একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করার চেষ্টা করলে কিছু শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ তোলে আন্দোলনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা বোর্ডের প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি যে অটোপাসের মাধ্যমে নতুন ফলাফল দেওয়া হবে, তা মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, পরীক্ষার ফলাফল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা সম্ভব, নতুন ফলাফল তৈরি করা অসম্ভব।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগই অকৃতকার্য হয়েছে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ফলাফল তৈরি করেছি, কিন্তু তারা সেটি মেনে নিতে চাচ্ছে না। তারা চাচ্ছে সব বিষয় ম্যাপিং করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করা হোক, যা আদতে সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ২০২২ সালের মে মাসে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। পদার্থবিদ্যার এই অধ্যাপক এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দিনভর উত্তেজনার মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। সোমবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা তপন কুমার সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে তিনি বোর্ডে আটকা ছিলেন এবং তাদের দাবি ছিল তার পদত্যাগ। তিনি বলেন, “তারা আমার পদত্যাগ চেয়েছে, আমি বলেছি; ঠিক আছে, যদি আমি পদত্যাগ করলে তোমরা অটোপাস পেতে পারো, তবে আমি পদত্যাগ করব। কিন্তু আমাদের হাতে আর কিছু করার নেই।”
রোববার দুপুরে ‘এইচএসসি ব্যাচ-২০২৪’ এর ব্যানারে একদল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানায় এবং বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করে। শিক্ষার্থীরা “বৈষম্যহীন রেজাল্ট চাই” এই স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে পুলিশ গেটে তাদের বাধা দেয়, কিন্তু একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করার চেষ্টা করলে কিছু শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ তোলে আন্দোলনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা বোর্ডের প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করে এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি যে অটোপাসের মাধ্যমে নতুন ফলাফল দেওয়া হবে, তা মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, পরীক্ষার ফলাফল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা সম্ভব, নতুন ফলাফল তৈরি করা অসম্ভব।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগই অকৃতকার্য হয়েছে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ফলাফল তৈরি করেছি, কিন্তু তারা সেটি মেনে নিতে চাচ্ছে না। তারা চাচ্ছে সব বিষয় ম্যাপিং করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করা হোক, যা আদতে সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ২০২২ সালের মে মাসে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। পদার্থবিদ্যার এই অধ্যাপক এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।